‘এ২৩এ’–এর পুরুত্ব এতটাই বেশি যে এর নিম্নভাগ দক্ষিণ মহাসাগরের অংশ ওয়েডেল সাগরের তলদেশ স্পর্শ করেছিল। আর সেখানেই স্থির হয়ে ছিল ৩০ বছরের বেশি সময়।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ‘এ২৩এ’ নতুন করে ২০২০ সাল থেকে উত্তর দিকে সরে যেতে শুরু করেছে। এর আগে সাউথ অর্কনে দ্বীপপুঞ্জের কাছে এক বিশাল পানির ঘূর্ণাবর্তে ঘুরছিল এটি।
গত শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভে (বিএএস) বলেছে, হিমশৈলটি এখন আরও উত্তরে ভেসে চলেছে।
বিএএসের সমুদ্রবিজ্ঞানী অ্যান্ড্রু মেইজার্স বলেন, ‘দীর্ঘদিন এক স্থানে আটকে থাকার পর এ২৩এ আবার সরে যাচ্ছে—এটা দেখা রোমাঞ্চকর! এর আগে অ্যান্টার্কটিকা মহাসাগর থেকে যেসব বড় হিমশৈল সরে গেছে, এ২৩এ সেই একই পথ অনুসরণ করে কি না, আমরা তা দেখতে উৎসুক।’
বিজ্ঞানীরা বলছেন, তারা ধারণা করছেন, এ২৩এ শেষমেশ অ্যান্টার্কটিকা মহাসাগর থেকে সরে আটলান্টিক মহাসাগরে যাবে। সেখানে এটিকে উষ্ণ পানির মোকাবিলা করতে হবে। একপর্যায়ে তা ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গলে যাবে।
অ্যান্ড্রু মেইজার্সসহ ওই প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা এখন স্থানীয় প্রতিবেশের ওপর হিমশৈলগুলো সরে যাওয়ার প্রভাব পরীক্ষা করে দেখছেন। এক বছর আগেই ‘আরআরএস স্যার ডেভিড অ্যাটেনবরো’ জাহাজের আরোহী গবেষকেরা এ২৩এ–এর চারপাশের পানি থেকে তথ্য–উপাত্ত সংগ্রহ করেছেন।
ঠিকানা/এসআর