জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানকে স্বাগত জানিয়ে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনী ও ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) শরীফুল হক ডালিম বলেছেন, ‘নতুন প্রজন্মের ছাত্র-জনতা আংশিক বিজয় অর্জন করেছেন। তাদের জানাই লাল সালাম।’ তার কথায়, ‘একটি রাষ্ট্রে বিপ্লব হল চলমান প্রক্রিয়া। এই আবহে তারা পূর্ণ বিজয় অর্জন করেনি। এর জন্য আরও সময় লাগবে।’ গত ৫ জানুয়ারি রোববার নিউইয়র্ক প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াছ হোসেনের ব্যক্তিগত ইউটিউব চ্যানেল দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন মেজর ডালিম।
এদিকে এই সাক্ষাৎকারটি অল্পসময়ের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। সাক্ষাৎকারে মেজর ডালিমের বক্তব্য নিয়ে বিভিন্ন মহলে শুরু হয় আলোচনা, সমালোচনা ও বিতর্ক। দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রচার করে।
ভারতের হিন্দুস্তান টাইমস বাংলায় মেজর ডালিমের সাক্ষাৎকার নিয়ে একটি খবর প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত খবরে উল্লেখ করা হয়েছে, মেজর ডালিম এখন কোন দেশে আছেন, তা সাক্ষাৎকারে গোপন রাখা হয়েছে। ওই সাক্ষাৎকারে শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার ঘটনা প্রসঙ্গে মেজর ডালিম বলেন, ‘মুজিব মারা যাননি। সেনা অভ্যুত্থানে নিহত হয়েছেন। স্বৈরাচারী শেখ মুজিব তাঁর জুলুমের মাত্রা এত তীব্র করে তুলেছিলেন যে মানুষ তাঁর থেকে মুক্তি চেয়েছিল। সেনা অভ্যুত্থান তো আর খালি হাতে মার্বেল খেলা না। ওখানে দুই পক্ষ থেকেই গোলাগুলি হয় এবং হতাহত হয় দুইপক্ষেই।’
মেজর ডালিম জানিয়েছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাঁকে দিল্লিতে অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। তিনি আরো দাবি করেন, জিয়াউর রহমান মুজিববিরোধী অভ্যুত্থানে প্রথমে তাঁদের সঙ্গেই ছিলেন। পরে তিনি সরে গিয়েছিলেন।
মুজিব হত্যা নিয়ে মেজর ডালিমের বক্তব্য, ‘১৫ অগস্ট কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না। এটার সূত্রপাত ঘটেছিল মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন। আমরা বুঝতে পেরেছিলাম বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধটা কাদের স্বার্থে হচ্ছে, নাকি অন্য কোনও উদ্দেশ্যে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় থেকেই এর শিকড় বিস্তৃত হয়েছিল। ১৫ অগস্ট একটি সামরিক বিপ্লব ছিল। এতে উভয় পক্ষের লোকজন হতাহত হয়। তবে বিপ্লবীরা বিজয়ী হয়ে ক্ষমতা দখল করে নেয়। এরপর লাখ লাখ মানুষ আনন্দ মিছিল করে, এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো জনসমর্থন নিয়ে প্রকাশ্যে আসে। এর মাধ্যমে এই সামরিক অভ্যুত্থান জনসমর্থন লাভ করে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা সম্প্রসারণবাদী-হিন্দুত্ববাদী ভারতের কবলে চলে গিয়েছি প্রায়। সেই অবস্থান থেকে ১৯৭১ সালের মতো আরও একটি স্বাধীনতা অর্জন করতে হবে। না হলে বর্তমানের এই বিপ্লব ব্যর্থ হবে।’
এদিকে ‘বিশেষ লাইভে যুক্ত আছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর ডালিম (বীর বিক্রম)’ শিরোনামের সাক্ষাৎকারটি সঞ্চালনা করা হয় যুক্তরাষ্ট্র থেকে। অতিথি হিসেবে থাকা মেজর ডালিমের অবস্থান সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে সাক্ষাৎকারের পুরো সময়জুড়ে মেজর ডালিমের ব্যাকগ্রাউন্ড একাধিকবার পরিবর্তন করা হয়েছে।
সাক্ষাৎকারটির শুরুতে জনৈক ‘রফিক’ নামেই সামনে আসেন তিনি। কিন্তু কিছুক্ষণ পর পরিবর্তন করে মেজর ডালিম লেখা হয়। সাক্ষাৎকারটি লাইভ চলাকালীন একসঙ্গে ৭ লাখ ৫৪ হাজার দর্শক দেখেছেন, যা ইউটিউবে নতুন রেকর্ড গড়েছে।
সাক্ষাৎকারটি প্রচারের পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সাড়া ফেলে দেয়। জন্ম দিয়েছে আলোচনা-সমালোচনার। ইউটিউব কর্তৃপক্ষ সাংবাদিক ইলিয়াছ হোসেনকে জানিয়েছে, তাদের প্ল্যাটফর্মে এ ধরনের কোনো অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে এটি নজিরবিহীন।
২ ঘণ্টা ৩ মিনিট ৩২ সেকেন্ডের সাক্ষাৎকারটি দর্শকদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আলোচ্য হয়ে উঠেছে, যেখানে মেজর ডালিম তার জীবনের অজানা অধ্যায় ও নানা বিতর্ক নিয়ে খোলামেলা মতপ্রকাশ করেন। সাংবাদিক ইলিয়াসের সাক্ষাৎকারটি এখন পর্যন্ত ১৫ ঘণ্টায় ৫৯ লাখ ২৪ হাজার জন দেখেছেন। মন্তব্য করেছেন ৩৬ হাজার ৮০৩ জন দর্শক।
মন্তব্যগুলো বিশ্লেষণে দেখা গেছে, খুব অল্প সংখ্যক মানুষই মেজর ডালিম কিংবা সাক্ষাৎকারের সঞ্চালক সাংবাদিক ইলিয়াছ হোসেনের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন। অন্যদিকে বেশিরভাগ মানুষই তাদের জাতীয় হিরো হিসেবেই আখ্যা দিয়েছেন।
স্ত্রীকে অপহরণ প্রসঙ্গে যা বললেন ডালিম : স্ত্রীকে অপহরণ প্রসঙ্গে ইলিয়াছের প্রশ্নের জবাবে মেজর ডালিম বলেন, ‘এটা একটা মজার ঘটনা। আমার বইতে লেখা আছে যদিও। আমার এক খালাতো বোন। তার নাম পারভিনা। তার বিয়ে ঠিক করেছিলাম আমি আর নিম্নি কর্নেল অলিউল্লার সঙ্গে। যে আমাদের চেয়ে জুনিয়র। বিয়ে ও অনুষ্ঠান হবে লেডিস ক্লাবে। দু’পক্ষই আমাদের পরিচিত। তখন আমরা কী করলাম, সমস্ত অ্যারেঞ্জমেন্টের দায়িত্ব আমাদের ওপর এলো। এতো মানুষের সঙ্গে যে পরিচিত, তো কাকে রাখি আর কাকে বাদ দিই। দুই তরফে দুই থেকে তিন হাজারের মতো লোক ইনভাইট করা হলো। চলছে বিয়ের আসর। তখন আমার একমাত্র শালা যার নাম বাপ্পী। সে ম্যাগগিল ইউনিভার্সিটিতে পড়ত। ছুটিতে আসছে দেশে। হি ওয়াজ অলসো প্রেজেন্ট ইন দি সিরিমনি। আমি আর নিম্নি তো দুই পক্ষের হোস্ট বলা যায়।
সবার দেখাশোনা করছি। বাপ্পি বসে আছে ছেলেদের যেখানে বসার জায়গা সেখানে। তখন লম্বা চুলের একটা ফ্যাশান ছিল আরকি। সে অন্যান্য গেস্টদের সঙ্গে বসে ছিল। তার পেছনের রো তে গাজী গোলাম মোস্তফা, হিজ ওয়াইফ ওয়াজ অলসো ইনভাইটেড ইন দ্য ফাংশন ফ্রম দি আদার সাইড। নট ফ্রম আওয়ার সাইড। মানে ছেলে পক্ষের। গাজী গোলাম মোস্তফার ছেলেরা ও সাঙ্গপাঙ্গরা পেছনের সিটে বসা। তাদের মধ্যে একটা ছেলে বাপ্পির চুল টান দিল পেছন দিক থেকে। বাপ্পি ভদ্র মানুষ, বিদেশে থাকে, বিদেশে বড় হয়েছে, সে কিছু বলে নাই। আবার ওরা চুল টান দিল। দ্বিতীয়বার টান দেয়ার পরে বাপ্পি পেছনে তাকিয়ে দেখলো যে একটা ছেলে। তারপর সে বলল, তুমি চুল টান দিয়েছে? বলল হ্যাঁ, বলল, কেন? বলল আমরা দেখছিলাম এতো সুন্দর চুল। এটা কি পরচুলা না আসল? আচ্ছা চিন্তা করো যে, সে তখন ইউনিভার্সিটিতে পড়ে, আর এই পুচকে ছেলে তখন যে স্কুলেও পড়েনা বা স্কুলে সিক্স-সেভেনে পড়ে মনে হয়। তখন বাপ্পি বলে, বেয়াদব ছেলে। তুমি আর এখানে বসবে না।
অন্য কোথাও গিয়ে বসো। ওরা বেরিয়ে চলে গেল। আমরা কিছুই জানি না। আমি আর নিম্নি এতই ব্যস্ত, দুই পক্ষের দেখাশোনা, খাওয়া-দাওয়া চলছে। হঠাৎ দেখলাম রেডক্রসের দুটো মাইক্রোবাস। আর একটা সবুজ রঙয়ের গাড়ি। গাড়ি আগে ও পেছনে দুই মাইক্রোবাস আসলো, থামলো। দুইটা মাইক্রোবাস থেকে প্রায় ৮ জন সাদা পোশাকপরা লোক নামলো। আর প্রথম গাড়ি থেকে নামলো গাজী গোলাম মোস্তফা। তার স্ত্রী কিন্তু উপস্থিত মেয়ে মহলে। উনি গাড়ি থেকে নেমেই চিৎকার করতে শুরু করলেন মেজর ডালিম কোথায়? মেজর ডালিম কোথায়? বহুত বাড় বাড়ছে।
আর সহ্য করা যায় না। আমি অবাক হয়ে গেলাম এরকম চিৎকার করছে কে? একজন ছেলে আসলো। এসে বলল, আপনাকে খোঁজ করছে গাজী গোলাম মস্তফা, চিৎকার করছে। তার সাথে আট দশজন স্টেনগানধারী লোক আছে। মাইন্ড ইউ, তখন কিন্তু আর্মি ওয়াজ ডেপ্লোয়েড ইন দ্য হোল কান্ট্রি টু রিকোভার ইলিগ্যাল আর্মস। আর ঢাকা হেডকোয়ার্টার্স ছিল রেসকর্স। আমরাও সেই অপারেশনে যুক্ত ছিলাম। যাইহোক, আমি বাইরে আসলাম। আমি গোলাম মোস্তফার সামনা-সামনি বারান্দাতে। বললাম, আমিই মেজর ডালিম। আপনি আসুন, বেগম সাহেবাতো আছেন ভেতরে, আপনি আসুন। বর-বধূকে দোয়া করে যান।
তিনি বললেন, হারামজাদা বাড় বাড়ছে আর্মির, আজকে আমি উচিত শিক্ষা দেব। আমি দেখলাম আমার চারদিকে স্টেইনগান ঠেকালো প্রায় চার-পাঁচজন মানুষ। আর চার-পাঁচজন দাঁড়িয়ে। আমি বললাম, এটা কি? আমি একজন ...(অস্পষ্ট) মানুষ। আমার স্কট আছে ওখানে প্রায় চার পাঁচজন। ওয়্যারলেস আছে। আই ক্যান কল এনিওয়ান এনিটাইম ... একি অবস্থা। এরকম বিয়ের মধ্যে হুলস্থূল কাণ্ড। বললাম, দেখেন কিছুই হয়নি। ব্যাপার কি? আপনি এতটা উত্তেজিত কেন। বললেন, ওঠ! এই উঠা মাইক্রোতে। আমাকে ঠেলতে ঠেলতে নিয়ে যাচ্ছে মাইক্রোতে। বললাম, ব্যাপার কি? এটাতো একটা বিয়ে বাড়ি। একটা মেয়ের বিয়ে হচ্ছে। আর আপনি আমাকে বলছেন- উঠ। আমার কাপড়-চোপড় ধরে টেনে চার-পাঁচজন মিলে আমাকে উঠালো। খবর চলে গেল অন্দরমহলে। নিম্নি আর আমার শাশুড়ি, আমার খালা শাশুড়ি মানে কন্যার মা। উনি বেরিয়ে আসলেন।
বললেন, কী ব্যাপার! তারা দেখেন যে আমাকে এরকম আমাকে ঠেলাঠেলি করে উঠানো হচ্ছে মাইক্রোবাসে। আমি মাইক্রোবাসে উঠালাম। উঠে দেখি চুল্লু আর আলম নামে দুইজন... ওদেরকেও মারতে মারতে রক্ত বের করে ফেলেছে। মুখ দিয়ে রক্ত ঝরছে। আহত অবস্থায় তারাও মাইক্রোবাসে। তখন আমার খালাম্মা গাজীকে বললেন, গাজী সাহেব আপনি কী করছেন! আমার মেয়ের বিয়ে হচ্ছে। তারা বরপক্ষেরও আবার কন্যা পক্ষেরও। হয়েছে কি? ওরাতো ব্যস্ত। বলে কী আমি ওদেরকে উচিত শিক্ষা দেব। তখন আমার স্ত্রী বলল যে, তাকে (আমাকে) একা নিয়ে যেতে পারবেন না। আপনি আমাকেও সঙ্গে নিয়ে যান। ঠিক আছে চল। ওরেও ধাক্কা দিয়ে উঠায় দিল মাইক্রোবাসে। তখন আমার খালা বললেন, গাজী সাহেব আপনি কিন্তু বাড়াবাড়ি করছেন। যেখানে আপনি নিয়ে যেতে চান আমিও যাব সঙ্গে। গাজী তখন ঢাকা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে মেজর ডালিম বলেন, ‘তখন আওয়ামী লীগের সভাপতি নয়, হি ওয়াজ অলসো দি চেয়ারম্যান অব দ্য রেডক্রস।’
মেজর ডালিম বলেন, ‘তখন ঢাকা শহরে গাজী হলো মুজিবের সবচেয়ে বড় লাঠিয়াল সরদার। অশিক্ষিত মুর্খ মানুষ সাধারণত রেডক্রসের চেয়ারম্যান হয় না। কিন্তু ওকে বানানো হয়, যাতে লুট ও রিলিফের মাল চুরি করতে সুবিধা হয়। যাইহোক, সেটা অন্য ব্যাপার। তারপর আমাদেরকে নিয়ে উনি গাড়ি ঘুরিয়ে চললেন প্রথম ফার্মগেটে দিকে। ফার্মগেট দিয়ে ভেতরে ঢুকার পরে আমি দেখলাম যে, আরে সর্বনাশ কোথায় যাচ্ছে রক্ষীবাহিনী ক্যাম্পে নাকি! তখন চিন্তা করছি কী করি। এর মধ্যে আমার খালা আর নিম্নি নিজেদের শাড়ি ছিড়ে চুল্লু আর আলমকে ব্যান্ডেজ করে দিয়েছে, যেখানে যেখানে ক্ষত। আমি হঠাৎ বললাম, গাড়ি থামাও ড্রাইভার। ইন দ্য মিইনটাইম স্বপন ও বাপ্পি ওরা কিছু গেস্টকে বাড়ি পৌঁছে দেয়ার জন্য বোধহয় নিয়ে গিয়েছিল গাড়িতে করে বা গাড়ি আসছিল, না হয় দেরি হয়েছিল এমন কিছু। তো আমি বললাম গাড়ি থামা।
ড্রাইভার গাড়ি থামায় দিল। আমার গাড়িতে প্রায় চারজন স্টেইনগানধারী লোক। তাদের একজনকে বললাম যে, গাড়িতে যিনি বসে আছে গোলাম মোস্তফা গাজী, নেমে এখানে আসতে। তারপর সেই লোকটা স্টেইনগান নিচে নামালো এবং গাজীর কাছে গেলো। গাজীও তখন থেমে গেলো। তখন মনে হলো ওরা তাকে বলছে-আপনাকে ডাকছে। তারপর গাজী আমাদের মাইক্রোবাসে আসলো। তখন আমি গাজীকে বললাম, গাজী সাহেব আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন জানি না। কিন্তু একটা কথা মনে রাখবেন, আপনি আমাদেরকে রেডক্রসের মাইক্রোবাসে নিয়ে আসলেন হাজার হাজার মানুষ যারা উপস্থিত ছিলো তারা দেখলো। আমাদের সঙ্গে যাই করেন আপনি কিন্তু পার পাবেন না। এটা শোনার পর গাজী ঘাবড়ে গেলো।
আমি বললাম, গাজী সাহেব আমি আপনাকে একটা পরামর্শ দিই। ... আপনি আগে পারমিশন নেন, না হলে বাঁচতে পারবেন না। এরমধ্যে আমার ছোটভাই স্বপন (বীর বিক্রম) লেডিস ক্লাবে ফেরত আসছে। ওরা ঘটনা শুনেই ওখান থেকে স্বপন সোজা চলে গেলো ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে। সেখানে বলল, বিয়ে বাড়ি থেকে কিডন্যাপ করেছে। এই বিয়েতে কিন্তু জিয়াউর রহমান, শফিউর ও খালেদ মোশারফসহ সবাই উপস্থিত ছিলেন। এই খবর পাওয়ার পর সিইও অব দ্য এমপি ইউনিট সবখানে জানিয়ে দিলো। এরপর অফিসাররা যে যেভাবে সবাই ঢাকা শহরে বের হয়ে আসলো। তারা খুঁজতে লাগলো আমাদের অ্যাবডাকডেটড অফিসারের ওয়াইফ কোথায়। একদল অফিসারকে গাজীর বাড়িতে পাঠানো হলো। সেখানে যারা ছিলো তাদের সবাইকে বন্দী করা হলো।