Thikana News
১০ মে ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শনিবার, ১০ মে ২০২৫

পল্টন থেকে আগরতলা অভিমুখে বিএনপির লংমার্চ শুরু

পল্টন থেকে আগরতলা অভিমুখে বিএনপির লংমার্চ শুরু সংগৃহীত ছবি

আগরতলা অভিমুখে লংমার্চ শুরু করেছে বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠন। 'ভারতীয় আগ্রাসন' এর প্রতিবাদে আজ ১১ ডিসেম্বর (বুধবার) সকাল ৯টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টন থেকে এ লংমার্চ শুরু হয়। লংমার্চের উদ্বোধন করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

এসময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘দিল্লির সাম্প্রদায়িক শাসকেরা শুনুন! আপনারা লেডি ফারাওকে ১৬ বছর ধরে ক্ষমতায় রাখতে সমর্থন দিয়েছেন। আজ ভারত গণতান্ত্রিক দেশগুলোর সমালোচনার সম্মুখীন। ভারত চায় না বাংলাদেশ তার জনগণের ইচ্ছায় চলুক।’

এর আগে আজ সকাল ৭টা থেকে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের হাজারো নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে একত্রিত হতে শুরু করেন। তাদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড ও পোস্টার, মাথায় রঙিন টুপি। সেখানে সমাবেশ শেষে শুরু হয় লংমার্চ।

সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নয়াপল্টন থেকে লংমার্চ শুরু হয়ে পল্টন-ফকিরাপুল-ইত্তেফাক মোড় হয়ে ফ্লাইওভারে উঠেবে। এরপর সাইনবোর্ড-চিটাগং রোড-কাঁচপুর মোড়-তারাবো-বরফা-ভুলতা, গাউছিয়া-চনপাড়া, মাধবদী-পাঁচদোনা-সাহেপ্রতাব, ভেলানগর-ইটখোলা-মারজাল-বারুইচা হয়ে ভৈরব পৌঁছাবে লংমার্চ।

এরপর ভৈরবে পথসভা করে আখাউড়া স্থলবন্দর অভিমুখে রওনা হবে। গন্তব্য হবে আখাউড়া সীমান্ত পর্যন্ত। লংমার্চ চলাকালে ভৈরব ও আখাউড়া স্থলবন্দরে হবে সমাপনী সমাবেশ।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে জানান, আখাউড়া পৌঁছানোর আগে প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে সমাবেশ স্থলে উপস্থিত হবেন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির অঙ্গ সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ‘ঢাকা টু আখাউড়া লংমার্চ’ শুরু করেছে। লংমার্চের উদ্বোধন করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, কলকাতায় জাতীয় পতাকার অবমাননা ও উসকানিমূলক অপপ্রচারের প্রতিবাদে আজ ১১ ডিসেম্বর (বুধবার) সকাল ৯টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে এই লংমার্চ শুরু হয়।

সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রিজভী বলেন, ‘দিল্লির সাম্প্রদায়িক শাসকেরা শুনুন! আপনারা লেডি ফারাওকে ১৬ বছর ধরে ক্ষমতায় রাখতে সমর্থন দিয়েছেন। আজ ভারত গণতান্ত্রিক দেশগুলোর সমালোচনার সম্মুখীন। ভারত চায় না বাংলাদেশ তার জনগণের ইচ্ছায় চলুক।’

উল্লেখ্য, গত ২ ডিসেম্বর ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় অবস্থিত উপ-হাইকমিশনে হামলা চালানো হয়। হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি নামের একটি সংগঠনের সমর্থকরা এ হামলা চালায়। হামলাকারীরা উপ-হাইকমিশনের ভেতরে ঢুকে বাংলাদেশের পতাকা নামিয়ে আগুন দেয় ও ভাংচুর চালায়। এ ঘটনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে বলেন, উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে যে হামলা হয়েছে, তা পূর্বপরিকল্পিত বলে আমাদের ধারণা। সহকারী হাইকমিশনের ভেতরে ঢুকে বাংলাদেশের পতাকা নামিয়ে তাতে আগুন দেওয়া এবং ভাঙচুর করা ভিয়েনা কনভেনশনের সুস্পষ্ট বরখেলাপ।

একই ঘটনায় গত ৮ ডিসেম্বর ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনার অভিমুখে পদযাত্রা করে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। নয়াপল্টন থেকে পদযাত্রাটি রামপুরা গেলে আটকে দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে একটি প্রতিনিধি দল ভারতীয় হাইকমিশনারে গিয়ে স্মারকলিপির দেন।

ঠিকানা/এসআর

কমেন্ট বক্স