Thikana News
২৯ জানুয়ারী ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে ভারতের আধিপত্যবাদী নীতির পরিবর্তন সময়ের দাবি

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে ভারতের আধিপত্যবাদী নীতির পরিবর্তন সময়ের দাবি
১৯৭১ সালে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ তথা স্বাধীনতাযুদ্ধে সহযোগিতাকে মূলধন করে স্বাধীন বাংলাদেশ থেকে ভারতের অন্যায়ভাবে সুবিধা আদায়ের অদম্য মনোভাব লক্ষণীয়। যদিও এই সহযোগিতার উদ্দেশ্য ছিল এই সুযোগে তাদের চিরশত্রু পাকিস্তানের বিরুদ্ধে স্বার্থরক্ষা। ভারত মনে করে, বাংলাদেশ তাদের অধীন করদ রাজ্য, আশ্রিত রাজ্য। শেখ হাসিনার ভারত তোষণ ও প্রীতির কার্যক্রমে ভারত সুবিধা ও সুযোগ পেয়ে বাংলাদেশের স্বাধীন অস্তিত্ব ধ্বংস করার চূড়ান্ত পথে পৌঁছে সিকিম, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশকে নিয়ে বাংলা প্রদেশ গড়ার অভিসন্ধি করে। কোটা সংস্কারকে কেন্দ্র করে শেখ হাসিনার দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান তাকে পদত্যাগ করে এই প্রয়াসকে ব্যর্থ করে দিয়ে সৌভাগ্যক্রমে স্বাধীন বাংলাদেশকে ভারতীয় ‘বাংলা প্রদেশ’ করার প্রতিরোধযুদ্ধে জয়ী হয়েছে বাংলাদেশ। আমরা স্বীকার করি, ভারতের সহযোগিতায় মুক্তিযুদ্ধে আমাদের বিজয় ত্বরান্বিত হয়েছে, তাই আমরা কৃতজ্ঞ। তার মানে এই নয়, আমরা তাদের কাছে মাথানত করে থাকব, যদিও তাদের এই সহযোগিতা পক্ষান্তরে এই সুযোগে তাদের চিরশত্রু পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে তাদের স্বার্থ উদ্ধার। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অংশ নেওয়ার লক্ষ্য ছিল ভারতের চিরশত্রু পাকিস্তানকে এই সুযোগে ঘায়েল করা, যেহেতু পাকিস্তানের ভেঙে যাওয়া ভারতীয় স্বার্থের অনুকূল। এই সুযোগে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে চীনপন্থী বামপন্থীদের উত্তরোত্তর বেড়ে যাওয়ার প্রভাব, বিশেষ করে নকশালপন্থীদের নির্মূল করা। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ তথা স্বাধীনতার সময় ভারত আমাদের সহায়তা করায় আমাদের স্বাধীনতা ত্বরান্বিত হয়েছে। তবে তাদের চিরশত্রু পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে আমাদের স্বাধীনতা স্বীয় স্বার্থ সুরক্ষাকল্পে তাদের দীর্ঘদিনের আকাক্সক্ষা সেই স্বার্থ হাসিলের সুযোগ করে দিয়েছে। নিরাপত্তার ক্ষেত্রে তারা অচিন্ত্যনীয় সফলতা অর্জন করতে পেরেছে। এর ফলে পূর্ব সীমান্তে ভারতের লাখো সৈনিক মোতায়েন করে প্রচুর অর্থ খরচের প্রয়োজন থেকে চিরদিনের জন্য বেঁচে যাওয়ার সুবিধা হয়ে যায়। অন্যদিকে আমরা ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নির্মূলে সাহায্য করে তাদের বিশেষভাবে চিন্তামুক্ত করে দিয়েছি। এর ফলে তাদের দীর্ঘদিনের রক্তক্ষরণ, অস্ত্র, জনবল এবং অর্থব্যয়ের অবসান ঘটেছে। এসবের পরও আমাদের কাছে তাদের কৃতজ্ঞতা নেই। আমাদের দ্বারা উপকারের এত কিছুর পরও আমাদেরকে সাহায্য না করে ভারত আমাদের থেকে সুবিধা আদায়ে ব্যস্ত।
প্রায় দেড় হাজার মাইল দূরান্তে পূর্ব পাকিস্তানে এসে প্রতিকূল অবস্থায় পাকসেনাদের মানবিক বিপর্যয়, অপরদিকে আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অদম্য মনোবল, সাহসিকতা এবং শেখ মুজিবের ঐতিহাসিক ভাষণের মহামন্ত্রে দেশকে শত্রুমুক্ত করার দৃঢ় প্রত্যয় ও প্রতিজ্ঞা মুক্তিযুদ্ধে আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত ছিল। ভারতের সহযোগিতা বিজয় ত্বরান্বিত করেছে মাত্র। অথচ ভারত প্রকৃত অবস্থা হিসাবে না নিয়ে দম্ভভরে মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের একতরফা কৃতিত্ব দাবি করে আমাদের ওপর অযাচিত আধিপত্য বিস্তার করতে চায়। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন, রাজনীতি, প্রশাসন, ব্যবসায়-বাণিজ্য সর্বক্ষেত্রে আধিপত্য বজায় রাখতে ভারত সদা ব্যস্ত। ভারত ছলে-বলে-কৌশলে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে হস্তক্ষেপ, বিগত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার সরকারের প্রদত্ত সুযোগে নতজানু করে বাংলাদেশের মন্ত্রিসভায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মাত্রাধিক্য অন্তর্ভুক্তি, বাংলাদেশের চাকরিক্ষেত্রে অধিক মাত্রায় হিন্দুদের নিয়োগ, ব্যবসা-বাণিজ্যে অস্বাভাবিকভাবে হিন্দুদের সংখ্যাধিক্য অংশগ্রহণ ইত্যাদিতে প্রভাব বিস্তার করা হয়। অথচ এসব ক্ষেত্রে ভারতের মুসলমান বৈধ ও যোগ্য নাগরিকদের যথারীতি কাক্সিক্ষত স্থান হয় না। বাংলাদেশের যেখানে সংখ্যালঘু হিন্দুদের স্বার্থরক্ষা করা আমাদের তড়িৎ সর্বাত্মক প্রচেষ্টা, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও মন্দির রক্ষায় আমাদের তৎপরতা, সেখানে ভারতের সংখ্যালঘু মুসলমান নিধন, মুসলিমদের ওপর অত্যাচার-অবিচার অহরহ ঘটে চলেছে। ভারতে মুসলমানদের বিভিন্ন ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে বাধা, মসজিদকে মন্দিরে রূপান্তর, এমনকি যুগ যুগ ধরে আন্তর্জাতিক খ্যাতি ও স্বীকৃত, পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের এক আশ্চর্য মুসলিম ঐতিহ্য তাজমহলকে রামমহল করার অপচেষ্টা। বাংলাদেশিদের ভারত যে সভ্য মানুষ হিসেবে গণ্য করে না, তা প্রকাশ পায় তাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর বক্তব্যে বাংলাদেশি অভিবাসীদের উইপোকার সঙ্গে তুলনা করার মধ্যে। ইতিমধ্যে অমিত শাহ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের উল্টো করে ঝুলিয়ে সোজা করা হবে বলে এক অশোভন বক্তব্য রেখেছেন।
আসামে যুগ যুগ ধরে বসবাসকারী বাংলাভাষী নাগরিকদের ভারত বাংলাদেশি বহিরাগত গণ্য করে ফেরত পাঠানোর জন্য আইন তৈরি করেছে। আমাদের সুদক্ষ কারিগর দ্বারা তৈরি বহুদিনের ঐতিহ্য টাঙ্গাইল শাড়ির ‘জিআই’ গায়ের জোরে ভারতের বলে দাবি করে হাস্যাম্পদ পরিস্থিতির অবতারণা করেছে। আমাদের প্রিয় প্রতিবেশী প্রিয় বন্ধুর দাবিদার হওয়া সত্ত্বেও ভারত মৌখিক আশ্বাস ছাড়া রোহিঙ্গা সমস্যায় আমাদেরকে সাহায্য করতে কার্যত কোনো আন্তরিকতার পরিচয় দেয়নি। আমাদের প্রিয় বন্ধু সেজে বাংলাদেশের ওপর ভারতের আধিপত্যবাদ বা কর্তৃত্ববাদ বিস্তার। পরীক্ষামূলকভাবে স্বল্পকালীন ফারাক্কা বাঁধ চালু করে দীর্ঘদিন পর ভারতের চুক্তিতে আসা এবং চুক্তি করে চুক্তি মোতাবেক পদ্মার পানি একতরফা প্রত্যাহার করে নেওয়াটা আধিপত্যবাদের উদাহরণ নয় কি? ভারত তাদের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের অসমর্থনযোগ্য অজুহাত দেখিয়ে তিস্তা নদীর পানির ব্যাপারে সুদীর্ঘকাল তিস্তা চুক্তি সম্পাদন নিয়ে গড়িমসি করেছে, যা অন্ধকে কলা দেখানো। অথচ ভারত আমাদের ফেনী নদীর পানি প্রত্যাহার করা শুরু করে চুক্তি ছাড়াই এবং পরে চুক্তি সম্পাদনে ফেনী নদীর পানি তারা ঠিকই নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের তিতাস নদী ভরাট করে ভারতের মালামাল আমরা আমাদের দেশের ওপর দিয়ে পার করার ব্যবস্থা করেছি। অথচ আমরা নেপালে যাওয়ার জন্য বাংলাবান্ধা থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটারের অনুমতি ভারত আমাদেরকে দিচ্ছে না। তাদের অবকাঠামো ব্যবহার করে নেপালে মাত্র ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ক্রয়ের সামান্য সুযোগটুকুও দিচ্ছে না। আমাদের তথাকথিত প্রিয় বন্ধু ভারত। আমাদের থেকে ভারত সুযোগ-সুবিধা একতরফা নিতেই থাকবে, আমাদেরকে কিছু দেবে না। এটাই তাদের ধর্ম, আমাদের ব্যাপারে তাদের নীতি। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ সীমান্তের বাংলাদেশি নাগরিকদের ‘দেখামাত্র গুলি’ এবং ‘দেখামাত্র হত্যা’ নীতি অবলম্বন করে চলেছে। এ-যাবৎ অসংখ্য বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যা করেছে মিথ্যা অজুহাতে এবং এই হত্যাযজ্ঞ প্রতিনিয়ত চলছে। এক যুগেরও অধিক সময় ধরে বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলে সন্ত্রাসীদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে প্রশিক্ষিত করে শান্তি বাহিনী সৃষ্টির মাধ্যমে অশান্তি চাপিয়ে দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের বাংলাদেশিদের রক্ত ঝরায় কয়েক দশক যাবৎ।
আধিপত্যবাদের মানসিকতায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ভারতের অপ্রীতিকর প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একটি দলকে সর্বাত্মক সহযোগিতা ও প্রকাশ্য সমর্থন দিয়ে জয়যুক্ত করার কার্যকলাপ উদাহরণস্বরূপ উল্লেখ্য। বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরে অসংখ্য ভারতীয় কর্মরত। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ৭.৮% হিন্দু ও সরকারি চাকরি ৩৬% এর উপরে। ভারতে ২২.২৫% মুসলমান, সরকারি চাকরি ১% এর নিচে। গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ভারত প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার আয় করে বাংলাদেশে কর্মরত ভারতীয়দের রেমিট্যান্স থেকে, যা ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আয়। বিশেষভাবে উল্লেখ্য, তিস্তার পানিবণ্টন, সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বিগত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারসহ কোনো সরকারই অতীতে কোনো সময়ই ভারতের বিরুদ্ধে তেমন আপত্তি, অসন্তোষ প্রকাশ করেনি। শেখ হাসিনা তো ভারতকে ‘জি হুজুর’ করেই চলেছিলেন। তার সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে বাংলাদেশ ছিল ভারতের স্বার্থরক্ষাকারী। বিগত কোনো সরকারই তাদের শাসনামলে বাংলাদেশের ন্যায্য পাওনা, যৌক্তিক দাবিসমূহ ভারতের ক্ষমতাসীনদের কাছে জোরালোভাবে তুলে ধরেনি। রাজনৈতিক সরকারগুলোর এই দুর্বলতা প্রতিবেশী ভারতের সাহস জুগিয়েছে। বর্তমানে এই প্রথম অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও তার উপদেষ্টারা প্রকাশ্যে জোরালো বক্তব্য তুলে ধরেছেন। বিশেষ করে, তিস্তাসহ অভিন্ন নদীগুলোর পানির ন্যায্য পাওনা আদায়, সীমান্তে বাংলাদেশিদের গুলি করে হত্যার নৃশংস ঘটনাসমূহে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আওয়ামী লীগ, বিএনপি কোনো সরকার, সরকারের মন্ত্রী দেশের স্বার্থে অনুরূপ কথা ইতিপূর্বে কোনো সময় বলেনি। ভারত-পাকিস্তান বরাবর বিশাল সীমান্ত রয়েছে। চোরাকারবার সেখানেও হয়। কিন্তু প্রাণঘাতী বুলেট ব্যবহার করে মানুষ হত্যার ঘটনা ঘটে না। অসংখ্যবার প্রতিশ্রুতি দিয়েও ভারত হত্যার ঘটনা বন্ধ করেনি। বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পতন ও পদত্যাগের পর ভারত তাকে সযত্নে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় আশ্রয় দিয়েছে। শেখ হাসিনাকে সাদরে প্রশ্রয় দিয়ে ভারতে স্থান দেওয়া ভারতের বাংলাদেশ-বিরোধী মনোভাবের পরিচয়ক। অন্তর্বর্তী সরকার মনে করে, অভিন্ন নদীগুলোর পানির পাওনা আদায়, সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যাসহ অন্যান্য সব যৌক্তিক দাবি নিয়ে আন্তর্জাতিক আইনের আশ্রয় নেওয়া ছাড়া গত্যন্তর থাকবে না, যদি না অব্যাহত চলমান আলোচনায় ভারত সমাধানের পথে এগিয়ে না আসে।
লেখার শেষ পর্যায়ে ইতি টানার পূর্বে বড় দেশ হিসেবে ভারতের আঞ্চলিক কর্তৃত্ব বিষয়ে আলোকপাত করে কিছু না বললেই নয়। ভারতের অযৌক্তিক আচরণ ও হীনম্মন্যতার কারণে প্রতিবেশী ছোট দেশসমূহের ওপর তাদের কর্তৃত্বের ধস নামতে শুরু করেছে। সব প্রতিবেশী দেশের জনগণের বিরাগভাজন হয়েছে ভারত। আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল থেকে ভারতকে গুটিয়ে আসতে হয়েছে। মালদ্বীপে ভারতের বিরুদ্ধে গণবিদ্বেষে তরুণ প্রজন্মের ইন্ডিয়া আউট স্লোগানে ভারতের কর্তৃত্বের অবসান। বাংলাদেশও বিভিন্ন ক্ষেত্রে, যেমন রাজনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরি-বাকরি, প্রাকৃতিক সম্পদ ইত্যাদিতে ভারতের একতরফা আধিপত্য এবং সীমান্তে অনবরত মিথ্যা অজুহাতে নির্বিচারে বাংলাদেশিদের হত্যাÑএসব কারণে বাংলাদেশের জনগণ ও তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ভারতের বিরুদ্ধে বিরূপ মনোভাব সৃষ্টি হয়েছে। সুতরাং ভারতকে উদ্দেশ করে বলব, ‘সাধু সাবধান’। বাংলাদেশের প্রতি ভারতের নীতি পরিবর্তন করে ন্যায়নীতি ও সহাবস্থানের সমতা নীতি না করা হলে সম্পর্কে বিস্ফোরণ অবধারিত। পরিশেষে আরও একটু বলতে হয়, আমার এ লেখায় ভারত তোষণে অভ্যস্ত কোনো ব্যক্তি বা শ্রেণি হয়তো ক্ষুব্ধ হতে পারে। কিন্তু আমি যা বলেছি সত্য বলেছি, সত্য বই মিথ্যা বলিনি।
লেখক : ভাষাসৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদকপ্রাপ্ত ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদকপ্রাপ্ত।
 

কমেন্ট বক্স