যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে হোয়াইট হাউজের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী পরিবার ও অন্যান্য সমমনা সংগঠন। এ সমাবেশ থেকে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উত্থাপন করা হয়।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে ভারতের নরেন্দ্র মোদির সাথে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বৈঠকের সময় বাইরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললেই হত্যা করা হচ্ছে অথবা বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দেয়ার মত বর্বরতা চলছে। সাজানো মামলায় গ্রেফতারের ঘটনা ঘটছে।
বক্তারা বলেন, ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় গ্রহণের পর গত ৬ মাসে বাংলাদেশে আইনের শাসনের বালাই নেই। কথিত আন্দোলনকারিদের হুমকি-ধমকি ও বর্বর আচরণের কারণে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে মহাসংকটে দিনাতিপাত করছেন।
বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করা গভীর ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হোয়াইট হাউজসহ বিশ্ব সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয় মানববন্ধন থেকে।
সমাবেশে অংশ নেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী পরিবারের নেতা ড. প্রদীপ কর, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. মাসুদুল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হোসেন, আব্দুল হাছিব মামুন, মহিউদ্দিন দেওয়ান, সোলায়মান আলী, দুরুদ মিয়া রনেল, শাহানারা রহমান, রফিকুল ইসলাম, আব্দুর রকিব মন্টু, শরাফ সরকার, নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন আজমল, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ চৌধুরী, সাইকুল ইসলাম, মাসুদ সিরাজী, ংমুক্তিযোদ্ধা ফারুক হোসাইন, আকতার হোসেন, আমিনুল ইসলাম, টি মোল্লা, নজরুল ইসলাম, ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগের নেতা মাহমুদুন নবী বাকী, যুক্তরাষ্ট্র স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইকবাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কিবরিয়া জামান, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা কামাল হোসেন রাকিব, যুবলীগ নেতা জামাল হুসেন, ইফজাল চৌধুরী, আব্দুর রউফ পাশা, আশ্রাফ উদ্দীন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, এই মানববন্ধনের প্রত্যাশার পরিপূরক একটি প্রশ্ন করা হয়েছিল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও নরেন্দ্র মোদির আনুষ্ঠানিক বৈঠকের আগে যৌথ প্রেস কনফারেন্সে। একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন, আমরা জানি বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলে বাইডেন প্রশাসনের সময় মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট জড়িত ছিল, সম্প্রতি মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে জুনিয়র সোরেসের (জর্জ সোরেসের ছেলে) বৈঠকেও তা প্রমাণিত। তো বাংলাদেশ নিয়ে আপনি কী বলবেন? জবাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, না, আমাদের স্টেট ডিপার্টমেন্টের এখানে কোন ভূমিকা ছিল না। প্রধানমন্ত্রী (ভারতের) এই বিষয়টা নিয়ে বহুদিন ধরে কাজ করছেন। কাজেই বাংলাদেশের বিষয়টি আমি প্রধানমন্ত্রী মোদির ওপরই ছেড়ে দেবো’-পাশে বসা নরেন্দ্র মোদির দিকে ইঙ্গিত করে বলেন মি. ট্রাম্প।