মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়ে দ্বিতীয়বার ক্ষমতা গ্রহণ করতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জয়ী হওয়ায় খুশী জেরুজালেম শহরের বাসিন্দা রাফেল শোর। তিনি বলেন, ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যের ভাষা বোঝেন। খবর বিবিসি
‘ইরান কিছু করার বিষয়ে দুবার ভাববে। আমি মনে করি, যদি কমলা হ্যারিস নির্বাচিত হতেন তাহলে মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল কিংবা মার্কিন স্থানাপনায় হামলার ক্ষেত্রে তাদের ভয় থাকত না।’
ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার পর তাকে স্বাগত জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এর আগে নেতানিয়াহু ট্রাম্পকে ইসরায়েলের ভালো বন্ধু বলে উল্লেখ করেছিলেন।
২০১৬ সালে ট্রাম্প ক্ষমতায় এসে ইসরায়েলের পক্ষে বেশ কিছু নীতি গ্রহণ করেন। যার মধ্যে ছিল ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি থেকে সরে আসা এবং জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা করা। এর ফলে ইসরায়েল ট্রাম্পের ব্যাপক প্রশংসা করে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ইসরায়েলের সাবেক রাষ্ট্রদূত মাইকেল অরেন বলেন, ট্রাম্প প্রথমবার যখন ক্ষমতায় ছিলেন। তখন তার কিছু পদক্ষেপ সম্পর্কে ইসরায়েল বেশ সতর্ক ছিল। এবারও সেই ধরনের পরিস্থিতি দেখা যেতে পারে। কারণ ট্রাম্প যুদ্ধ পছন্দ করেন না। কারণ এতে অনেক ব্যয়। এজন্য তিনি দ্রুতই ইসরায়েলকে গাজায় যুদ্ধ শেষ করার আহ্বান জানাবে।
এছাড়া অধিকৃত পশ্চিমতীরে ইসরায়েলিদের অবৈধ বসতি স্থাপন করার বিষয়ে ট্রাম্প খুবই বিরক্ত। সুতরায় এই দুটি নীতি নেতানিয়াহু সরকারকে বিপদে ফেলতে পারে।
মাইকেল অরেন বিশ্বাস করেন, ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর তাকে বাগে নিতে নেতানিয়াহুকে ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করতে হবে। তা না হলে ট্রাম্প জানুয়ারিতে হোয়াইট হাইসে পা রাখার পর যদি নেতানিয়াহুকে যুদ্ধ বন্ধের জন্য এক সপ্তাহ সময় দেন। তাহলে নেতানিয়াহুকে তা মেনে নিতে হবে। কারণ তার বিকল্প কোনো পথ থাকবে না।
গাজায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী হামাসের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এতে তাদের বড় ধরনের কোনো অর্জন নেই।
ফিলিস্তিনের বাসিন্দা আহমেদ বলেন, ‘গাজায় যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সুতরাং আমরা মনে করি তিনিই গাজায় শান্তি ফেরাতে পারেন।’ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আহমেদ তার স্ত্রী সন্তানকে হারিয়েছেন। এছাড়া তার বাড়ি ঘর ধ্বংস হয়ে গেছে।
গাজায় ইসরায়েলি হামলার পর আটবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে মোহাম্মাদ দাউদ। তিনি মনে করছেন, ট্রাম্পের জয়ের ফলে দ্রুতই গাজায় শান্তি ফিরে আসবে।
আরেক বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি মাহমুদ বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কে জিতল সেটি বড় কথা নয়। তার চাওয়া কেউ একজন তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসুক। কারণ গাজায় কোনো ওষুধ নেই, হাসাপাতাল এবং খাবার নেই। সূত্র-বিবিসি
ঠিকানা/এএস