ইসলামের নিদর্শন হিসেবে টুপির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এছাড়া মুসলমান পুরুষদের জন্য টুপি কিন্তু সৌন্দর্যেরও প্রতীক। রাসুল (সা.) টুপি পরিধান করতেন। বিশেষ করে নামাজের সময় অবশ্যই মাথায় টুপি পরতেন।
আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘তোমরা নামাজের সময় তোমাদের সর্বোৎকৃষ্ট পোশাক পরিধান করো।’ (সুরা আরাফ ৩১) এ আয়াত থেকে বোঝা যায়, নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রে পোশাক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
হাসান ইবনে আলী (রা.) সম্পর্কে এসেছে, তিনি নামাজের সময় সর্বোৎকৃষ্ট পোশাক পরতেন। একদিন কেউ তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহতায়ালা সুন্দর এবং তিনি সুন্দরকে পছন্দ করেন। তাই আমি আমার প্রভুর জন্য সুন্দর পোশাক পরি। (রুহুল মাআনি ৪/৩৪৯)
যেহেতু টুপি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে এবং রাসুল (সা.)-ও নামাজে তা পরিধান করতেন, এজন্য ফুকাহায়ে কেরাম নামাজে টুপি পরা সুন্নত বলেছেন এবং অবহেলা করে টুপি না পরে নামাজ পড়াকে মাকরুহ বলেছেন, যদিও নামাজ আদায় হয়ে যাবে। (কাজিখান ১/১৩৫)
অনেকের মতে নামাজে টুপি পরা মুস্তাহাব এবং চার ইমামের সবাই বলেন, নামাজ আদায়ের সময় টুপি পরিধান করা মুস্তাহাব আর অবহেলা করে টুপি পরিধান না করে নামাজ পড়া মাকরুহ, যদিও নামাজ আদায় হয়ে যাবে (তাতারখানিয়া ১/৫৬৫)
রাসুল (সা.) তিন ধরনের টুপি পরিধান করতেন। এ সম্পর্কে আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.)-এর বর্ণনা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের তিন ধরনের টুপি ছিল। সাদা তুলার আস্তরণের টুপি, ডোরাদার ইয়ামেনি চাদরের টুপি এবং কানঢাকা টুপি। শেষোক্ত টুপিটি তিনি সফরকালে পরতেন।’ (আখলাকুন নবী ২/৩১৫)
ঠিকানা/এসআর