প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইমিগ্রেশন ক্র্যাকডাউনে নথিপত্রহীন অভিবাসীরা আতঙ্কে রয়েছেন। তাদের তালিকা করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। গ্রেপ্তার অভিযান চালাচ্ছে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস) এজেন্টরা।
করা হচ্ছে ডিপোর্ট। ট্রাম্প প্রশাসনের এই তালিকায় রয়েছে বহু বাংলাদেশি। তাদের পর্যায়ক্রমে ফেরত পাঠানো হবে বলে বাংলাদেশ সরকারকে অবহিত করেছে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি।
এ পর্যন্ত কতজন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে তার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি। তবে একাধিক বাংলাদেশিকে আইস গ্রেপ্তার করেছে এবং তাদের ডিটেনশন সেন্টারে রেখে দেশে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশিরা ভয়-ভীতি আর আতঙ্কে রয়েছেন। আইসের হাতে গ্রেপ্তার এবং ডিটেনশন সেন্টারে আটক এড়াতে অনেকেই নিরবে বাংলাদেশে চলে যাচ্ছেন।
এস্টোরিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি দেলোয়ার হোসেন জানান, তার আপন ছোট ভাইয়ের বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল না। ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর আতঙ্কে ছিলেন। পরে পরিবারের সিদ্ধান্তে দেশে ফেরত গেছেন। তিনি জানান, তার ছোট ভাইকে এদেশে আনতে ২৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছিল। কিন্তু কাগজপত্র করতে ব্যর্থ হয়েছেন। অ্যাসাইলাম আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। ডিপোর্টেশনের অর্ডার ছিল।
এদিকে ফেরত পাঠানো ব্যক্তিদের ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নেওয়া যাবে, তা নিয়ে আলোচনা করতে ঢাকায় দুটি বৈঠকও ইতিমধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৫ ও ৬ মার্চ বুধ ও বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বৈঠকে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্র সরকার অবৈধ হয়ে পড়া নাগরিকদের ফেরত পাঠাতে শুরু করেছে এবং প্রতি সপ্তাহে ছয়-সাত জন বাংলাদেশিকে দেশে পাঠানো হবে বলে ধারণা পাওয়া গেছে। ফেরত আসা সব বাংলাদেশি নাগরিককে ঢাকার বিমানবন্দরে গ্রহণ করার পর সরকার তাদের বাড়িতে ফেরার জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া যেন যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয় এবং যাদের ফেরত পাঠানো হবে তাদের যেন হাতকড়া না পরানো হয়, সে বিষয়ে অনুরোধ জানানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।