আজ আমার ভেতরটা আমি তোমায়
উঠোনের মতো খুলে দেখাতে চাই,
চেয়ে দেখো সেখানে পড়ে আছে কিছু-
ভালোবাসার রৌদ্র পোড়া ছাই।
এ কারও বেদনার পরিতাপ নয়, নয় কাক্সিক্ষত কোনো নির্ভর স্বর-
এ শুধু দুর্মর বিরহের অব্যক্ত বিলাপধ্বনি,
খিল এঁটে ঘুমায় পাড়া, ঘুমায় লক্ষ্মীন্দর।
দহনকাল গিয়েছে কবে আপনারে কুর্নিশ করি-
স্মৃতির ভাগাড়ে আছে পড়ে-
কীটাণু কীট- আঁধার শর্বরী।
কোথায় খুঁজিব তারে, কোন শীতলক্ষ্যার ধারে-
হিমবাহ গ্রাস করেছে নক্ষত্রের দীপাবলি রাত,
কুয়াশার প্রহেলিকায় মুখ ঢাকে আততায়ী সময়;
দ্বৈরথ সমরে নিষ্পেষিত দুর্বাসার অভিসম্পাত।
এখনো এখানে বাতাসে ভেসে বেড়ায়-
তার সুমিষ্ট কিন্নর ধ্বনি কিংবা খোঁজাখুঁজির ব্যর্থ উদ্দেশ
আঁধারের গায়ে লেগে আছে কলঙ্কের দাগ,
বুঝে উঠতে পারিনি কখন, মালতি নিরুদ্দেশ।