Thikana News
১৮ অক্টোবর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪


 

আওয়ামী লীগে ক্যু ✪ মহাটেনশনে হাসিনা

আওয়ামী লীগে ক্যু ✪ মহাটেনশনে হাসিনা


৭৮তম জন্মদিনটি দুভাবে কেটেছে সদ্য ক্ষমতা হারিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। আওয়ামী লীগের পলাতক নেতা ও নিকটজনেরা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটটি ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। তরুণেরা হাসিনার ছবিতে জুতা মারার কর্মসূচি নিয়েছিল। ক্যাম্পাসে, মহল্লায়, পাড়ায় পাড়ায় ছিল প্রতিযোগিতা। হাসিনা-চিত্রের নাক বরাবর জুতা নিক্ষেপকারীরা পেয়েছেন পুরস্কার। বিষয়টি সচেতন মহলে নিন্দনীয় হলেও আওয়ামী মহলে ছিল অনুশোচনার।
জুলাই-আগস্ট ছাত্র আন্দোলনে মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। ৮২৫ থেকে ১৪৮৫, এখন ১৫৮১। চরম আঘাতপ্রাপ্তরা হাসপাতালে প্রায় প্রতিদিনই মরছে। ফলে শোকের বাতাবরণ হ্রাস না পেয়ে বাড়ছেই। দেশে থাকা আওয়ামী লীগের নেতা-সমর্থকেরাও উদ্বিগ্ন। দলের মধ্যেই শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা নিম্নমুখী। দলীয় নেতারা স্বাধীনতা, বঙ্গবন্ধু, পতাকা ও জাতীয় সংগীত সুরক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ। পাশাপাশি মামলাহীন বিশুদ্ধ নেতার প্রত্যাশা অধিকাংশের।
২৮ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনার জন্মদিন ঘিরে দেশে কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছিল না। রাজধানী ঢাকা বা দেশের কোথাও জন্মজয়ন্তী উদ্্যাপিত হয়নি। শুধু গোপালগঞ্জে কলেজ ছাত্রছাত্রীরা ঝটিকা মিছিল করে। কিন্তু পুলিশের বাধায় ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। দেশের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্য কোনো উদ্যোগ নেননি। আলাপ করে পাওয়া যায় ভিন্ন অঙ্ক। অধিকাংশ নেতা শেখ হাসিনার প্রতি বিশ্বাস হারিয়েছেন। প্রায় ২০০টি হত্যা মামলার আসামি তিনি। ১৫৮১টি লাশ আর হাজার কোটি টাকা পাচারের দায়।
সবচেয়ে বড় অভিযোগটি বঙ্গবন্ধু পরিবারের প্রতি। তাদের মতে, ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছেড়ে নেত্রী পালালেন। পুরো আওয়ামী লীগকে অরক্ষিত রেখে নিজেকে সরিয়ে নিলেন। নেতা, মন্ত্রী, এমপি, চেয়ারম্যান, মেয়র, মেম্বার সবাই বিপদে। কাউকে তিনি পালানোর আগাম বার্তা দেননি। ফলে শীর্ষ থেকে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বিপদাপন্ন। বাড়িঘর, অফিস লুটপাট বা অগ্নিতে ভস্মীভূত। ‘মব জাস্টিসে’ প্রাণ চলে গেল অসংখ্য জনের। গ্রেফতার ও মামলায় আসামি হওয়ার প্লাবন চলছে। রাজধানী ঢাকায় ২৩ হাজার তৃণমূল নেতা আত্মগোপনে। ‘আয়নাঘরে’র চেয়েও শাস্তিমূলক কঠিন জীবনযাপন। অথচ এমন দুর্বিষহ পরিস্থিতিতে ‘বঙ্গবন্ধু পরিবারে’র একজনও পাশে নেই। শেখ হাসিনার পূর্বাভাস পেয়ে সময়মতো সটকে পড়েছেন। চোখের জল ফেলতে ফেলতে এমন অভিযোগ করছেন নেতারা। বলছেনÑবঙ্গবন্ধু পরিবারের একজনকেও বিপদের মধ্যে পাবেন না।
হ শেখ হাসিনা, রেহানা, জয়, পুতুল ধরাছোঁয়ার বাইরে। নেত্রীর ফুপাতো ভাই শেখ ফজলুল করিম সেলিম। সাবেক মন্ত্রী, গোপালগঞ্জ-২-এর এমপি ছিলেন। তার পুত্র যুবলীগ নেতা ব্যারিস্টার শেখ ফজলে ইমাম। এলাকা ছেড়ে একযোগে পলাতক, কোনো চিন্তা নেই।
হ ফুপাতো ভাই প্রয়াত শেখ মণির দুই ক্ষমতাবান পুত্রই পলাতক। ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস। যুবলীগ সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ। সিগন্যাল পেয়ে ২ আগস্ট মেয়র তাপসের নেতৃত্বে সিঙ্গাপুর গমন।
হ বঙ্গবন্ধুর সহোদর শেখ নাসের-পুত্র শেখ হেলাল। বাগেরহাটে শেখ তন্ময়সহ বাপ-বেটা দুই আসনে এমপি। শেখ হেলালের সহোদর এমপি শেখ সোহেল। আবার সোহেলপুত্র যুবলীগ নেতা শেখ ফজলে ফাহিম। শেখ হেলালের আরেক সহোদর শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল। এই ক্রীড়া সংগঠক খুলনা-২-এর এমপি। বিপদকালে কেউ আর দেশে নেই।
হ বঙ্গবন্ধু পরিবারের আরেক তরফে দুই সহোদর এমপি। মাদারীপুরে চিফ হুইপ নুর ই আলম চৌধুরী লিটন। স্বতন্ত্র এমপি মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন। উভয়েই সপরিবারে সময়মতো সটকে পড়েছেন।
হ বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি শেখ সেরনিয়াবাত-পুত্র আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ। বরিশাল-১-এর এমপি ও সাবেক চিফ হুইপ। সন্তান সাদিক আব্দুল্লাহ বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র। পরের মেয়র হাসনাত-সহোদর আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ। একই পরিবারের যুবলীগ নেতা ব্যারিস্টার তৌফিকুর রহমান। পরিবারঘনিষ্ঠ নেতা মাহবুব উল আলম হানিফ। আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সম্পাদকসহ সবাই সুকৌশলে পলাতক।
বঙ্গবন্ধু পরিবারের কাউকে ধরতে পারেনি অন্তর্বর্তী সরকার। এ জন্য একটি সামাজিক সংগঠন প্রতিবাদ সভা করেছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ নেতাদের গ্রেফতার অব্যাহত রয়েছে। ফলে পলাতক বনাম অপলাতক বিরোধ বাড়ছে।
হ তাজউদ্দীন-পুত্র সোহেল তাজকে ঘিরে হাসিনা-বিরোধীদের ক্যু-চেষ্টা
মিডিয়ায় সাড়া তুলেছেন তাজউদ্দীন-পুত্র সোহেল তাজ। বলেছেন, ১৯৭১-এ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর দেননি। আমার বাবা ড্রাফট নিয়ে গেছেন, তিনি স্বাক্ষর করেননি। ব্যর্থ মনোরথে বাবা ফিরে এসে মাথার চুল ছিঁড়েছিলেন। বলেছেন, এত দিনের আন্দোলন-সংগ্রাম বৃথা গেল। এরপর বঙ্গবন্ধু পাকসেনাদের হাতে ধরা দেন। পুরো একাত্তর সালে পশ্চিম পাকিস্তানবাসী ছিলেন। আর আমার বাবা অন্যদের নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেন। মাত্র নয় মাসে ‘বাংলাদেশ’ নামক দেশটি উপহার দেন। কিন্তু বিনিময়ে দেশের কাছে আমরা কিছু চাইনি।
১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হন। ৩ নভেম্বর আমার বাবাসহ চার নেতাকে জেলখানায় হত্যা করা হলো। এত শোকের পরও আমার মা জোহরা তাজউদ্দীন বসে থাকেননি। দুর্দিনে দলের হাল ধরে সফলতা দেখিয়েছেন। আহ্বায়ক হয়েছেন, সারা দেশ চষে বেড়িয়েছেন।
এরপর কী হলো, ৮১-এর ১৭ মে শেখ হাসিনা ফিরলেন। দলের সভাপতি হিসেবে সংগঠন গোছালেন। কিন্তু প্রকৃত রাজনীতি উনি করেননি। প্রবীণ নেতাদের দূরে ঠেলে দিয়ে নিজস্ব বলয় তৈরি করলেন। বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের এমপি-মন্ত্রী পদে বসালেন। নেতাদেরকে টাকা কামানোর মেশিন বানালেন। আমাকেও বলতেন, কিছু টাকা-পয়সা বানিয়ে নাও। আসলে দেশের প্রতি ওনার দরদ দেখিনি। ক্ষমতায় থাকার জন্য ‘আর্টিফিশিয়াল দরদ’ দেখাতেন।
২০০৮-এর ডিসেম্বরে দ্বিতীয়বার এমপি হলাম। আমাকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী করা হলো কিন্তু ক্ষমতা নেই। বঙ্গবন্ধু পরিবারের নেতাদের হাতে সকল মন্ত্রণালয় জিম্মি। গঠিত হলো ঠ্যাঙ্গাড়ে বাহিনী ও কমিশন সিন্ডিকেট। ২০০৯-এর ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানা হত্যাকাণ্ড হয়। আমি তখন আমেরিকায় পরিবারের সঙ্গে। পরিস্থিতির আকস্মিকতায় আইজিপি সাহেবকে ফোন দিলাম। বললাম, দ্রুত চতুর্দিক ঘিরে ফেলুন। তিনি বললেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনুমতি দেননি। ফোন দিলাম মন্ত্রী সাহারা খাতুন আন্টিকে। বললেন, সবকিছু প্রধানমন্ত্রী দেখছেন, আমার করার কিছু নেই।
ফোন দিলাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। বললাম, পিলখানার বিডিআররা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন। ফোর্স দিয়ে ঘেরাও করে আটককৃতদের বাঁচাই। প্রধানমন্ত্রী বললেন, বিডিআরের কনসালট্যান্ট এখন কর্নেল (অব.) ফারুক খান। বাণিজ্যমন্ত্রী এবং গোপালগঞ্জের একজন এমপি। এখানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তেমন কাজ নেই। তা ছাড়া তুমি আমেরিকায় আছ। এখানকার পরিস্থিতি তেমন বুঝবে না, আমরা দেখছি।
সোহেল তাজ বলেন, পিলখানা হত্যার পুরো দায়িত্ব শেখ হাসিনার। ৫৭ জন মেধাবী সেনা কর্মকর্তার লাশের দায় আওয়ামী লীগের ঘাড়ে। তিনি বলেন, ২০০৯ সালেই আমি পদত্যাগ করি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এক বছর পর সেটি গ্রহণ করেন। উনি নানা উপায়ে আমাকে ধরে রাখতে চেয়েছেন। রাজি না হওয়ায় ফোনে গান শুনিয়েছেন। বলেছেন, আমি কাউকে ছাড়ি না। আমি তোমাকে ছাড়ব না।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন সোহেল তাজ। ডিবি হারুনের কার্যালয়ে ছাত্র সমন্বয়কেরা আটক ছিলেন। সোহেল তাজ সাক্ষাতের জন্য গিয়ে দেশে-বিদেশে আলোচিত হন। হাসিনা-বিরোধী সাম্প্রতিক অবস্থান নিয়েও তিনি এখন আলোচনার তুঙ্গে।
হ শেখ হাসিনা ৪৩ বছর সভাপতি ॥ আওয়ামী লীগে সংস্কার চান অধিকাংশ নেতা
মিডিয়ায় বক্তব্য আসার পর সোহেল তাজ আর বসে নেই। আওয়ামী লীগের একটি বড় অংশ যোগাযোগ করেছে। ভারতসহ দুটি দূতাবাস মতবিনিময় করেছে। আওয়ামী লীগের বিকল্প স্রোত গড়তে নিত্যনতুন আহ্বান পাচ্ছেন। দুর্নীতি, গুম-খুনমুক্ত শান্তিবাদী আওয়ামী লীগ গঠনের জোর আহ্বান। একাত্তরের তাজউদ্দীন কিংবা আটাত্তরের জোহরা তাজউদ্দীন যেন। সোহেল তাজের মাধ্যমে ২০২৪-এর নতুন আওয়ামী লীগকে খুঁজছে অনেকে।
শেখ হাসিনা সভাপতি পদে আছেন ৪৩ বছর। দলের নতুন নেতৃত্বের বিকাশে এটি প্রধান বাধা। তা ছাড়া পরিবারতন্ত্রের অন্ধকারে ঢেকে আছে প্রাচীন দলটি। এখন সংস্কারের যুগে নতুন আওয়ামী লীগ অনেকের কাম্য। উল্লেখ্য, রাজধানী ঢাকায় ২৩ হাজার তৃণমূল নেতা লুকিয়ে। তাদের অধিকাংশই দলে সংস্কার চান। সম্ভাব্য ক্যু’র সংবাদ পৌঁছে গেছে শেখ হাসিনার কানেও। ফলে ভারতে অবস্থানরত হাসিনাবাদীরা তটস্থ হয়েছেন। দপ্তর সস্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া অনলাইনে বিবৃতি দিয়েছেন। বলেছেন, জন্মদিন উদ্্যাপন করায় দলনেত্রী ধন্যবাদ জানিয়েছেন। যদিও বাংলাদেশে তেমন কোনো উৎসব আয়োজন ছিল না। কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বের অস্তিত্ব প্রদর্শনে এই বিবৃতি।
শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ঠেকাতে গোপন বৈঠকও চলছে। কলকাতার ‘ইকো পার্কে’ ২৮ সেপ্টেম্বর বৈঠক বসে। ছিল সভানেত্রীর জন্মদিন উদ্্যাপন ও করণীয় নির্ধারণ। সভাপতিত্ব করেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ভরামুখ দাড়ি রাখায় অনেকে প্রথমে চিনতে পারেনি। সভায় ছিলেন সাবেক এমপি অসীম কুমার উকিল, সাবেক এমপি অপু উকিল ও শেখ সেলিম-পুত্র। আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব বঙ্গবন্ধু পরিবারের হাতেই রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
উল্লেখ্য, দলে ক্যু নিয়ে মহাটেনশনে আছেন শেখ হাসিনা। দেশে-বিদেশে ফোন করার সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়েছেন। হাসিনা-পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় মুখ খুলেছেন। বাংলাদেশের যমুনা টিভিতে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। বলেছেন, ক্ষমতা হারানোয় মা অস্থিরতায় ভুগছেন। যখন তখন একে ওকে ফোন দিচ্ছেন। আমার অনুরোধ, আপনারা কেউ রাগ করবেন না।
উপদেষ্টা ব্রি. ড. সাখাওয়াত চান নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আসুক। তবে দলটির ফ্যাসিস্ট চেহারা বদলাতে হবে। তিনি বলেন, শান্তিবাদী নির্ভেজাল রাজনীতিকেরা দলটির নেতৃত্ব দিক।
হ ইউনূসের ‘এনজিওগ্রাম’ সরকারেরও সংস্কার দাবি
জাতিসংঘ ও আমেরিকা জয় করে দেশে ফিরেছেন ড. ইউনূস। প্রবাসী বাংলাদেশি ও মিডিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাননি। তবে ১২ জন রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানের সাক্ষাৎ ঘটেছে। প্রায় ৪০টি কূটনেতিক বৈঠক সেরেছেন। ফলে প্রায় তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন। রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য ১৯৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। দেশকে সবুজায়নে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৪০০ মিলিয়ন ইউরো। সফররত আইএমএফ দল কর্তৃক সাড়ে তিন মিলিয়ন মার্কিন ডলার। দেশ-বিদেশের সচেতন মহল উৎফুল্ল। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই অর্থভান্ডারের সদ্ব্যবহার হবে তো। চতুর্দিকে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি, নিয়ন্ত্রণে ধীর গতি। কারও মতে, উপদেষ্টা পরিষদ ‘ওল্ড অ্যান্ড চাইল্ড হোম’। উদ্যমী, অভিজ্ঞ মধ্যবয়স্কদের অংশীদারিত্ব চাই। ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠিত হয়েছে। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারেরও সংস্কার প্রয়োজন। এনজিও ও গ্রামীণ ব্যাংক প্রভাবিত ‘এনজিওগ্রাম’ সরকার চলছে। এটিকে সর্বজনীন সরকারে রূপ দেওয়ার জোর দাবি উঠেছে।

কমেন্ট বক্স