আয়োজকরা জানিয়েছেন, নিউইয়র্কের কোনো বিচে একটি অনুষ্ঠানে এত বাংলাদেশির অংশগ্রহণ এই প্রথম। জোছনা উৎসব উৎসর্গ করা হয় বাংলা সাহিত্যের প্রকৃতিপ্রেমী কালজয়ী লেখক ও কথাসাহিত্যিক প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদকে।

নিউইয়র্ক : সাগর পাড়ে জোছনা উৎসব।
জোছনা উৎসবের উদ্বোধনী পর্বে তেমন কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছিল না। পুরো আয়োজন ছিল ছিমছাম গোছানো, পরিপাটি ও শৈল্পিক। উৎসবের উদ্বোধন হয়েছে ঢোলক নজরুল ইসলামের ঢোলের বাদ্যে। এরপর মুক্তিযোদ্ধা শিল্পী তাজুল ইমাম গান শুরু করেন। তিনিই উৎসবের প্রধান উপদেষ্টা। এরপরই সেতার শিল্পী মোর্শেদ খান অপু ও প্রখ্যাত তবলাবাদক তপন মোদকের যুগলবন্দি পরিবেশনা উপভোগ করেন সবাই।
নীলা ড্যান্স অ্যাকাডেমির খুদে শিল্পীরা নৃত্য পরিবেশন করে। উৎসবে গিটার বাজিয়ে শোনান রেহানা মতলুব, কবি বেনজির শিকদারের লেখা পুঁথি পাঠ করেন আনোয়ারুল হক লাভলু, কবিতা আবৃত্তি করেন গোপন সাহা, নজরুল কবীর ও টেক্সাস থেকে আগত কবি বিমল সরকার। এসময় ভরা পূর্ণিমার গল্প শোনান চিত্রশিল্পী সৈয়দ আজিজুর রহমান তারিফ।
দর্শনার্থীদের তরমুজ, পানীয়, ঝালমুড়ি-চানাচুর-সহ বৈকালিক খাবার পরিবেশন করেন শায়লা আফতাব।
সংগীত পরিবেশন করেন দিনাত জাহান মুন্নী, শাহ মাহবুব, মরিয়ম মারিয়া, রবিন খান, মাহরুফা তৃণা, কানিজ দীপ্তি, সানজানা তাসমীন, সাগ্নিক মজুমদার এবং তুর্য ও আহনাফের সংগীত দল রেন্ডম তালবাহানা। কোরিওগ্রাফি করেন শান্তনু সাজ্জাদ ও সানজানা তাসমীন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন উৎসবের প্রধান উপদেষ্টা তাজুল ইমাম, উপদেষ্টা শিতাংশু গুহ, নূরুল আমিন বাবু, আহ্বায়ক স্বীকৃতি বড়ুয়া, আশা হোম কেয়ারের সিইও ইঞ্জিনিয়ার আকাশ রহমান, জ্যামাইকা সেলিম বিরিয়ানীর স্বত্ত্বাধিকারী আমজাদ হোসেন সেলিম এবং ঢাকা থেকে আগত খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতা ডিভাইন মার্সি হাসপাতাল নির্মাণ কমিটির আহ্বায়ক বাবু মার্কস গোমেজ। এসময় উৎসবের আয়োজকবৃন্দ এ ইউ হাসান, সারোয়ার রাফী, সুলতান আহমেদ, গোপাল সান্যাল, জাহেদ শরীফ, আবদুল হামিদ, শুভ রায়, পিনাকী তালুকদার, সুখেন জোসেফ গমেজ ও হাসানুজ্জামান সাকী উপস্থিত ছিলেন।
উৎসবে রোমান্টিক জুটি বাছাইয়ে গেম শো সঞ্চালনা করেন নাট্যাভিনেতা খাইরুল ইমলাম পাখি।
অনুষ্ঠান যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন শামসুন্নাহার নিম্মি, শুভ রায়, সাদিয়া খন্দকার, স্বাধীন মজুমদার ও মিহির চৌধুরী।
জোছনা উৎসবে আগত দর্শনার্থীরা এম্ফিথিয়েটার থেকে সৈকতে জল-জোছনা অবগাহনে নামেন। সেখানে সৈকতের বালিতে লণ্ঠন হাতে সবাই গোল হয়ে বসে গান ও আড্ডায় মাতেন। এসময় মোহনীয় এক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়।