ক্যারিয়ায়ের শুরুটা করেছিলেন মডেলিং দিয়ে, এরপর কাজ করেছেন টেলিভিশন নাটকে। বহুমাত্রিক অভিনয়ের দক্ষতা রয়েছে তার। কখনও শহরের মডার্ন মেয়ে তো কখনও গ্রামের সহজ সরল প্রাণচঞ্চল নারী। বলছি ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী অহনা রহমানের কথা।
ছোট পর্দার পাশাপাশি অহনা কাজ করেছেন ঢাকাই সিনেমার নাম্বার ওয়ান খ্যাত নায়ক শাকিব খানের বিপরীতেও। শুধু তাই নয়, সমান তালে কাজ করেছেন ওটিটি মাধ্যমেও। বলা চলে সর্বক্ষেত্রেই কাজ করে অভিনয়ের জাদুতে দর্শকমহলে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। অভিনয়ের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ সরব থাকেন তিনি।
এদিকে, অহনা ধীরে ধীরে অভিনয় জগৎ থেকে সরে দাঁড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মাসখানেক আগেই এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ২০২৫ সাল থেকেই মিডিয়াতে কাজের পরিমাণ কমিয়ে দেবেন এবং ধাপে ধাপে এই পেশা থেকে পুরোপুরি সরে যাবেন।
এরপরই ওমরাহ পালন করতে সৌদিতে পাড়ি জমান অহনা। সেখান থেকে ফিরেই নিজের আমুল পরিবর্তন আনেন এই অভিনেত্রী। পোশাক-পরিচ্ছেদ থেকে শুরু করে পেশাগত জীবনেও বেশ কিছু পরিবর্তন দেখা মেলে অহনার।
এ বিষয়ে অভিনেত্রী জানান, জানান ওমরাহ্ পালন করে আসার পরে বোরকা, হিজাব পরেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন তিনি। যে কারণে আগামীতেও এমন পোশাকই পরিধান করতে চান।
এবার এক সাক্ষাৎকারে আবারও নিজের পোশাক-হিজাব প্রসঙ্গে কথা বলতে দেখা গেল অহনাকে। যেখানে তিনি বললেন, ‘নাটকের বাইরে আমি হিজাব খুলতে চাই না। এটা আমার ব্যক্তিগত বিষয়। যে কারণে ইন্টারভিউ দিতে গেলেও চেষ্টা করি মাথায় কাপড় রাখার।’
এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার হিজাব পরার বিষয়টি নিয়ে অনেক কথা শুনতে হয়েছে। যে কারণে এসব এখন আর দেখারই চেষ্টা করি না।’
আক্ষেপ প্রকাশ করে অহনা বলেন, ‘নায়িকাদের পায়ে পায়ে দোষ। হিজাব পরে অ্যাওয়ার্ড নিতে গেলেও দোষ, বডিকাউন্ট পরে কাজ করলে দোষ, মাথায় কাপড় দিয়ে কাজ করলেও দোষ। তাই এসব নিয়ে এখন আর কিছু বলতে চাই না।’
এর আগে ওমরাহ পালন শেষে দেশে ফিরে এক সাক্ষাৎকারে অহনা বলেন, ‘যারা কখনো হজ বা ওমরাহ করতে যায়নি, তারা বুঝবে না এই অনুভূতিটা কেমন। তবে আমার গুসবাম্পস হয়েছে।’
অহনা জানালেন, মানসিক প্রশান্তির জন্য তিনি আবারও সৌদিতে যেতে চান। অভিনেত্রীর কথায়, ‘আমি আবারও ওমরাহতে যেতে চাই। এবারও হয়তো যাব। কারণ আমার অনেক ভালো লেগেছে। যদি কখনো একটু রিল্যাক্স থাকতে চাই, একা থাকতে চাই বা মানসিক প্রশান্তির খোঁজ করি, তাহলে সৌদিতেই যেতে চাই। কারণ এত সুন্দর জায়গা, আমার ওমরাহর কয়েকদিনে মন ভরেনি।’
ঠিকানা/এএস