Thikana News
২৫ এপ্রিল ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
বায়োমেডিকেল গবেষণায় অনুদান

ট্রাম্প প্রশাসনের বিলিয়ন ডলার কাটছাঁট

ট্রাম্প প্রশাসনের বিলিয়ন ডলার কাটছাঁট সংগৃহীত
বায়োমেডিকেল গবেষণার অনুদানের প্রশাসনিক ও পরিকাঠামো সংক্রান্ত খরচ থেকে বিলিয়ন ডলার কমানোর ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। এই পদক্ষেপকে বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির পথে বড় বাধা হিসেবে দেখছেন বিজ্ঞানীরা। খবর বিবিসির।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট (এনআইএইচ) জানিয়েছে, গবেষণার ‘পরোক্ষ খরচ’ – যেমন ভবন, বিদ্যুৎ ও সরঞ্জাম সংক্রান্ত খাতে অনুদান কমানো হবে।
এনআইএইচের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমেরিকার উচিত বিশ্বের সেরা চিকিৎসা গবেষণা কেন্দ্র হওয়া। তাই প্রশাসনিক খরচ কমিয়ে যত বেশি সম্ভব তহবিল সরাসরি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় ব্যয় করা জরুরি।

এই নতুন নিয়ম সোমবার থেকে কার্যকর হবে, যা বছরে ৪ বিলিয়ন ডলার (৩.২ বিলিয়ন পাউন্ড) সাশ্রয় করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এনআইএইচ জানিয়েছে, গবেষণার অনুদানে পরোক্ষ খরচের হার সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হবে, যেখানে বর্তমান গড় হার ৩০ শতাংশ। ট্রাম্পের অনানুষ্ঠানিক ব্যয় সংকোচন সংস্থা ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সির (ডিএজিই) পরিচালক ইলন মাস্ক দাবি করেছেন, কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এই হার ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে ফেলেছিল।

ইলন মাস্ক এক্সে লিখেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হাজার হাজার কোটি ডলারের তহবিল থাকা সত্ত্বেও তারা গবেষণা অনুদানের ৬০ শতাংশ ওভারহেড খাতে খরচ করছিল! এটা তো পুরোপুরি প্রতারণা!

কিন্তু বিজ্ঞানীরা এই কাটছাঁটের ফলে গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা গবেষণার ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

আমেরিকান মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, এই অনুদানের সাহায্যেই গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যকর থাকে। এই কাটছাঁট আমেরিকার গবেষণার গতি কমিয়ে দেবে এবং নতুন চিকিৎসা, রোগ নির্ণয় ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করবে।

স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অনকোলজিস্ট ড. অনুশা কালবাসি বলেছেন, "এটি অকল্পনীয় বিপর্যয়। কিছু প্রতিষ্ঠান সাময়িকভাবে বেসরকারি তহবিল থেকে চলতে পারবে, কিন্তু বিদ্যুৎ, ভাড়া, পানি এবং প্রশাসনিক খরচ কে দেবে?"

আমেরিকান কাউন্সিল অন এডুকেশন এক বিবৃতিতে বলেছে, এই অনুদানের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের আধুনিক গবেষণাগার এবং উন্নত প্রযুক্তি বজায় রাখতে পারে, যা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকার জন্য প্রয়োজনীয়।

কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট টেড মিচেল জানিয়েছেন, এই ঘোষণার পর থেকেই অনেক গবেষণাগার বন্ধ হতে শুরু করেছে।

এদিকে, খরচ কমানোর এই প্রস্তাব রক্ষণশীল থিংক ট্যাংক ‘হেরিটেজ ফাউন্ডেশন’-এর ‘প্রজেক্ট ২০২৫’ পরিকল্পনার অংশ। এতে বলা হয়েছে, "কোনো বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা অনুদানের জন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে যে সর্বনিম্ন হার নেয়, সেটিই সরকারি অনুদানের সর্বোচ্চ হার হওয়া উচিত।"

ঠিকানা/এসআর

কমেন্ট বক্স