যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পের শাসন শুরু হয়েছে। পাশাপাশি চলছে ইমিগ্রেশন ক্র্যাকডাউন। স্বাভাবিকভাবেই নগরবাসী ধরে নিয়েছিল নিউইয়র্ক সিটিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। কিন্তু গত দুই সপ্তাহের অপরাধ পর্যালোচনা করে দেখা সিটিতে অপরাধ কমেনি।
নিউইয়র্ক সিটির ওজোন পার্ক এলাকায় গত ২ ফেব্রুয়ারি রোববার রাতে দুর্বৃত্তের গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন এক বাংলাদেশি। ওই দুর্বৃত্ত তার কাছ থেকে মানিব্যাগ ও মুঠোফোন ছিনিয়ে নিতে চাইলে তিনি চিৎকার করলে তাকে গুলি করা হয়। আহত বাংলাদেশির নাম মামুনুর রশিদ। তাকে নিউইয়র্কের জ্যামাইকা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিউইয়র্ক সিটির বাংলাদেশি অধ্যুষিত ওজোন পার্ক এলাকার ১০১ অ্যাভিনিউর ৭৪ স্ট্রিটের কাছে মামুনুর রশিদের বাড়ি। বাংলাদেশে তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলায়। রোববার রাত ১১টার দিকে বেশ তুষারপাত হচ্ছিল। এ সময় তিনি বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছিলেন। এ সময় মুখোশধারী এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি এসে তার কাছে থাকা মানিব্যাগ ও ফোন ছিনিয়ে নিতে চায়। মামুন ভয়ে চিৎকার করলে সেই ছিনতাইকারী গুলি করে পালিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গুলিবিদ্ধ হয়ে মামুনুর রশিদ রাস্তায় পড়ে থাকলে একই এলাকায় বসবাসকারী একজন পুলিশে ফোন করেন। খবর পেয়ে নিউইয়র্ক পুলিশ (এনওয়াইপিডি) অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ঘটনাস্থলে আসে।
মামুনুর রশিদের বন্ধু ফাহাদ হোসাইন বলেন, আহত অবস্থায় পুলিশ মামুনুরকে উদ্ধার করে জ্যামাইকা হাসপাতালে ভর্তি করে। তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন নয় বলে হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি বলে এনওয়াইপিডি সূত্রে জানা গেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মামুনুর রশিদকে দুটি গুলি করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে ব্রঙ্কসে ২ ফেব্রুয়ারি রাতের বেলায় ১৮ বছর বয়সী এক যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। পূর্ব ট্রেমন্ট অ্যাভিনিউ এবং পার্ক অ্যাভিনিউয়ের কাছে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। পুলিশ যখন সেখানে পৌঁছায়, তখন তারা ১৮ বছর বয়সী ওই যুবকের শরীরে একাধিক গুলির চিহ্ন দেখতে পায়। এরপর তাকে সেন্ট বার্নাবাস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় যেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি এবং তদন্ত চলছে।
নিউইয়র্ক সিটি দাবি করছে - নিউইয়র্ক সিটির আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে ভালো।


ঠিকানা রিপোর্ট


