Thikana News
১৩ জানুয়ারী ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫
ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীনের মুখোমুখি আন্দালিব পার্থ

রাজনীতির মান প্রতিদিন নিচের দিকে যাচ্ছে

রাজনীতির মান প্রতিদিন নিচের  দিকে যাচ্ছে ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীনের মুখোমুখি আন্দালিব পার্থ ও জোনায়েদ সাকী।
দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যে দ্বিতীয় প্রজন্ম এসেছে। তারা আন্তর্জাতিক মানে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। কিন্তু রাজনীতিতে এমন কিছু ঘটছে না। প্রতিদিন মান নিচের দিকে যাচ্ছে। এটা গত ১৫ বছরে শুধু নয়, নব্বইয়ের কিছু আগে থেকেই এই প্রবণতার শুরু। এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি- বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ। দেশপ্রেমিক ও ভালো মানুষরা রাজনীতিতে যাতে বেশি সুযোগ পায়- ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন টকশোতে এসে সেই তাগিদ দিলেন তিনি।
এই আলোচনা অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরো ছিলেন বিকল্পধারা বাংলাদেশ-এর মুখপাত্র মাহী বি চৌধুরী। গত ১৫ বছরের রাজনীতির নানা মেরুকরণ নিয়ে কথা বলেন দুই রাজনীতিবিদ। এই অনুষ্ঠান সরাসরি হয়েছে ৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার নিউইয়র্ক সময় বেলা ১১টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা)।
রাজনীতিতে ভালো মানুষদের আসা প্রয়োজন- এ বিষয়টির সঙ্গে একমত মাহী বি চৌধুরী। এর সঙ্গে তিনি আরো বলেন, মানুষ অহঙ্কারী কাউকে রাজনীতিতে দেখতে চায় না। আর যারা শতভাগ দেশপ্রেমিক, এমন মানুষদের প্রয়োজন রাজনীতিতে।
“২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে আমি দেশপ্রেমের পরিচয় দিতে পারিনি। কারণ তখন দেশের চেয়ে নিজের স্বার্থটা বেশি দেখেছি, তাই দেশপ্রেমের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারিনি”, যোগ করেন বিকল্পধারার এই নেতা।
সদ্যই বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য লন্ডন গিয়েছেন। তার যাত্রার আগেই শুভ কামনা জানিয়ে ফেসবুক বার্তা দেন মাহী বি চৌধুরী। এরমধ্যে কোনো রাজনৈতিক ব্যাপার আছে কি না- জানতে চান ঠিকানা টিভির প্রধান সম্পাদক খালেদ মুহিউদ্দীন। এ নিয়ে মাহী বি চৌধুরীর দাবি, পুরো বিষয়টি ব্যক্তিগত। এখানে কোনো রাজনীতি নেই।
তবে আন্দালিব রহমান পার্থ মনে করছেন, কোনো রাজনীতিবিদ যখন জনসম্মুখে কোনো বিষয় প্রকাশ করে, তখন তা আর ব্যক্তিগত থাকে না। এরফলে তারমধ্যে রাজনীতিও চলে আসে।
নানা টানাপড়েনের মধ্যেও গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ সরকারের বিরোধিতায় সোচ্চার ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি- বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব পার্থ। তিনি বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে যখন জোট থাকলো না, তখন অনেকে ভেবেছিল আমি আওয়ামী লীগের জোটে যাবো কি না। কিন্তু আমি যাইনি। গুলশানে যখন ফারুক সাহেব মারা গেলেন, সেখানে নির্বাচন করবো, এমন আলোচনাও ছিল। কিন্তু আমি নির্বাচনে যাইনি। সেখানে হিরো আলমকে সমর্থন করেছিলাম।’ সেই সময় মাঠের রাজনীতিতে হিরো আলমের যে সাহসিকতা, তার প্রশংসা করেন পার্থ।

কমেন্ট বক্স