স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বরখাস্ত গাড়িচালক আব্দুল মালেকের ১৩ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১ কোটি ৫০ লাখ ৩১ হাজার ৮১০ টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত। জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে তাকে এই দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। আদালতের বেঞ্চ সহকারী জাহিদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
রোববার (২৩ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক জাকারিয়া হোসেন আসামির উপস্থিতিতে দুদকের পৃথক দুই ধারায় এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪, এর ২৬(২) ধারায় তার তিন বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তার এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও ৬ মাসের কারাভোগ করতে হবে। এ ছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪, এর ২৭(১) ধারায় ১০ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তার এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও ৬ মাসের কারাভোগ করতে হবে। দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।
এর আগে ২০২১ সালোর ১৪ ফেব্রুয়ারি দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন। একই বছরের ২১ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদক।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরখাস্তকৃত গাড়িচালক দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৯৩ লাখ ৫৩ হাজার ৬৪৮ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেন। একই সঙ্গে মিথ্যা বা ভিত্তিহীন ঘোষণা প্রদানসহ অসাধু উপায়ে ১ কোটি ৫০ লাখ ৩১ হাজার ৮১০ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে ও তা ভোগদখল করেছেন। এ কারণে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪, এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়।
এদিকে মালেক ও তার স্ত্রী নার্গিস বেগম জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ১ কোটি ১০ লাখ ৯২ হাজার ৫০ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ ভোগদখলে রাখার অভিযোগে করা আরেক মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক জাকারিয়া হোসেনের আদালত ১৬ এপ্রিল রায় ঘোষণার জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।
ঠিকানা/এনআই