Thikana News
২২ নভেম্বর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় শেখ কামালকে স্মরণ 

শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় শেখ কামালকে স্মরণ  ওয়াশিংটন ডিসি : বাংলাদেশ দূতাবাসে শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন।
নিউইয়র্ক ও যুক্তরাষ্ট্রে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মদিন পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন, ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাস এবং নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেটে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাঁকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করা হয়। 
এসব অনুষ্ঠানের শুরুতেই বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটে জাতির পিতার পরিবারের সকল শহীদ সদস্যগণের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। 
নিউইয়র্কে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য প্রদান করেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত। তিনি বলেন, শেখ কামাল ছিলেন একজন ক্ষণজন্মা কিংবদন্তী। মাত্র ২৬ বছর আয়্ষ্কুালে তিনি দেশ ও দেশের মানুষের জন্য অসংখ্য অবদান রেখে গেছেন। একজন নিবেদিত, সংগ্রামী ও আদর্শবাদী রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান ও ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরোচিত ভূমিকা পালন করেন শহীদ শেখ কামাল। 
বাংলাদেশ দূতাবাস: ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে। রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান কর্তৃক জাতির পিতার আবক্ষ মূর্তি এবং শহিদ শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হয়। এসময় মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনান মিনিস্টার (কনস্যুলার) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান এবং মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) মো. রাশেদুজ্জামান। এরপর শহিদ শেখ কামালের জীবন ও কর্মের ওপর একটি সংক্ষিপ্ত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

নিউইয়র্ক: নিউইয়র্ক কনস্যুলেট জেনারেলে শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। 

আলোচনায় অংশ নিয়ে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান শহীদ শেখ কামাল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১৫ আগস্টের হত্যাযজ্ঞের অন্য শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
রাষ্ট্রদূত গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে মহান মুক্তিযুদ্ধ, যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠন এবং স্বাধীনতার পর ক্রীড়া ও সংস্কৃতির উন্নয়নে শহিদ শেখ কামালের অবদানের কথা স্মরণ করেন। রাষ্ট্রদূত ইমরান বলেন, বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী শহিদ শেখ কামাল ছিলেন দেশের আধুনিক ক্রীড়াঙ্গনের পথিকৃৎ এবং যুব সমাজের জন্য আদর্শ। মহান মুক্তিযুদ্ধের পর শেখ কামাল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, সংস্কৃতি ও অন্যান্য ক্ষেত্রের উন্নয়নে নিজেকে উৎসর্গ করেন। রাষ্ট্রদূত ইমরান আশা প্রকাশ করেন শহিদ শেখ কামালের আদর্শ অনুসরণ করে দেশের তরুণ প্রজন্ম ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে সাফল্যের সর্বোচ্চ শিখরে নিয়ে যাবে।
মিনিস্টার (প্রেস) এ জেড এম সাজ্জাদ হোসেন আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন, দেশের শীর্ষ স্থানীয় ক্লাব আবাহনী ক্রীড়া চক্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শহিদ শেখ কামাল বাংলাদেশের জনগণ, বিশেষ করে ক্রীড়ামোদীদের হৃদয়ে অমর হয়ে আছেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালো রাতে শহিদ শেখ কামাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ অন্যদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শেষ হয়।
নিউইয়র্ক বাংলাদেশ কনস্যুলেট : নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এর উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। শহীদ শেখ কামাল, জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের অন্য শহীদ সদস্যসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
কনসাল জেনারেল তাঁর বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল সম্বন্ধে আলোচনাকালে কনসাল জেনারেল মহান মুক্তিযুদ্ধে এবং সদ্য-স্বাধীন বাংলাদেশের শিল্প সংস্কৃতি ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন। 
 

কমেন্ট বক্স