আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতের হরিয়ানার আম্বাল জেলার একাধিক স্থানে মোবাইল ইন্টারনেট এবং বার্তা আদান-প্রদান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ওই এলাকায় কৃষকদের একটি দল সম্মিলিত কৃষাণ মোর্চা (অরাজনৈতিক) দিল্লি চলো কর্মসূচি নিয়ে একত্রিত হয়েছেন। খবর এনডিটিভি
উত্তেজনা নিরসনে এবং সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি রক্ষায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব ইন্টারনেট বন্ধের আদেশ দিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, ইন্টারনেটের অপব্যবহার রুখতে এবং ভুয়া তথ্য ছড়ানো রোধে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আম্বাল জেলার ডাংদেরি, লোহগড়, মানকপুর, দাদিয়ানা, বারি ঘেল, লার্সা, কালু মাজরা, দেবী নগর, সাদ্দোপুর, সুলতানপুর এবং কাকরু গ্রামে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এছাড়া ৫ জনের বেশি লোকজনকে একত্রিত হওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জেলা কর্মকর্তা। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সরকারি-বেসরকারি স্কুল।
কৃষকদের দিল্লি চলো কর্মসূচি রুখতে দিল্লি সীমান্ত এলাকা আম্বালাতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুরো রাস্তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দ্বারা ঘিরে ফেরা হয়েছে। এছাড়া জলকামান প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
আম্বালা পুলিশ সুপার সুরিন্দার সিং বোরিয়া বলেন, ‘আমরা পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি, কৃষকদের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া তাদেরকে দিল্লি পুলিশের অনুমতি নিতে বলা হয়েছে। তারা অনুমতি পেলেই তাদের দিল্লিতে যেতে দেয়া হবে।’
প্রায় ১০০ এর অধিক কৃষকের স্থানীয় সময় দুপুর ১টার দিকে সম্ভু সীমান্ত অতিক্রম করে দিল্লি অভিমুখে রওনা দেয়ার কথা রয়েছে। তারা হেঁটেই দিল্লি পৌঁছাতে চায়। তারা ফসলের জন্য ন্যূনতম মূল্য (এমএসপি) নির্ধারণের আইনি নিশ্চয়তার দাবি তুলেছেন। এজন্য দিল্লি চলো আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন।
ঠিকানা/এএস