নাটোরের বড়াইগ্রামে শাশুড়িকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে পুত্রবধূর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুলিশ পুত্রবধূ জলি খাতুন ও তার বোন পলি খাতুনকে আটক করেছে।
২৯ জুলাই শনিবার সকাল ১১টার দিকে জোয়াড়ি ইউনিয়নের আরাজী ভবানীপুর গ্রামে শাশুড়ি আছিয়া বেগমের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আছিয়া ওই গ্রামের নওশাদ আলীর স্ত্রী।
অভিযুক্ত পুত্রবধূ জলি ও তার বোন পলি একই উপজেলার আটুয়া গ্রামের আব্দুল জালালের মেয়ে।
বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সরল মূরমূ মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
প্রতিবেশী ও স্বজনেরা জানান, সকালে ঘুম থেকে উঠে নিহতের ছেলে শাহিন তার কর্মস্থল বনপাড়ায় চলে যান। সকাল ১০টার দিকে পুত্রবধূ জলির চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে দেখতে পান আছিয়া বেগম তার নিজ শোবার ঘরের বিছানায় মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন। এ সময় নিহতের গলায় আঁচড়সহ দাগ দেখা যায়। পরে স্বজনেরা পুত্রবধূ ও বেড়াতে আসা তার ছোট বোনকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ও বোনসহ পুত্রবধূকে আটক করে।
পরিদর্শক (তদন্ত) সরল মূরমূ জানান, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে মৃত্যুর ঘটনাটি রহস্যজনক মনে হয়েছে। পুত্রবধূ ও তার বোনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ঠিকানা/এনআই