দেশে প্রবাসীদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিশেষ আইন চান প্রবাসীরা। এই আইনের নাম ‘প্রবাসী সুরক্ষা আইন’ রাখার প্রস্তাব করেছেন তারা। এ লক্ষ্যে প্রবাসী সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন কমিটিও গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটির উদ্যোগে ২১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটস জুইশ সেন্টারে জাঁকজমক পরিবেশে এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মাহাবুবার রহমান বকুল। সঞ্চালনা করেন সদস্যসচিব মোহাম্মদ আলী ও আমীন মেহেদী বাবু। সেমিনারে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটির নেতারা তাদের দাবিদাওয়া তুলে ধরেন। তাদের দাবিগুলো হলো :
১. দেশে প্রবাসীদের সুরক্ষা বা নিরাপত্তা দেওয়ার লক্ষ্যে ‘প্রবাসী সুরক্ষা আইন’ নামে একটি বিশেষ আইন চালু করতে হবে।
২. তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে দেশে প্রবাসীদের অভিযোগ, মামলা-মোকদ্দমা নিষ্পত্তি করার লক্ষ্যে ‘প্রবাসী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল’ গঠন করতে হবে। দেশের প্রতিটি জেলায় ট্রাইব্যুনাল বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
৩. এই বিশেষ ট্রাইব্যুনালের নিয়ন্ত্রণাধীনে একটি মোবাইল কোর্ট ব্যবস্থা ঢাকা এয়ারপোর্টে চালু করে দ্রুততার সঙ্গে প্রবাসীদের অথবা যেকোনো যাত্রীর অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে হবে।
প্রবাসী সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যসচিব মোহাম্মদ আলী বলেন, গত ২৫ বছরে প্রবাসীদের শুধু কান্নাই দেখেছি, কোনো প্রতিকার হয়নি। এবার আমরা প্রবাসীদের বিভিন্ন সমস্যার উল্লেখ করে তা থেকে প্রতিকার পাওয়ার লক্ষ্যে একটি খসড়া আইনের প্রস্তাবনা বাংলাদেশ সরকার বরাবর পেশ করতে চাই, যে প্রস্তাবনায় প্রবাসীদের দীর্ঘ দিনের কাক্সিক্ষত দাবি রয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট মাহাবুবার রহমান বকুল বলেন, দেশে প্রবাসীদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উল্লিখিত দাবি-সংবলিত আমাদের ‘খসড়া প্রস্তাবনাটি’ আইনে পরিণত হলে দেড় কোটি প্রবাসী উপকৃত হবেন। তারা দেশে পূর্ণ নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা পাবেন। প্রবাসীদের সমস্ত ন্যায়সংগত অধিকার-দাবি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে।
উল্লিখিত দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে আরও বক্তব্য দেন অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী, আব্দুল আজিজ বড় ভূঁইয়া, মীর বশার, মোর্শেদ আলম, আমিন মেহেদী, কাজী সেলিম খান, অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন, ডা. মো. আ. লতিফ, অ্যাডভোকেট সাইয়েদ মঈন উদ্দিন, অ্যাডভোকেট সোনিয়া সুলতানা, অ্যাডভোকেট আ. রশিদ, অ্যাডভোকেট জয়জিৎ আচার্য, অ্যাডভোকেট জাকির মিয়া প্রমুখ।
সভাপতি তার সমাপনী বক্তব্যে বক্তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।