ওয়াশিংটন ডিসি থেকে ১৪ হাজার কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ ভারতের একটি গ্রাম থুলাসেন্দ্রাপুরম। সেখানকার বাসিন্দারা দাবি করেন, তারা মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের একনিষ্ঠ ভক্ত। এই গ্রামেই নির্বাচনের আগে কমলার জন্য চলছে বিশেষ পূজা।
তামিলনাড়ুর সবুজ ধান এবং চিনাবাদাম-সমৃদ্ধ গ্রামটিতে হ্যারিসের পূর্বপুরুষ পিভি গোপালন জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এরপর এক শতাব্দীরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও সেখানকার বাসিন্দারা গর্বের সঙ্গে কমলা হ্যারিসকে তাদের ভূমিকন্যা’ বলে দাবি করে আসছেন।
গ্রামজুড়ে দেখা গেছে, হ্যারিসের ছবি সংবলিত এবং স্থানীয় তামিল ভাষায় তার জন্য শুভকামনা জানিয়ে ব্যানার-বিলবোর্ডও স্থাপন করা হয়েছে। কমলার বিজয় নিশ্চিত করতে স্থানীয় মন্দিরে প্রতিদিন পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় রাজনীতিবিদ এম মুরুকানন্দন বলেন, তিনি (কমলা) জিতবেন কি জিতবেন না, সেটা আমাদের কাছে অপ্রাসঙ্গিক। তিনি যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তা ঐতিহাসিক এবং আমাদের গর্বিত করেছে।
কমলা হ্যারিস প্রায়ই তার মা শ্যামলা গোপালন হ্যারিসের ভারতীয় শিকড়ের প্রভাবের কথা বলেছেন। গোপালন হ্যারিস দক্ষিণ ভারতের চেন্নাই শহরে জন্মগ্রহণ করেন এবং দিল্লিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। এরপর ১৯ বছর বয়সে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান, মাস্টার্সের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। তিনি একজন খ্যাতিমান স্তন ক্যান্সার গবেষণা বিজ্ঞানী হয়ে ওঠেন।
কমলা হ্যারিস থুলসেন্দ্রপুরম গ্রামে প্রথম গিয়েছিলেন পাঁচ বছর বয়সে। এরপর ২০০৯ সালে নিজের মায়ের দেহাবশেষের ছাই নিয়ে আবারও চেন্নাই যান। এরপর আর ভারতে আসা হয়নি তার। তবে তিনি গ্রাম নিয়ে কিছু বলেননি। এ বিষয়টি নিয়ে গ্রামটির মানুষ কিছুটা ব্যথিত। তা সত্ত্বেও যদি কমলা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এবং গ্রামটির কথা একবার উল্লেখ করেন তাহলে সবাই খুশি হবেন বলে জানিয়েছেন এক নারী। বর্তমানে গ্রামটিতে কমলা হ্যারিসের কোনো আত্মীয়স্বজন থাকেন না। তবে সেখানকার একটি মন্দিরে তার নানার নাম রয়েছে। তথ্যসূত্র : দ্য গার্ডিয়ান
ঠিকানা/এনআই