পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ায় পৃথক দুইটি ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনী ও সন্ত্রাসীদের মধ্যে তুমুল গোলাগুলি হয়েছে। এতে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে চারজন সেনা এবং ১৫ জন সন্ত্রাসী। ১৫ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) দেশটির সামরিক বাহিনীর মিডিয়া উইং এই তথ্য জানিয়েছে। খবর জিও নিউজের।
এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) বলেছে, দেরা ইসমাইল খান জেলার হাথালার জেনারেল এলাকায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। এতে নয়জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
এসব সন্ত্রাসী বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল বলে বিবৃতিতে বলা হয়। এ ছাড়া নর্থ ওয়াজিরিস্তান জেলার মিরান শাহ এলাকায় আরেক অভিযান চালায় পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী। সেখানে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর তুমুল গোলাগুলি হয়। এতে লেফটেন্যান্ট মুহাম্মদ হাসান আরশাফ, নায়েব সুবেদার মুহাম্মদ বিলাল, সিপাহী ফারহাত উল্লাহ, সিপাহী হিমাত খান নিহত হয়েছে। এছাড়া গোলাগুলিতে ছয়জন সন্ত্রাসী নিহত হয়।
আইএসপিআরের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যেকোনো সন্ত্রাসীকে নির্মুল করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার পরিমাণ অনেক বেড়েছে। বিশেষ করে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে এসব হামলা হচ্ছে। পাকিস্তান ইন্সটিটিউট ফর কনফ্লিক্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ (পিআইসিএসএস) জানিয়েছে, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার পরিমাণ বেড়েছে। বিগত মাসের তুলনায় ৪২ শতাংশ বেড়েছে।
পিআইসিএসএস বলছে, জানুয়ারিতে দেশজুড়ে অন্তত ৭৪টি সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। এতে ৯১ জন নিহত হয়েছে। যাদের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর ৩৫ জন, ২০ জন বেসামরিক লোক এবং ৩৬ জন সন্ত্রাসী। এছাড়া আহত হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর ৫৩ সদস্য, ৫৪ জন বেসামরিক লোক এবং ১০ জন সন্ত্রাসী।
ঠিকানা/এসআর