Thikana News
০১ নভেম্বর ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫





 
ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীনের মুখোমুখি ভারতীয় সাংবাদিক অর্ক ভাদুড়ি

শেখ হাসিনা এখন ভারতের গলার কাঁটা, ক্ষমতায় ফেরা অসম্ভব

শেখ হাসিনা এখন ভারতের গলার কাঁটা, ক্ষমতায় ফেরা অসম্ভব বাঁ থেকে জুলকারনাইন সায়ের খান, খালেদ মুহিউদ্দীন ও অর্ক ভাদুড়ি।





 

শেখ হাসিনা এখন ভারতের গলার কাঁটা হয়ে আছেন। যার বিরুদ্ধে নিজে দেশে গণহত্যার অভিযোগ এসেছে। তাকে দিনের পর দিন যখের ধনের মতো লুকিয়ে রেখে দেয়া, এটা ভারতের জন্য সুবিধাজনক বিষয় হবে না। এসব কথা বলেছেন ভারতের লেখক ও সাংবাদিক অর্ক ভাদুড়ি। তিনি আরো যোগ করছেন, বাস্তবতা হচ্ছে শেখ হাসিনার ক্ষমতায় ফেরা অসম্ভব। এছাড়া বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কার সার্বভৌমত্বকেও সম্মান করা উচিত ভারতের।
‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’ টকশোতে এসব কথা বলেছেন অর্ক ভাদুড়ি। যেখানে অতিথি হিসেবে আরো ছিলেন আল জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের খান। ৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার নিউইয়র্ক সময় বেলা ১১টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা) সরাসরি সম্প্রচারিত হয় এই আলোচনা অনুষ্ঠান।
জনরোষে দেশত্যাগ করে শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেন। এরপর বাংলাদেশের যে অন্তর্র্বতী সরকার, তাদের সঙ্গে বৃহৎ এই প্রতিবেশী দেশটির টানাপড়েন প্রকাশ্য। সদ্যই যা আরো বেশি দৃশ্যমান হয়েছে। এমন এক প্রেক্ষাপটে দুই দেশের দুজন সাংবাদিক ঠিকানা টিভির প্রধান সম্পাদক খালেদ মুহিউদ্দীন উপস্থাপিত টকশোতে নানা প্রশ্নের জবাব দেন।
শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান প্রসঙ্গে সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের খান বলেন, তিনি ভারতে বসে থেকে দলের লোকজনকে নির্দেশ দিচ্ছেন, তোমার ঘরে আগুন দিলে ১০ জনের ঘরে গিয়ে আগুন দাও। এ ধরনের উসকানিমূলক কথা ভারতে বসে বলছেন। একই কাজ যদি ভারত থেকে পালিয়ে আসা কোনো নেতা বাংলাদেশে বসে করতেন, তাহলে ভারতের প্রতিক্রিয়া কেমন হতো?
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান যখন তুঙ্গে তখন সামরিক বাহিনীও শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়ায়নি। তারা কেন আওয়ামী লীগ সরকারকে আর সমর্থন করল না- খালেদ মুহিউদ্দীনের এমন প্রশ্নে অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন বলেন, আওয়ামী লীগ আমলে যোগ্য ও চৌকস অনেক কর্মকর্তাকে নিগৃহীত করা হয়েছে। তাদের পদোন্নতি বঞ্চিত করা হয়েছে। এর বিপরীতে অযোগ্যদের বড় বড় পদে নেওয়া হয়েছে। এভাবে সবদিক দিয়েই ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল- বলছেন তিনি।
এদিকে শেখ হাসিনার পতন আন্দোলনে ভারতের বিজেপির যে অবস্থান, সেই একই অবস্থানে ছিল না তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার প্রতি অনেকটা সহানুভূতিশীল ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই তিনি সম্প্রতি সম্পূর্ণ বিপরীত বক্তব্য দিয়েছেন। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তিনি বাংলাদেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের দাবি তুলেছেন। এ প্রসঙ্গে ভারতের সাংবাদিক অর্ক ভাদুড়ি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য দুঃখজনক এবং দুর্ভাগ্যজনক। এমন কথা তিনি না বললেই পারতেন।’
দুই প্রতিবেশি দেশের মধ্যে বিদ্বেষ থাকলে, তার অবসান হওয়া প্রয়োজন- মনে করছেন দুজন সাংবাদিকই। কারণ টানাপড়েন দুই পাড়ের জনগণের জন্যই ক্ষতিকর। বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সমতার ভিত্তিতে সম্পর্ক গড়তে হবে, এমন আকাঙ্ক্ষার কথা বললেন জুলকারনাইন সায়ের খান ও অর্ক ভাদুড়ি।


কমেন্ট বক্স