সকালে ঘুম থেকে উঠেই অনেকেই মোবাইলের অ্যালার্ম বন্ধ করেই হাতে তুলে নেন মুঠোফোনটিকে। এরপর মোবাইল নেট চালু করলেই ফোনে ঢুকতে থাকে একের পর এক হোয়াট্সঅ্যাপ, অফিসের মেল, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের নোটিফিকেশন। সেই সব সেরে দেশ-দুনিয়ায় কী চলছে সেই খবর নিতেও মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে নজর। কখন যে ঘণ্টাখানেক সময় পেরিয়ে যায়, বোঝাও যায় না।
তবে এই অভ্যাস যদিও আপনাকে ক্ষণিকের আত্মতৃপ্তি দিচ্ছে, তবে আপনার অজান্তেই সারাদিনের কাজের ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। সঙ্গে প্রভাব ফেলছে শরীরেও। দেখে নিন, এই অভ্যাস কী কী ক্ষতি ডেকে আনতে পারে?
১. মেটাবলিজম কমায়: আমাদের শরীরের সুস্থতার জন্য মেটাবলিজম প্রক্রিয়া ঠিকভাবে হওয়া জরুরি। কোনো কারণে এটি বাধাগ্রস্ত হলে বা ঠিকভাবে চলতে না পারলে তার স্পষ্ট প্রভাব পড়ে শরীরে। এটি মানসিকভাবেও ক্ষতি করতে পারে। আপনি যদি সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরই মোবাইল ফোনটি হাতে নেন তাহলে তা আপনার শরীরে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর ফলে কমতে থাকে মেটাবলিজম ক্ষমতা। শুধু তাই নয়, সেইসঙ্গে দেখা দিতে পারে ভীষণরকম মাথা যন্ত্রণা।
২. মানসিক চাপ বাড়ায় : আপনি যদি মানসিক চাপ বাড়াতে না চান তাহলে সকালে ঘুম থেকে উঠেই ফোন হাতে নেওয়া থেকে বিরত থাকুন। কারণ আপনি যদি সকালে উঠেই ফোন ঘাঁটতে শুরু করেন তবে তা মানসিক চাপ বাড়িয়ে তোলে মারাত্মকভাবে। এই অভ্যাস আপনার স্ট্রেস দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই অকারণে চাপ নেওয়া থেকে বিরত থাকুন। শরীরের পাশাপাশি মনকে সুস্থ রাখাও জরুরি।
৩. চোখের ক্ষতি করে : চোখের ক্ষতি থেকে বাঁচতে বিভিন্ন অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস থেকে দূরে থাকতে হবে। তার মধ্যে একটি হলো সকালে উঠেই ফোন ঘাঁটার অভ্যাস। কারণ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপনি যদি দীর্ঘ সময় ধরে উজ্জ্বল আলোযুক্ত স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকেন তাহলে তা আপনার চোখের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। যার ফলে দেখা দিতে পারে চোখে অস্বস্তি, মাথাব্যথা এবং চোখ ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা। হতে পারে যা আপনার চোখের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
৪. হজম ক্ষমতা দুর্বল করে : শুধু স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার খেলেই হবে না, তা ঠিকভাবে যেন কাজ করে, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সেলফোন থেকে নির্গত বৈদ্যুতিক এবং চৌম্বকীয় ক্ষেত্র (ইএমএফ) ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে আপনার হজমক্ষমতাকেও। শুনতে অদ্ভুত শোনালেও এটি সত্যি। তাই সকালে ঘুম থেকে উঠে ফোন হাতে নেওয়া থেকে বিরত তো থাকবেনই, সেইসঙ্গে সারাদিনও যতটা সম্ভব কম ব্যবহার করুন।
ঠিকানা/এএস