চার-চারটি হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রাণান্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেল মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশু আছিয়া। কয়েক দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে পৃথিবী ত্যাগ করতে বাধ্য হলো শিশুটি। বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার আট বছর বয়সী শিশু আছিয়া দুপুর একটায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে আছিয়ার মরদেহ হেলিকপ্টারে মাগুরা স্টেডিয়ামে আসার পর শহরের নোমানী ময়দানে নামাজে জানাজা হয়। পরে বাদ মাগরিব তার মরদেহ শ্রীপুর সোনাইকুণ্ডী গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মাগুরায় আছিয়ার বাড়িসহ গোটা জারিয়া গ্রাম এখন শোকে স্তব্ধ। আছিয়ার মানসিক ভারসাম্যহীন বাবা ফেরদৌস শেখ কিছুই বলতে পারছেন না। বুক চাপড়ে কাঁদছেন আছিয়ার মা, ভাইবোনসহ অন্য স্বজনেরা। আছিয়ার মৃত্যুর খবর শুনে সবাই ভিড় করছে ওই বাড়িতে।
স্থানীয় সব্দালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পান্না খাতুন বলেন, ‘আমাদের একটাই দাবি, হিটু শেখসহ ৪ আসামির ফাঁসি। একই ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য রূপ কুমার বলেন, ‘আমরা শুধু ফাঁসি চাই না। এটা যাতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে হয়, সেই দাবি সরকারের কাছে রাখছি।’ এভাবে সবার মুখে একটাই দাবি ধর্ষকদের ফাঁসি। এ ছাড়া বিচার কার্যক্রম যেন কোনো প্রকারেই বিলম্বিত না হয়, সেই একই দাবি সবার মুখে।
এদিকে যে বাড়িতে আছিয়া নির্যাতনের শিকার হয়েছে, সেই বাড়িটি এখন এলাকাবাসী ধর্ষক হিটু শেখের বাড়ি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এ বাড়িটিতে এখন কেউ নেই। বাড়িটিতে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা।
বাড়ির মালিক ধর্ষক হিটু শেখ, তার স্ত্রী জাবেদা বেগম, দুই ছেলে সজীব শেখ ও রাতুল শেখ সবাই কারাগারে।
ঠিকানা/এনআই