অধিকৃত পশ্চিম তীরে অস্কারজয়ী তথ্যচিত্র ‘নো আদার ল্যান্ড’-এর ফিলিস্তিনি সহপরিচালক হামদান বাল্লালকে গ্রেপ্তার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তার আগে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা তাকে মারধর করেন। খবর আল জাজিরার।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, হামলার প্রত্যক্ষদর্শী পাঁচজন ইহুদি আমেরিকান কর্মী জানিয়েছেন, হেবরনের দক্ষিণে মাসাফের ইয়াত্তা এলাকার সুসিয়ায় প্রায় ১৫ জন সশস্ত্র বসতি স্থাপনকারীর একটি দল হামদান বাল্লালকে ঘিরে ফেলে এবং তার ওপর হামলা চালায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সেন্টার ফর ইহুদি অহিংসার কর্মীদের একজন জোসেফ বলেন, হামলাকারীরা ফিলিস্তিনিদের দিকে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে এবং হামদানের বাড়ির কাছে একটি পানির ট্যাঙ্ক ধ্বংস করে দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বসতি স্থাপনকারীরা পাথর ছুঁড়ে হামদানের গাড়ি ভেঙে ফেলে এবং একটি টায়ার কেটে দেয়। গাড়ির সমস্ত জানালা এবং উইন্ডশিল্ড ভেঙে ফেলা হয়েছে বলেও জানান তারা। হামলায় হামদান বাল্লাল আহত হন।
এরপর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাকে ধরে নিয়ে যায়।
এক বিবৃতিতে আইডিএফ জানিয়েছে, সন্ত্রাসীরা ইসরায়েলি নাগরিকদের ওপর পাথর ছুঁড়ে মারার পর ফিলিস্তিনি এবং ইসরায়েলিদের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষ হয়। আইডিএফ এবং ইসরায়েলি পুলিশ বাহিনী সংঘর্ষ ছত্রভঙ্গ করতে ঘটনাস্থলে গেলে, বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। পরে আইডিএফ তাদের ওপর পাথর ছোঁড়ার অভিযোগে তিনজন ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে।
সেই সঙ্গে সহিংস সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে একজন ইসরায়েলি বেসামরিক ব্যক্তিকেও আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের ইসরায়েলি পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গেছে।
এ বছরের ৯৭তম একাডেমি অ্যাওয়ার্ডসে (অস্কার) সেরা তথ্যচিত্র বিভাগে জয়ী হয় ‘নো আদার ল্যান্ড’। গাজায় চলমান ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে চার ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি আন্দোলনকর্মী তথ্যচিত্রটি বানিয়েছেন। তাদেরই একজন হামদান।
তথ্যচিত্রের আরেকজন পরিচালক ইউভাল আব্রাহাম বলেন, ‘আমাদের “নো আদার ল্যান্ড” ছবির সহপরিচালক হামদান বাল্লালকে বসতি স্থাপনকারীদের একটি দল মারধর করে আহত করেছে। তিনি মাথা ও পেটে আঘাত পেয়েছেন। রক্তপাত হয়েছে।
এই পরিচালক আরও বলেন, ‘তিনি (হামদান বাল্লাল) অ্যাম্বুলেন্স ডেকেছিলেন। কিন্তু সেখান থেকে ইসরায়েলি সেনারা হামদানকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে। এর পর থেকে তার কোনো হদিস নেই।’
ঠিকানা/এএস