প্রতিটা মুহূর্ত কাটছে রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষায়। কারণ ৪২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও ১৫০ ফুটের ‘মরণ কুয়ো’য় এখনও আটকে ছোট্ট আরিয়ান। সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টা নাগাদ মায়ের সঙ্গে ক্ষেতে যাওয়ার পথে ১৫০ ফুট গভীর কুয়োয় পড়ে যায় আরিয়ান। নলকূপ বসানোর জন্য ওই গর্ত খোঁড়া হয়েছিল। ঘটনাটি ভারতের রাজস্থান রাজ্যের দৌসার এলাকার। তার পর থেকেই শুরু হয় উদ্ধারকাজ।
শিশুটিকে উদ্ধার করতে তড়িঘড়ি সেখানে উপস্থিত হয় জাতীয় ও রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। কুয়োর পাশে সমান্তরালভাবে গর্ত খোলার জন্য আর্থমুভার, ট্রাক্টর মোতায়েন করা হয়।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আরিয়ানকে উদ্ধারের কাজে খুব একটা অগ্রগতি হয়নি। ব্যর্থ হয়েছে সব ‘দেশি পদ্ধতি ’। এই অবস্থায় ওই মূল গর্তের পাশে অন্য একটি তির্যক গর্ত খুঁড়ে শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা শুরু হয়েছে। বলা যেতে পারে উদ্ধারকারী দলের কাছে এটাই এখন শেষ উপায়। ভেতরে যাতে অক্সিজেনের সমস্যা না হয় তার জন্য পাইপের মাধ্যমে অক্সিজেন পাঠানো হচ্ছে। ভেতরে ক্যামেরা প্রবেশ করিয়ে শিশুটির শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার রাতেই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে পৌঁছান রাজস্থানের মন্ত্রী কিরোড়ি লাল মিনা। দৌসার পুলিশ সুপার রাজনীতা শর্মা বলেছেন, ‘আমরা গতকাল একটি ক্যামেরা পাঠিয়েছিলাম। তাতে দেখা গিয়েছে বাচ্চাটি নড়ছে। এখন মনে হচ্ছে, বাচ্চাটি ঘুমিয়ে পড়েছে। আমরা সবরকম চেষ্টা করছি।’
শিশুটির বাবা জগদীশ মীনা বলেছেন, ‘আমার স্ত্রী ক্ষেতে ছিল। ওই সময় ওর সঙ্গেই আরিয়ান ছিল। পা পিছলে খোলা কুয়োয় পড়ে যায়। এই কুয়োটি ৩ বছর আগের। এখন কেউ ব্যবহার করে না।’
কাজে গতি আনতে মঙ্গলবার রাত ৩টা থেকে কাজে নেমেছে নয়া মেশিন। বোরওয়েলের পাশে তির্যকভাবে সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ শুরু হয়েছে। এটাই এখন শেষ রাস্তা বলে মনে করছে প্রশাসন। সূত্র : ডেকান হেরাল্ড
ঠিকানা/এসআর