যুক্তরাষ্ট্র অনেকের কাছেই স্বপ্নের দেশ। এ দেশে যারা ইমিগ্র্যান্ট হয়ে আসেন, তাদের কথা ভিন্ন। কারণ তারা কারও না কারও মাধ্যমে আসেন, ফলে তাদেরেকে শুরুতে সহযোগিতা করার মতো মানুষ থাকে। এ জন্য তাদের কাজ পেতে ও সবকিছু করতে সুবিধা হয়। যাদের এখানে কেউ নেই, নতুন আসেন, ভিজিট ভিসা কিংবা অন্য কোনো ভিসায় এখানে আসার পর থেকে যেতে চান, অপরিকল্পিতভাবে চলে আসেন, তাদেরকে সহযোগিতা করার মতো ও সাপোর্ট করার মতো কোনো মানুষ না থাকলে আসার পর অনেকেই বিপাকে পড়েন। কারণ তিনি এখানে আসার আগে যথাযথ পরিকল্পনা করেন না বলেই জানেন না আসার পর কী কী করবেন। এখানে থাকতে হলে কী কাজ তাকে করতে হবে। এখানে আসার পর অনেকেরই কথা শুনে এ দেশে স্ট্যাটাস পরিবর্তন করার জন্য ফাইল করেন। কেউ কেউ পরিস্থিতি না বুঝে পলিটিক্যাল আশ্রয়ের আবেদন করার পরামর্শ দেন। সেটি দিলে এই কেস অনুমোদন না হওয়া পর্যন্ত ও গ্রিনকার্ড না পাওয়া পর্যন্ত চিন্তার শেষ নেই।
এ দেশে আসার পর অনেকেই চাকরি খোঁজেন। তিনি জানেন যে তিনি এখানে ওয়ার্কপারমিট ছাড়া ও স্যোশাল ছাড়া আইনত কাজ করতে পারবেন না। সেটি জানার পরও তারা বিভিন্ন অফিসে কাজ খোঁজেন। কেউ কেউ সর্বনিম্ন বেতনের চেয়ে কম বেতনে ক্যাশে কাজ করেন। তাও আবার সবার ভাগ্যে জোটেও না। জীবনের তাগিদে অনেকেই কাজ না পেয়ে অড জব করেন। অড জব করা অনেক কঠিন।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, যারা আমেরিকায় আসতে চান, তাদের পরিকল্পিতভাবে এ দেশে আসা উচিত। কেউ চাকরি নিয়ে আসতে চাইলে আসতে পারেন। কেউ ব্যবসা করার জন্য এলে সেটিও আসতে পারেন। এখানে কেউ আসার পর চাকরি পেলে তখনো থাকতে পারেন। কেউ কেউ ইনভেস্টমেন্ট ক্যাটাগরিতেও আসতে পারেন। কেউবা স্টুডেন্ট কিংবা অন্য যেকোনো লিগ্যাল স্ট্যাটাস নিয়ে আসতে পারেন। যারা লিগ্যাল স্ট্যাটাস নিয়ে আসেন, তাদের কথা ভিন্ন। তারা এখানে আসার পর কষ্ট করলেও প্রতিনিয়ত লড়াই করতে করতে একসময় টিকে যান। কিন্তু যারা কোনো পরিকল্পনা ছাড়া আসেন, তারা ভোগান্তিতে পড়েন।
সূত্র জানায়, যারা এখানে আসার পর স্ট্যাটাস হারান না, তাদের তেমন কোনো সমস্যা হয় না। তবে যারা স্ট্যাটাস হারান, তারা বিপাকে পড়েন। কেউ কেউ আছেন স্ট্যাটাস হারিয়ে অনেক কষ্টে আছেন। একসময় মানসিক সমস্যা থেকে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
সূত্র আরও জানায়, কিছু কিছু মানুষ আছেন, যারা এখানে আসার পর ঠিক করেন, তারা এখানে থাকতে চান। সে জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি কিংবা পরিচিতজনের সঙ্গে আলাপ করেন। তখন তারা নিজেদের মতো করে পরামর্শ দেন। কেউ কেউ ল’ইয়ারের সঙ্গে পরামর্শ করেন। কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলার বলার ঠিক করেন কী করবেন। এতে সময় লেগে যায় অনেক। ভিজিট ভিসায় ছয় মাস থাকার সময়সীমার মধ্যে বেশ কয়েক মাস চলে যায় এগুলো করতে করতে। না জানার কারণে অনেকেই কোনটি তার জন্য সবচেয়ে ভালো হবে, সেই সিদ্ধান্ত নিতেও পারেন না।