নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের ম্যারিয়ট মারকুইস হোটেলে তৃতীয় বারের মতো গত ২৪ সেপ্টেম্বর যৌথভাবে গ্রেটার নিউইয়র্ক চেম্বার অব কমার্স এবং ইউএসএ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত নিউইয়র্ক ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ফেয়ার ও চেম্বার এক্সপো ২০২৪ অনুষ্ঠিত হলো। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন আহ্বায়ক ডা. জিয়াউদ্দিন আহমেদ এবং নিউইয়র্ক চেম্বারের সভাপতি মার্ক জাফি।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে সম্মানিত অতিথি ও বক্তাদের মধ্যে ছিলেন পাবলিক পলিসির ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, বিকেএমইর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, পরিবেশ আন্দোলনের শরীফ জামিল, ডেফোডিল গ্রুপের চেয়ারম্যান সবুর খান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেম্পির ড. মুস্তাফিজুর রহমান, চেয়ারম্যান আইএফডিসি গ্রুপ ক্যাপ্টেন শফিকুর রহমান, বিজেমীর ডিরেক্টর রাজীব চৌধুরী, সিমেডের খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মান্নান, জামান জুটের সৈয়দ আসাদুজ্জামান, কুষ্টিয়ার সেতু গ্রুপের আব্দুল কাদের আর আমেরিকার অতিথিদের মধ্যে লং আইল্যান্ডের বিশিষ্ট শিল্পপতি ও জনহিতকর কর্মের অগ্রদূত ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ জাকি হোসাইন, কোল ফ্রি ওয়ার্ল্ডের রায়হানুল ইসলাম চৌধুরী, ফাজিল গ্রুপের আবুল হোসাইন, বিএমএর প্রাক্তন সভাপতি ডা. জিয়াউর রহমান , কানাডা থেকে বাংলাদেশের মানবশক্তির অগ্রদূত ডা. আরিফুর রহমান, খলিল বিরিয়ানির খলিলুর রহমান, কাল্টেকের সিইও মহম্মদ মালিক, ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির চ্যান্সেলর আবুবকর হানিফ, অনুষ্ঠানের কো-অর্ডিনেটর বিশ্বজিৎ সাহা এবং নিউইয়র্ক স্টেটের মাইনরিটি ওমেন বিজনেস ফর এ মিশনের সর্বোচ্চ অ্যাওয়ার্ড ২০২৪ পাওয়া জনহিতকর কর্মের ব্যক্তিত্ব রাহাত হোসাইন।
অনুষ্ঠানের দুটি বিশেষ দিক ছিল- একদিকে ১৪০টি স্টল ছিল, তার মধ্যে বাংলাদেশের স্টল ছিল ১৮ টি। দিনব্যাপী তাতে ব্যবসায়ী মানুষের বিচরণ, অনেক নতুন পণ্যের সাথে পরিচয় এবং বাণিজ্য সম্প্রসারণ করার জন্য একটি সুযোগ ছিল। বাংলাদেশের বিভিন্ন সংস্থা ও পণ্য দৃশ্যমান ছিল। আমেরিকায় এই সুযোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট হওয়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। গত বছর বহু পণ্য ও ৩৫ হাজার নিউইয়র্ক চেম্বারের সদস্যকে পাঠানো হয়েছিল। এবারও এই উদ্যোগ নেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানের আরেকটি দিক ছিল বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষ সেমিনার। ছয়টি সেমিনারের মধ্যে আমেরিকানদের পরিচালিত ফিউচার অব হেলথ ইন্স্যুরেন্স, চারজন বিশেষজ্ঞ কীভাবে নিউইয়র্কের ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির দৌরাত্ম্যকে ঠেকিয়ে ২০ শতাংশ প্রিমিয়াম কমানো যায় তার পন্থা নির্ধারণ। বাকি পাঁচটি ছিল বাংলাদেশের উন্নয়নের ওপর। তাতে অংশ নেন বাংলাদেশ থেকে আগত এবং যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বিশেষজ্ঞরা। সেমিনারগুলো ছিল অত্যন্ত প্রাণবন্ত।
সেমিনারের বিষয়বস্তু ছিল : ১. ডা .জিয়াউদ্দিন আহমেদ পরিচালিত ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট অপরচুনিটি, ২. মহম্মদ মহাদে উজ জামান পরিচালিত আইটি সেক্টরে কীভাবে উন্নয়ন করা যায়, ৩. নিউইয়র্ক সিটির মেয়র অফিসার ডিরেক্টর সৈয়দ ওমর হাসান পরিচালিত বাংলাদেশে বিনিয়োগের অপরিসীম সুযোগ, ৪. রায়হানুল ইসলাম চৌধুরী পরিচালিত বাংলাদেশের রফতানি ও আমদানির সুযোগ সম্বন্ধে অবিহিত করা ও তার বাধা এবং ৫. ড. নজরুল ইসলাম পরিচলিত জাতিসংঘে বাংলাদেশের ৫০ বছরের অর্জন এবং অবদান।
প্রতিটি সেমিনারের অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ও উচ্চমানের আলোচনা সবাইকে মুগ্ধ করে। এই আলোচনা থেকে উঠে আসা সকল মূল্যবান তথ্য সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সংগঠন, ব্যক্তি ও মন্ত্রণালয়কে পাঠানো হবে।
ঠিকানা/এনআই