এম্পাওয়ারিং ডেভেলপমেন্ট প্রোজেক্ট ইনক (ইডিপি) তাদের দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এক জমকালো ও প্রাণবন্ত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদযাপন করেছে। নিউইয়র্কের কমিউনিটি আমন্ত্রিত অতিথি, শুভানুধ্যায়ী এবং মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠানটিকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। অনুষ্ঠানটি মনোমুগ্ধকর উপস্থাপনা করে উপস্থিত অতিথিদের প্রাণবন্ত রেখেছিলেন জনপ্রিয় উপস্থাপক শারমিন সোনিয়া। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক আশিকুর রহমান আশিক এবং সর্বক্ষণ তদারকিতে ছিলেন পিডিপির প্রোগ্রাম ম্যানেজার আব্দুল্লাহ জুবায়ের।
নিউইয়র্কের রিগো পার্কে জয়া হলে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্ক স্টেটের সিনেটর জন ল্যু। তিনি ইডিপির সাফল্য এবং কমিউনিটির উন্নয়নে প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক আম্বিয়া বেগমের অসামান্য অবদানের প্রশংসা করেন। নিউইয়র্ক সিটির মেয়র অফিসের পক্ষ থেকে ইডিপিকে একটি বিশেষ প্রোক্লেমেশন প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলিমেম্বার জেনিফার রাজকুমার ইডিপির দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আরেকটি প্রোক্লেমেশন প্রদান করেন। এ ছাড়া মেয়র অফিসের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন স্টেট ও সিটি অ্যাসেম্বলি থেকে আগত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থেকে ইডিপির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন।
অনুষ্ঠানে ইডিপির কম্পিউটার ট্রেনিং প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন সিটি কাউন্সিল মেম্বার শাহানা হানিফ, ইডিপির প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক আম্বিয়া বেগম ও প্রেসিডেন্ট এম এস আলম। এই সম্মাননা ইডিপির শিক্ষার্থীদের জন্য এক বিশেষ অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
কমিউনিটিতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিল এবং স্টেট অ্যাসেম্বলি ইডিপিকে সম্মাননা ক্রেস্ট ও অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে। এটি ছিল ইডিপির দীর্ঘদিনের কঠোর পরিশ্রম ও কমিউনিটির সেবায় অবিচল নিষ্ঠার এক অনন্য স্বীকৃতি।
অনুষ্ঠানে নিউইয়র্কের বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গও উপস্থিত ছিলেন, যারা এই সফল আয়োজনের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেন। অ্যাসেম্বলি প্রতিনিধি সাগির খান ইডিপিকে ফান্ডিং সহযোগিতার কথা জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কিংবদন্তি বাংলা চলচ্চিত্র অভিনেতা আহম্মেদ শরীফ এবং তার স্ত্রী। তাদের উপস্থিতি পুরো অনুষ্ঠানকে বিশেষ মর্যাদা ও উজ্জ্বলতা প্রদান করে। দেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী চন্দ্রা রায় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী গান পরিবেশন করে অতিথিদের মুগ্ধ করেন এবং সকলের হৃদয় ছুঁয়ে যান।
পুরো অনুষ্ঠান ছিল ইডিপির ১০ বছরের নিষ্ঠা, ত্যাগ এবং কমিউনিটির উন্নয়নে অবিরাম প্রচেষ্টার এক গৌরবময় প্রতিচ্ছবি। অনুষ্ঠানের শেষ অংশে ইডিপি তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যসমূহের ঘোষণা দেয়, যা আরও বৃহত্তর পরিসরে কমিউনিটির কল্যাণে ভূমিকা রাখবে।