Thikana News
২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
ডিজিটাল ট্রাভেলের কর্ণধার নজরুল ইসলাম

আগেভাগেই টিকিট কিনুন, সেল বলতে কিছু নেই 

আগেভাগেই টিকিট কিনুন, সেল বলতে কিছু নেই  সংগৃহীত
‘এয়ারলাইন্সের টিকেটে এখন আর ‘সেল’ বলতে কিছু নেই। যারা ট্রাভেল করবেন তাদের উচিত আগেভাগে টিকেট কিনে রাখা। এতে অর্থ ও সময়, দুটোই সাশ্রয় হবে।’ -এ পরামর্শ দিয়েছেন নিউইয়র্কে স্বনামধন্য ট্রাভেল এজেন্সি এস্টোরিয়া ডিজিটাল ট্রাভেলের প্রেসিডেন্ট ও সিইও নজরুল ইসলাম। 
১০ ফেব্রুয়ারি সোমবার নিউইয়র্কের এস্টোরিয়ায় প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে ‘ঠিকানা’র সঙ্গে আলাপচারিতায় নজরুল ইসলাম বলেন, ইউরোপিয়ান ও আমেরিকানরা আগেভাগে ট্রাভেল প্ল্যান করে টিকেট কিনে রাখেন। এখন এশিয়ার বিভিন্ন দেশের মানুষ তাদের অনুসরণ করছেন। এক্ষেত্রে বাংলাদেশিরা অনেকটাই পিছিয়ে পড়ছেন। তারা অপেক্ষা করেন কখন সেল আসবে। কিন্তু এখন আর ‘সেল’ বলতে কিছু নেই। বরং সেল-এর জন্য অপেক্ষা করতে গিয়ে একটা সময় তারা বেশি দাম দিয়ে টিকেট কিনছেন। 
তিনি বলেন, অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি আছেন, যারা প্রতি বছর সামারে নিজ দেশে অথবা অন্য দেশে বেড়াতে যান। তাদের বেড়াতে যাওয়ার আগাম পরিকল্পনা থাকলেও আগাম টিকেট কাটেন না। অথচ পরে ৫০০ থেকে ৭০০ ডলার বেশী দিয়ে টিকেট কিনছেন। 
নজরুল ইসলাম বলেন, নিউইয়র্কের জেএফকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আগে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের প্রতিদিন চারটি করে ফ্লাইট চলাচল করতো। পেন্ডামিকের পর এখন চলাচল করছে মাত্র দুটি। একইভাবে কুয়েত ও কাতারের ফ্লাইট চলাচল কমেছে। ইতিহাদসহ কয়েকটি এয়ারলাইন্সের চলাচলই বন্ধ হয়ে গেছে। 
তিনি বলেন, প্রতি বছর মে থেকে আগস্ট মাস এবং ডিসেম্বর থেকে মধ্য জানুয়ারি পর্যন্ত এয়ারলাইন্সের জন্য হাই সিজন থাকে। এসময় টিকেটের দাম বেড়ে দেড় থেকে দুই গুণ হয়ে যায়। যেহেতু বাংলাদেশিরা সামার বা হাই সিজনে বেশী ভ্রমণ করেন, তখন টিকেটের চড়া মূল্য থাকে। অথচ আগেভাগে টিকেট কিনলে যে টিকেট ১২০০ থেকে ১৩০০ ডলারে পাওয়া যায়, সেলের জন্য অপেক্ষা করতে করতে সেই টিকেট তারা ১৮০০ থেকে ২২০০ ডলারে কেনেন। একজন পরিবারে চারজন সদস্য থাকলে ২০০০ থেকে ২৫০০ ডলার বেশী গচ্চা দিতে হয় টিকেটের জন্য। অথচ একই টিকেট আগে কিনলে এই অর্থ দিয়ে দেশে পরিবার-পরিজনের জন্য ইচ্ছামত শপিং করা যায়। 
নজরুল ইসলাম বলেন, পেন্ডামিকের আগে সামার সেল ছিল। এই সেলের জন্য মানুষ একসময় অপেক্ষা করতেন। এখনো অনেকের সেই ধারণা রয়ে গেছে। এখন লো সিজনে দাম কম থাকলেও কেউ সামারের টিকেট আগেভাগে কিনতে চান না। সংশ্লিষ্ট সবার উচিত এখনই সামারের টিকেট কিনে রাখা। ইতিমধ্যে দাম বাড়তে শুরু করেছে। 
২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এস্টোরিয়া ডিজিটাল ট্রাভেল। ২০০৫ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করে। স্বচ্ছতা ও নির্ভরযোগ্যতার কারণে প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশি কমিউনিটিতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। বর্তমানে প্রতিবছর ৩ থেকে ৪ মিলিয়ন ডলারের টিকেট বিক্রি করে এস্টোরিয়া ডিজিটাল ট্রাভেল। বিশ্বের যে কোনো রুটে এয়ারলাইন্সের টিকেট বিক্রির অনুমোদন রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। 
এস্টোরিয়া ডিজিটাল ট্রাভেলের প্রেসিডেন্ট ও সিইও নজরুল ইসলাম বৃহত্তর সিলেটের কৃতি সন্তান। তার গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজার সদরে। ব্যবসায়িক পরিচয়ের বাইরে তিনি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তিনি বাংলাদেশের অবহেলিত ও বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে গঠিত নিউইয়র্কভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা দ্য অপটিমিস্টসের একজন কর্মকর্তা। 

 

কমেন্ট বক্স