ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ক্যান্সার আক্রান্ত মুমূর্ষ রোগী বোন আম্বিয়াকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়ে ঢাকায় বসবাসরত সদ্য সন্তান প্রসবকারী ভাগ্নীকে আসামি করে মামলা করেছে মামা সাইফুল আলম।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার আঠারবাড়ী ইউনিয়নের সদরঘাট এলাকায় পৈতৃকসূত্রে সাড়ে ৫ শতাংশ জমি পান ষাটোর্ধ্ব আম্বিয়া খাতুন। ওই বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর তার শরীরে ক্যান্সার ধরা পড়লে চিকিৎসার খরচ মেটাতে ৩ শতাংশ জমি বিক্রি করে দেন তিনি। আর বাকী ২.৫ শতাংশ জমিতে ঘর করে দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করে আসছিলেন আম্বিয়া খাতুন। গত ৮ আগস্ট, আম্বিয়া খাতুন গোসল করতে গেলে তার আপন ভাই নুরুল আলম দুলাল দলবল নিয়ে বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এসময় অসুস্থ আম্বিয়া বাধা দিলে তাকেও মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। আম্বিয়া সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে চিকিৎসা জন্য পাওয়া ৫০ হাজার টাকা, স্বর্ণের চেইন, কানের দুল, চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রসহ অনান্য কাগজপত্র লুট করে নিয়ে যায়। বিষয়টি থানা পুলিশকে লিখিতভাবে অবহিত করে ভুক্তভোগী পরিবার।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তার বোন, বোন জামাই, ভাগ্নে এবং ঢাকায় বসবাসরত সদ্য সন্তান প্রসব করা ভাগ্নী হ্যাপীকেও আসামী করে মামলা দায়ের করেন মামা সাইফুল আলম।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ইটাউলিয়া গ্রামে আম্বিয়া খাতুনের স্বামী আবুল হাশেমের বাড়িতে অসুস্থ অবস্থায় শয্যাসায়ি আছেন তিনি। তার সঙ্গে কথা হলে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়ে অভিযোগ করে বলেন, ভাই দুলাল, সাইফুল ও তার ভাড়াটিয়া গুন্ডারা তাকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেয়। এবং লোটপাট করে বিভিন্ন মালামাল, ৫০ হাজার টাকা, স্বর্ণের চেইন, কানের দুল, ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে যাওয়ায় ঠিকমতো ওষুধ কিনতে পারছেন না তিনি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত নূরুল আলম দুলালের সঙ্গে কথা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওই জমিবাড়ী আমাদেরেই। এখানে তারা ৫-৬ বছর ধরে থাকতো। বার বার ঘর ছাড়ার জন্য বললেও ঘর ছাড়েনি। মালামাল লুটপাট করার অভিযোগটি সত্য নয়।
ঠিকানা/এসআর