Thikana News
২১ নভেম্বর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশ সোসাইটি

শাহ নেওয়াজ ট্রাস্টি বোর্ডের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান

শাহ নেওয়াজ ট্রাস্টি বোর্ডের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন গত ২৭ অক্টোবর সম্পন্ন হয়েছে। এই নির্বাচনে সেলিম-আলীর নেতৃত্বাধীন পূর্ণ প্যানেল বিজয়ী হয়েছে। এখন আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে নতুন কমিটি দায়িত্ব নেবে। নবনির্বাচিত কমিটি দায়িত্ব নেওয়ার পর একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করবে। সেই ট্রাস্টি বোর্ড পরবর্তী দুই বছর দায়িত্ব পালন করবে। বর্তমান ট্রাস্টি বোর্ডের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৩০ এপ্রিল। তাই ৩০ মার্চের মধ্যে নতুন ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করতে হবে।
নবনির্বাচিত এক গুরুত্বপূর্ণ নেতা বলেন, বর্তমান ট্রাস্টি বোর্ডে যারা আছেন, তাদের সবাই বাদ পড়ছেন না। কে কে থাকবেন, বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। বর্তমান কমিটিতে যারা রয়েছেন, তাদের মধ্যে কারও কারও নাম আগামী ট্রাস্টি বোর্ডে থাকতে পারে। এর মধ্যে আজিমুর রহমান বুরহান, হাসিবুর রহমান হাসিব প্রমুখের নাম থাকতে পারে। তবে ট্রাস্টি বোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যান থাকছেন না, এটি নিশ্চিত। নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে শাহ নেওয়াজকে নিযুক্ত করা হতে পারে।
সূত্র জানায়, যারা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে থাকবেন, দক্ষভাবে সংগঠন পরিচালনা করবেন, এমন সব নেতাকে সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডে রাখা হবে। ইতিমধ্যে একাধিক নেতার নাম আলোচনা হচ্ছে। ট্রাস্টি বোর্ডে একজন চেয়ারম্যান ছাড়াও সদস্য থাকেন ১২ জন। সেই ১২ জন নিযুক্ত করা হবে। এ ছাড়া একজন মহিলা সদস্য রাখা হবে। সেই পদটিও সংযুক্ত করা হবে। ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হিসেবে আসিফ বারী টুটুল, আহসান হাবীব (জ্যামাইকা) ও জুনায়েদ চৌধুরীর নাম আলোচনায় রয়েছে। এ ছাড়া আবু জাফর মাহমুদ, ফখরুল ইসলাম দেলোয়ারের নামও উচ্চারিত হচ্ছে। জাফর মাহমুদের ভাড়া-সংক্রান্ত মামলার বিষয়টি কেউ কেউ আলোচনায় এনেছেন। আর ফখরুল ইসলাম দেলোয়ারের নাম এগিয়ে থাকলেও সিলেট থেকে কতজন ও জ্যামাইকা থেকে কতজন নেওয়া হবে, সেই বিষয়টিও বিবেচনায় রয়েছে। গিয়াস আহমেদের নামও আলোচনায় রয়েছে। এর আগেও তাকে একবার ট্রাস্টি বোর্ডে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। তখন তিনি তা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। এবার তার নাম প্রস্তাবনায় এলেও এখনো তার সঙ্গে কথা হয়নি।
নির্বাচিত আরেক নেতা বলেন, সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডের ভূমিকা নির্বাচনের সময় কেমন ছিল, এটা সবাই দেখেছেন। ভোটার তালিকায় প্রায় ৬০০ ভোটারের নাম অতিরিক্ত ছিল। সেই নাম থেকে তারা পরিচালনা পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করে ৩০৭ জনের নাম বাতিল করেন। যে ৩০৭ জনের নাম বাতিল করেন, এর মধ্যে সেলিম-আলী প্যানেলের ভোটারই বেশি ছিল। তার পরও আমরা বিজয়ী হয়েছি। আমরা চাই এমন একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করতে, যাতে সোসাইটির পরিচালনা পরিষদ কোনো ভুল করলে ট্রাস্টি বোর্ডের সবাই ন্যায়ের পথে থেকে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে তার সমাধান করতে পারেন। সৎ ও ন্যায়ভাবে যারা অবদান রেখেছেন, তাদেরই বোর্ডে রাখার কথা বিবেচনায় রয়েছে।
সূত্র জানায়, এবারের নির্বাচনে গোল্ডেন এজ হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট ও সিইও শাহ নেওয়াজ সেলিম-আলী পরিষদের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কনভেনরের দায়িত্ব পালন করেন। সেলিম-আলী প্যানেলকে নির্বাচনে জয়ী করার জন্য প্রচার-প্রচারণা, সভা-সমাবেশসহ বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন শাহ নেওয়াজ। তিনি কমিউনিটির অতিপরিচিত মুখ। সেই সঙ্গে জেবিবিএ, লায়ন ক্লাবসহ বিভিন্ন ধরনের অ্যাসোসিয়েশন পরিচালনা করার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা রয়েছে। সব দিক বিবেচনা করে শাহ নেওয়াজকেই বাংলাদেশ সোসাইটির আগামী ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হতে পারে। আর হোম কেয়ারের প্রতিষ্ঠাতাদের অনেককে ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য করা হতে পারে।

কমেন্ট বক্স