Thikana News
২৫ এপ্রিল ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন টকশোতে আলোচনা

ভারতকে মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশকে আর পদানত রাখা যাবে না

ভারতকে মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশকে আর পদানত রাখা যাবে না
বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আট মাস পর এসে সম্প্রতি প্রথমবারের মতো প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক হয়েছে। এই বৈঠক ইতিবাচক বলে মনে করছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তবে তিনি আরো যোগ করেন, ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণ যে রায় দিয়েছে, সেটা ভারতকে মনে রাখতে হবে। তাদের বুঝতে হবে, বাংলাদেশ আর পদানত রাখা যাবে না। পররাষ্ট্রনীতিতে ঢাকাকেও দৃঢ় থাকতে হবে। ড. ইউনূস সেই দৃঢ়তা দেখিয়ে চলছেন বলেও মনে করেন তিনি।

১০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন টকশোতে এসব কথা বলেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। নিউইয়র্ক সময় বেলা ১১টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা) সরাসরি সম্প্রচারিত এই আলোচনা অনুষ্ঠানে আরো ছিলেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। ঠিকানা টিভির প্রধান সম্পাদক খালেদ মুহিউদ্দীন উপস্থাপিত টকশোটিতে অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম, সংস্কার উদ্যোগ, রাজনৈতিক ঐকমত্য- এমন নানা বিষয়ে আলোচনা করেন দুই অতিথি।

ড. ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদির বৈঠক প্রসঙ্গে নুরুল হক নুর বলেন, এটা বাংলাদেশের জন্য বড় কোনো অর্জন নয়। তবে দুই প্রতিবেশি রাষ্ট্রের মধ্যে বৈরি সম্পর্ক কোনোভাবেই মঙ্গলজনক নয়। সেই দিক থেকে এই বৈঠক ইতিবাচক। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কটা এমনভাবে রাখতে হবে, যাতে দুই পক্ষের জন্যই ‘উইন-উইন সিচুয়েশন’ বজায় থাকে।

এদিকে ড. ইউনূস প্রায়ই মনে করিয়ে দিচ্ছেন, রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার কম চাইলে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করবেন চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে। আর যদি বেশি সংস্কার করার সুযোগ পাওয়া যায় তবে নির্বাচন হবে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে। এ বিষয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক ভাষ্যকার জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার এখনো তাদের দেওয়া নির্বাচনের সময়ে অটল আছে। যদি এটাতে কোনো বদল আসে, তখন আমাদের নিজস্ব মতামত দিবো।’

তিনি আরো বলেন, একজন ব্যক্তি ভালো হলেও, ভালো কাজ করলেও অন্তর্বর্তী সরকার স্থায়ী হতে পারে না। অবশ্যই দেশকে গণতন্ত্রের পথে নিয়ে যেতে হবে। তবে সংস্কারের জন্য এই অন্তর্বর্তী সরকারকে অবশ্যই যৌক্তিক সময় দিতে হবে।

ড. ইউনূসকে যারা পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতায় চান, তাদের উদ্দেশ্য ভালো নয়, দাবি করেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। তার ভাষ্যমতে, ‘আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছি। তাই অনির্বাচিত সরকার পাঁচ বছর থাকবে, এই ক্যাম্পেইনের পক্ষে থাকতে পারি না। একই কারণে বিএনপি থেকেও নির্বাচনের দাবি তোলা হচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, যারা ফায়দা নিতে চাইছে, তারাই নির্বাচনবিহীন সরকারের মেয়াদ বৃদ্ধির পক্ষে কথা বলছে। কিন্তু ড. ইউনূস সেই পথে হাঁটবেন না বলে বিশ্বাস করেন নুরুল হক নুর।

কমেন্ট বক্স