কথায় বলে ক্ষুদ্র বলিয়া তুচ্ছ নয়। এরিক ক্যালেজাসের ক্ষেত্রে এই প্রবাদটা খাটে। তাঁর বয়স মাত্র ১০ বছর। সকার পিচে অন্যান্য অংশগ্রহণকারীদের তুলনায় সে অনেকটাই ছোট - তবে বয়স তার দক্ষতার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। তাই বাকি রেফারিদের সাথে সে আজ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বলিভিয়ার ময়দান। রাজধানী লা পাজের প্রতিবেশী শহর এল আল্টো বলিভিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। সেখানে সপ্তাহান্তে গেলেই আপনি দেখতে পাবেন জার্সি পরে বাঁশি হাতে মাঠ সামলাচ্ছেন ছোট্ট ক্যালেজাস। তার রেফারি বাবা রামিরোর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে স্থানীয় খেলাগুলিতে মাঠে নামে সে।
রামিরো বলেন -''শনি ও রবিবার আমি আমার ছোট সহকর্মী, আমার ছেলে, এরিকের সাথে রেফারির দায়িত্ব পালন করি। আমি খুব গর্বিত, আমার আবেগ আমার ছেলের শরীরেও বিদ্যমান।'' তার বাবা তাকে মাঠে নিয়ে যাবার পরে ক্যালেজাস একটি মেয়েদের ফুটবল লীগে তার প্রথম ম্যাচ রেফার করেছিলেন। সেটি একটি চ্যাম্পিয়নশিপ ছিল।
ক্যালেজাস তার স্টাইল দিয়ে বড়দের মুগ্ধ করে। খেলোয়াড় বেইমার ট্যাঙ্কারা বলেছেন ক্যালেজাস নিজস্ব প্রতিভা নিয়েই জন্মেছে। সে মাঠের মধ্যে সারাক্ষণ দৌড়ে বেড়ায়। জনগণ চিৎকার করলেও সে ভয় পায় না। আপাতত, ক্যালেজাস কমিউনিটি লিগের ম্যাচগুলোতে রেফারির দায়িত্ব সামলাচ্ছে।
তার মা পাশে থেকে ঘনিষ্ঠভাবে ম্যাচগুলি দেখেন এবং জানান -''আমি মনে করি রেফারি হওয়ার জন্য তার জন্ম হয়েছে। সে খুবই প্রতিভাবান। আমি তার রেফারি পছন্দ করি।'' কিন্তু তার বড় আশা একদিন তার প্রতিভা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌঁছে যাবে।
ছোট্ট ক্যালেজাস বলছেন -"আমার স্বপ্ন হল বলিভিয়ান ডার্বির ম্যাচে রেফারি করা, ভবিষ্যতে একজন ফিফা রেফারি হওয়া যাতে আমি বিশ্বকাপ, আমেরিকা কাপ, লিবারেটরস কাপ এবং চ্যাম্পিয়ন্স লীগে যেতে পারি।'' সূত্র : গালফ নিউজ
ঠিকানা/এসআর