যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিস এবং রিপাবলিকার দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প সিদ্ধান্তহীন ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণে জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। ১৭ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) কমলা হ্যারিস সুইং স্টেট উইসকনসিনে তার নির্বাচনি সমাবেশ করেন আর তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এ সময় এক পডকাস্ট সাক্ষাৎকারে যুদ্ধরত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে নিয়ে সমালোচনায় মেতে ওঠেন। খবর এএফপির।
আগামী ৫ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নিরবাচনের ভোটগ্রহণের দিনকে সামনে রেখে নির্বাচনি প্রচারাভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন দুই প্রার্থীই। ডেমোক্র্যাট প্রার্থী এবং বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস তার প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান প্রার্থী ও যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে অল্প ব্যবধানে জাতীয়ভাবে এবং কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সুইং স্টেটে জনমত জরিপে এখনো এগিয়ে আছেন।
এদিকে, চূড়ান্ত সপ্তাহের নির্বাচনি দৌড়ে দুই প্রার্থীই হাইপ্রফাইল ব্যক্তিত্বকে সামনে নিয়ে আসছেন। আর এর অংশ হিসেবে পেনসিলভানিয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের একাধিক সমাবেশে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনকুবেড় ইলন মাস্ককে দেখা গেছে।
অন্যদিকে, উইসকনসিনের লা ক্রসে ম্যানুফেকচারিং হাবে এক সমাবেশে কমলা হ্যারিস বলেন, ‘আমরা গন্তব্যের প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছি আর শেষ না হওয়া পর্যন্ত এটা জমজমাট লড়াই হিসেবেই চলতে থাকবে।’
কমলা হ্যারিস আরও বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়াস লোক নন, তাই ওভাল অফিসে তার ফিরে আসাটা হবে নিষ্ঠুর সিরিয়াস বিষয়।’
কমলা হ্যারিস উইসকনসিনের গ্রিন বে এলাকাতেও তরুণ ভোটারদের পাশাপাশি ডেমোক্র্যাট সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন।
এদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় পিবিডি পডকাস্টে এক সাক্ষাৎকারে অংশ নেন। এসময় তিনি দেশের ইমিগ্রেশন, অর্থনীতি এবং গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে তার ক্ষোভের প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেন। তবে সবকিছু ছাপিয়ে তিনি আলোচনায় চলে আসেন ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সমালোচনা করায়।
প্রায় দুই মিলিয়ন সাবসক্রাইবারের পডকাস্টটিতে কথা বলতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘আমার দেখা সবচেয়ে ভালো সেলসম্যান হলেন জেলেনস্কি। প্রতিবার তিনি আমাদের কাছে এলে আমরা তাকে ১০০ বিলিয়ন ডলার দেই। ইতিহাসে এরকম অর্থ আর কয়জন আদায় করতে পেরেছে? আর কেউই পারেনি।’
সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও বলেন, ‘তার মানে এই নয় যে আমি তাকে সাহায্য করতে চাই না, ইউক্রেনের লোকজনের কষ্টটা আমি খুব বেশি অনুভব করি। তবে জেলেনস্কির যুদ্ধটা শুরু করতে দেওয়া ঠিক হয়নি।’
নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিন ঘনিয়ে আসতে থাকার কারণেই দুই প্রার্থীই এখন চিরাচরিত গণমাধ্যম ও নতুন নতুন গণমাধ্যমগুলোতে তাদের প্রচারণাকে তুঙ্গে নেওয়ার চেষ্টারত। তারা এখন অপেক্ষাকৃত কমসংখ্যক সিদ্ধান্তহীন ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণে সব রকম তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ঠিকানা/এসআর