Thikana News
২৫ এপ্রিল ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

নিউইয়র্কে করোনাভাইরাসের  সংক্রমণ আবার বাড়ছে

নতুন আক্রান্তের  সংখ্যা উদ্বেগজনক
নিউইয়র্কে করোনাভাইরাসের  সংক্রমণ আবার বাড়ছে
মহামারি শেষ হয়ে যেতে পারে কিন্তু নিউইয়র্ক রাজ্যজুড়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার আকাশ ছোঁয়া হচ্ছে। রাজ্য স্বাস্থ্য বিভাগ সতর্ক করে দিয়েছে, নিউইয়র্কজুড়ে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা এবং হাসপাতালে ভর্তির হারও বাড়ছে। কর্মকর্তারা এই সময়ে নিউইয়র্কবাসীকে সতর্ক থাকতে বলেছেন।
কোভিড হাসপাতালে ভর্তি বেড়েছে ২২ শতাংশ : রাজ্য স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী কোভিড সংক্রমণের কারণে গত ২ আগস্ট পর্যন্ত আগের সপ্তাহের তুলনায় হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা ২২ শতাংশ বেড়েছে। 
নিউইয়র্ক রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশনার ডাক্তার জেমস ম্যাকডোনাল্ড বলেন, ‘যেহেতু আমরা আবারও রাজ্যে কোভিড-১৯-এর ক্ষেত্রে বৃদ্ধি দেখতে পাচ্ছি, আমি সব নিউইয়র্কবাসীকে অনুরোধ করছি, মনে রাখবেন যে কোভিড একটি চিকিৎসাযোগ্য ও নিরাময়যোগ্য রোগ। কোভিড পরীক্ষাগুলো ব্যবহার করা সহজ এবং সেইসাথে অত্যন্ত নির্ভুল। আপনি যদি কোভিড পজেটিভ হন তবে পরীক্ষা করান। চিকিৎসার বিষয়ে একজন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে কথা বলুন, যা হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যু প্রতিরোধ করতে পারে।’
কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৫৫ শতাংশ : গত সপ্তাহে নতুন কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহের তুলনায় কোভিড আক্রান্তের ঘটনা ৫৫ শতাংশ বেড়েছে।
তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোভিড রোগীর বিষয়ে রিপোর্ট করা হয় না। তাই হাসপাতালে ভর্তি করা উপাত্ত বেশি নির্ভরযোগ্য সূচক। বর্তমানে হাসপাতালের বেডের ধারণক্ষমতা নিয়ে কোনো উদ্বেগ নেই।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা উল্লেখ করেন, মহামারির চরম সংক্রমণ সময়ের তুলনায় এই সংখ্যা এখনো কম।
মহামারির চরম সময়ের তুলনায় সংক্রমণ কম হওয়া সত্ত্বেও রাজ্য স্বাস্থ্য বিভাগ সকল নিউইয়র্কবাসীকে কোভিডের সম্ভাব্য উপসর্গসহ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরীক্ষা করার জন্য অনুরোধ করছে।
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার জেমস স্যাপারস্টোন মহামারির আগে, মহামারি চলাকালে ও পরে গিল্ডারল্যান্ড এলাকায় কাজ করেছেন। করোনার মূল প্রাদুর্ভাব শেষ হওয়ার পরেও স্যাপারস্টোন বলেছেন, কোভিড মৌসুমি রোগ হিসেবে প্রত্যাবর্তন করছে।
স্যাপারস্টোন বলেন, ‘আমাদের ভালো থাকতে হবে। তবে এখনো ৭০ বছরের বেশি বয়সী এবং খুব অল্পবয়সী ও স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকা মানুষের বিষয়ে চিন্তা করতে হবে। আমরা এখনো করোনার কবল থেকে পুরোপুরি মুক্ত নই। আমরা গত গ্রীষ্মে একটি ঢেউ দেখেছি। এখন আবার ভিন্ন রূপ দেখছি।’
রাজ্যব্যাপী দিনে গড়ে ৮২৪ জন কোভিড আক্রান্ত হচ্ছে। স্যাপারস্টোন বলেন, বিগত বছরের তুলনায় নিউইয়র্কবাসীর একটি সুবিধা বেশি আছে। আমাদের কাছে এমন অনেক লোক রয়েছে যারা প্রাকৃতিকভাবে কোভিডের সংস্পর্শে এসেছেন এবং অনেকের প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে। এছাড়া আমাদের আরও বেশি সংখ্যক লোক রয়েছে যাদের অন্তত একটি কোভিডের বুস্টারডোজ রয়েছে। কারও কারও কোভিডের দুই বা তিনটি বুস্টার রয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ প্রায়ই হাত ধোয়া, ঘন ঘন স্পর্শ করা বস্তুগুলো পরিষ্কার করার, মুখোশ পরা এবং অসুস্থতা প্রতিরোধের জন্য যোগ্য হলে টিকা বা বুস্ট করার পরামর্শ দেয়।
রাজ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, আপনার যদি জ্বর, ব্যথা ও ঠাণ্ডাসহ কোভিডের কোনো উপসর্গ থাকে, তাহলে বাড়িতে বসেই স্থানীয় ফার্মেসির মাধ্যমে পরীক্ষা করা উচিত।
স্যাপারস্টোন বলেন, চিকিৎসা শুরু করার জন্য ডাক্তার ও স্বাস্থ্যসেবা ক্লিনিকের কাছ থেকে প্রেসক্রিপশনগুলোও সংগ্রহ করে রাখবেন। মারা না গেলে এগুলো দীর্ঘ সময়ের জন্য আমাদের সাথে থাকবে।
 

কমেন্ট বক্স