সারা বিশ্বের দৃষ্টিতে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন
সারা বিশ্বের মানুষের কাছে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল বিশ্বের প্রধান পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন। দেশটির ৪৭তম প্রেসিডেন্ট তা জানতে সবার দৃষ্টি ছিল এই নির্বাচনের দিকে। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় প্রধান খবর ছিল এটি।
৫ নভেম্বর মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ডেমোক্রেট প্রার্থী ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান প্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। গত এক সপ্তাহ ধরে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় নির্বাচন নিয়ে নানান জল্পনা-কল্পনার খবর প্রকাশিত হয়। তবে ৫ নভেম্বর মঙ্গলবার বিশ্বের অধিকাংশ মিডিয়ার প্রধান খবর ছিল যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন। বিভিন্ন গণমাধ্যম নির্বাচন নিয়ে বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ করে। বিভিন্ন টেলিভিশনে ছিল নির্বাচন নিয়ে বিশেষ আয়োজন। বিভিন্ন মিডিয়ার জরিপও বেশ কার্যকর ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় গণমাধ্যম সিএনএন আয়োজন করে ‘ইলেকশন নাইট ইন আমেরিকা’। এতে দিনভর ভোটকেন্দ্রের খবর ছিল। রাত ৯টার পর ভোটের ফল নিয়ে নানান আয়োজন করে সিএনএন। এরমধ্যে ছিল ভোটের ফল পর্যালোচনা এবং উল্লেখযোগ্য প্রতিযোগিতার খবর।
সিএনএন ডেমোক্রেট সমর্থক গণমাধ্যম হিসাবে পরিচিত। অন্যদিকে বিপরীত ধারার, অর্থাৎ রিপাবলিকান সমর্থক ফক্স নিউজ মঙ্গলবার সারা দিন ভোটকেন্দ্রের খবর প্রচার করে। রাত ৯টার পর শুরু করে ফল প্রকাশ। রিপাবলিকান প্রার্থীদের খবরকে প্রাধান্য দিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের ফল প্রকাশ করে ফক্স।
বিশ্বের অনতম প্রভাবশালী গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস রাতে ভোটের ফল প্রকাশ শুরু করে। তাদের লাইভ আপডেট অধিক কার্যকর ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে যুক্তরাজ্য, ইউরোপ, রাশিয়া ও দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের খবর ছিল প্রধান শিরোনামে। কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরায় দিনব্যাপী নানান আয়োজন ছিল যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে। যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম বিবিসিও ভোটের ফল প্রকাশে ব্যস্ত ছিল।
বাংলাদেশের অধিকাংশ গণমাধ্যমে প্রধান শিরোনাম ছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে। জনপ্রিয় দৈনিক প্রথম আলোর শিরোনাম ছিল- ‘দোদুল্যমান তিন রাজ্যেই সবার চোখ’। ইত্তেফাকের শিরোনাম ছিল- ‘ইতিহাসের পথে যুক্তরাষ্ট্র’। যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম ছিল ‘কাকে বেছে নিলেন মার্কিনিরা’। বাংলাদেশের বেশিরভাগ গণমাধ্যমের অনলাইন সাজানো হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে।
এদিকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সারা দিন দৃষ্টি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিকে। ভোট শেষে রাতভর তাদের দৃষ্টি ছিল টিভির স্ক্রিণে। কে হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট তা দেখার জন্য অনেকে নির্ঘুম রাত পার করেছেন। ইমিগ্র্যান্ড হিসাবে বাংলাদেশিরা সাধারণত ডেমোক্রেট প্রার্থীকে ভোট দেন। কিন্তু এবার ডেমোক্রেট হয়েও বাংলাদেশিরা ভোট দিয়েছেন ট্রাম্পকে।
বাংলাদেশিদের অনীহা কাটেনি : আমার এক ভোটে কী যায় আসে?
ঠিকানা রিপোর্ট: অন্যান্য যে কোনো বছরের তুলনায় এবার বাংলাদেশি আমেরিকানদের বড় একটি অংশ ভোটকেন্দ্রে গিয়েছেন। তারা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন। কিন্তু নিউইয়র্কে যত বাংলাদেশি আমেরিকান ভোটার, সে অনুপাতে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার প্রবণতা ছিল হতাশাজনক।
জানা গেছে, নিউইয়র্কে সবচেয়ে বেশী বাংলাদেশি আমেরিকান থাকেন কুইন্সে। এই কুইন্সের মধ্যে জ্যামাইকাতে ভোটার আছেন প্রায় ১০ হাজার। কিন্তু বিগত যে কোনো নির্বাচনে বাংলাদেশি আমেরিকানদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার ব্যাপারে অনীহা লক্ষ্য করা গেছে। তবে এবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বাংলাদেশিরা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়েছেন। অনেক বাংলাদেশি আমেরিকান দিয়েছেন আগাম ভোট।
এদিকে অনেক বাংলাদেশি আমেরিকানদের মধ্যে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার অনীহা দেখা গেছে। ভোট দিতে কেন যাননি জানতে চাইলে একাধিক বাংলাদেশি বলেছেন, তাদের একটি ভোটে কী যায় আসে? না যাওয়ার কারণ হিসাবে তারা বলছেন, তাদের কাজে যেতে হয়েছে। এ জন্য ভোট দিতে যাওয়ার সময় পাননি। ভোট দিলে যতটুকু উপকৃত হবেন, কাজে না গেলে বরং তার কয়েকগুণ ক্ষতি হবে বলে মনে করেন তারা।
ডেমোক্রেট হয়েও ট্রাম্পকে ভোট যে কারণে
ঠিকানা রিপোর্ট : ডেমোক্রেট রেজিস্টার্ড হয়েও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছেন বহু আমেরিকান। এই দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন বাংলাদেশিরাও। তাদের বড় একটি অংশ নানা কারণে কমলা হ্যারিসকে ভোট দেননি। বরং আমেরিকার ইতিহাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথাগত প্রেসিডেন্ট হিসেবে না দেখা গেলেও কেন তাকে ভোট দিয়েছেন ডেমোক্রেটরা, তার বেশকিছু কারণ রয়েছে।
বিশ্বজুড়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, মানবাধিকারের মত বিষয়গুলোতে জোর দেয় ডেমোক্রেট প্রশাসন। ডেমোক্রেটরা ক্ষমতায় এলে ব্যবসা-বাণিজ্য, সহযোগিতার জায়গাগুলো বাংলাদেশের জন্য সহজ থাকার সুযোগটা বেশি বলেই মনে করা হতো। কিন্তু বাইডেনের সময়ে ইমিগ্র্যান্ট কমিটি ভালো নেই। ইউক্রেন-রাশিয়া এবয় ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের কারণে আমেরিকার অর্থনীতি দন দিন নিম্নমুখী হয়ে পড়ছে। এসব কারণে সাধারণ প্রবাসীরা এবার নির্বাচনে সিদ্ধান্ত বদলেছেন। তারা বলছেন, ডেমোক্রেট দিয়ে কী হবে যদি ভালো ন থাকতে পারি?
নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগে কর্মরত ট্রাফিক এজেস্ট সুলতান আহমেদ বলেন, তিনি ডেমোক্রেট হলেও মন্দের ভালো হিসাবে ট্রাম্পকে ভোট দেবেন। কারণ ট্রাম্পের সময় তিনি পরিবার নিয়ে ভালো ছিলেন।
জাকসন হাইটস বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের নেতা সেলিম হারুণ সস্ত্রীক ভোট দিয়েছেন পিএস-৬৯ স্কুলে। ডেমোক্রেট হিসাবে কাকে ভোট দিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা বলা যাবে না। তার স্ত্রী স্বীকার করেন, তিনি একজন নারী হিসাবে কমলা হ্যারিসকেই ভোট দিয়েছেন।
ডেমোক্রেট ভোটার হয়ে কেন ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছেন, এমন কয়েকজন বাংলাদেশি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ট্রাম্পের সময় আমরা সবদিক থেকে ভালো ছিলাম। বাইডেন আসার পর অর্থনীতি খারাপের দিকে গেছে। দ্রব্যমূল্যের আকাশচুম্বি। ইমিগ্র্যান্টবান্ধব বলা হলেও বাইডেন সুযোগ-সুবিধা সংকুচিত করেছেন। যুদ্ধের পেছনে অর্থ ব্যয় করেছেন। অন্যদিকে ট্রাম্পের চার বছরের শাসনামলে বিশ্বে কোথাও যুদ্ধ হয়নি। আমেরিকানরা সবাই মিলে ভালো ছিল। অর্থনীতি চাঙ্গা হয়েছিল। আমরা সেই অবস্থায় ফিরে যেতে চাই।
সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সংখ্যালঘু নির্যাতন সংক্রান্ত একটি টুইট আলোচনা সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশে। তবে বিশ্লেষকেরা এটিকে ভবিষ্যৎ নীতির চেয়ে নির্বাচনে আমেরিকার হিন্দু ভোটার টানার রাজনৈতিক কৌশল হিসেবেই দেখছেন। তবে একটি সূত্র বলছে- শুধু হিন্দু ভোটার নয়, যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা এই টুইটের পর দলবেধে ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছেন। তারা অন্যকেও ট্রাম্পকে ভোট দিতে উৎসাহ দিয়েছেন। তাদের ধারণা- ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শক্তিশালী হবেন এবং শেখ হাসিনার ব্যাপারে ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
অন্যদিকে ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের পক্ষ নিয়েছে। এ বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের মুসলানদের বড় একটি অংশ ভালোভাবে নেননি। এ কারণে তাদের বড় একটি অংশ ডেমোক্রেট হয়েও ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছেন। এর আগে ট্রাম্প অনেকবার বলেছেন যে তিনি ক্ষমতায় এলে সবার আগে ইসলাইল ও ফিলিস্তিন যুদ্ধ বন্ধ করবেন। এ ঘোষণাটি অনেক শান্তিপ্রিয় মুসলমান ভোটারের মনে আশার সঞ্চার করেছে। এসব কারণে অনেকে ডেমোক্রেট হয়েও রিপাবলিকান ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছেন।
ডাইভারসিটি প্লাজায় ভোট গণনা উৎসব
ঠিকানা রিপোর্ট: কে হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট তা জানতে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে ডাইভারসিটি প্লাজায় ভোট গণনা উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তারা রাত ৯টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত উপভোগ করেন ব্যতিক্রমী এ আয়োজন।
বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্টজন ছাড়াও সর্বস্তরের প্রবাসীরা বড় পর্দায় উপভোগ করেন ভোট গণনা। সেখানে ডেমোক্রেটরা যেমন ছিলেন, তেমনি রিপাবলিকানরাও স্বতঃস্ফূর্ত অবস্থান করেন। বাংলাদেশি ছাড়াও অন্যান্য কমিউনিটির মানুষ এতে অংশ নেন। সবার সহাবস্থান এক ভিন্ন মাত্রা এনে দেয় এ উৎসবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- উৎসবের আয়োজক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ব্যবসায়ী আবু জাফর মাহমুদ, মূলধারার রাজনীতিক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গিয়াস আহমেদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সাপ্তাহিক আজকাল সম্পাদক শাহনেওয়াজ, বাংলাদেশ সোসাইটির নবনির্বাচিত সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম ও নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, নবনির্বাচিত সহ-সভাপতি কামরুজ্জামান কামরুল, আজকালের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী রানো নেওয়াজ, বাংলাদেশ সোসাইটির নবনির্বাচিত সাংস্কৃতিক সম্পাদক অনিক রাজ, বিশিষ্ট রাজনীতিক মো. আব্দুল বাতিন, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইটস ডেভেলপমেন্টের প্রেসিডেন্ট শাহ শহীদুল হক সাঈদ, সাংবাদিক রিমন ইসলাম প্রমুখ।
সবার সরব উপস্থিতিতে সরগরম ছিল ডাইভারসিটি প্লাজা। ভোট গণনার এই উৎসবের আয়োজন করায় আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান সবাই।
আছেন দোভাষীও: নিউইয়র্ক সিটিতে বাংলায় ব্যালট
ঠিকানা রিপোর্ট : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের ব্যালট পেপারে ইংরেজি ছাড়াও চারটি ভাষা ছিল। এর মধ্যে একটি ছিল বাংলা। শুধু ব্যালটে নয়, ভোটকেন্দ্রে বাংলা ভাষাভাষি দোভাষীও ছিল। নিউইয়র্কে বাংলাদেশি কমিউনিটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা ব্যালটে বাংলা ভাষার উপস্থিতি থেকে বোঝা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন পরিচালনাকারী সংস্থা বোর্ড অব ইলেকশন্সের নিউইয়র্ক শাখার নির্বাহী পরিচালক মাইকেল জে রায়ান ৪ নভেম্বর সোমবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, ইংরেজি ছাড়াও আরও চারটি ভাষায় সেবা দেওয়া হবে। এশীয় ভাষা হিসাবে চীনা, কোরিয়ান এবং বাংলা থাকবে। এছাড়া আরেকটি ভাষা থাকবে, তা হলো স্প্যানিশ।
জানা গেছে, ব্যালট পেপারে বাংলা ভাষার অন্তর্ভুক্তি শুধু সৌজন্যের জন্য নয়। এটি আইনি বাধ্যবাধকতাও বটে।
আইন অনুযায়ী, নিউইয়র্ক সিটি নির্দিষ্ট কিছু ভোটকেন্দ্রে বাংলায় ভোটগ্রহণ সামগ্রী সরবরাহ করতে বাধ্য। বাংলাভাষী ভোটারদের জন্য ভোটদান সহজ করতে এটি করা হয়।
মাইকেল জে রায়ান বলেন, আমি নিজে ইংরেজি ভাষায় দক্ষ। তবে এখানে আমাদের কমিউনিটিতে এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা বাংলা ভাষার ব্যালট পেপার দেখলে স্বস্তি বোধ করবেন। ভোটকেন্দ্রে এটি তাদের জন্য সহায়ক হবে।
এদিকে ব্যালট পেপার ছাড়াও ভোটকেন্দ্রে একজন বাংলা ভাষাভাষি ভোটার যাতে সবকিছু বাংলায় জেনে নিতে পারেন এজন্য দোভাষীও রাখা হয়েছিল। জ্যামাইকার একটি ভোটকেন্দ্রে বাংলায় দোভাষীর কাজ করা কলেজ ছাত্র আহরার অর্ণব জানান, তিনি এর আগে মেয়র নির্বাচনে বাংলা দোভাষীর কাজ করেছেন। এবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি একই কাজ করছেন। তিনি বলেন, অনেক বাংলাদেশি আছেন, যারা বাংলা দোভাষী পেলে স্বাচ্ছন্দবো ধকরেন।
কমেন্ট বক্স