বাসি খাবার ফেলে দেওয়ার নিয়ম। কিন্তু বিস্ময়কর ব্যাপার হলো নিউইয়র্কে বাংলাদেশি মালিকানাধীন অনেক রেস্টুরেন্ট রয়েছে, যারা একদিনের রান্না করা খাবার পরের দিন বিক্রি করছে। এসব নিয়ে রেস্টুরেন্টের ক্রেতারা বেশ অসন্তুষ্ট। তাদের অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রবাসী জানান, বাংলাদেশি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো সফল হোক, আমরা এটা চাই। কিন্তু তারা অধিক মুনাফার লোভের আশায় যা
করছে তা রীতিমত ভয়াবহ। ওই ক্রেতা জানান, তিনি জ্যাকসন হাইটসে ৭৩ স্ট্রিটে একটি রেস্টুরেন্টে দুপুরের খাবার থেকে ঢুকেছিলেন। অবিশ্বাস্য ব্যাপার হলো- খাবারগুলো বাসি ছিল। এ নিয়ে অভিযোগ জানালে রেস্টুরেন্টের অন্যতম একজন মালিক তাকে বলেন, কেউ অভিযোগ করছে না, আপনি কেন করছেন?
একই স্ট্রিটে সদ্য প্রতিষ্ঠিত একটি বেকারিরর খাবারের মান বেশ প্রশংসিত ছিল। কিন্তু সময় যত যাচ্ছে ওই বেকারির বিরুদ্ধে অভিযোগ বাড়ছে। বিশেষ করে এক-দুই দিন আগের বাসি খাবার বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জ্যাকসন হাইটসের বাসিন্দা তাহমিনা বেগম অভিযোগ করেন, তিনি তার ছেলের জন্য পেটিস কিনেছিলেন। বাসায় যাওয়ার পর ওই খাবারে তিনি বাসি গন্ধ পান। ওই বেকারির যেসব খাবার অবিক্রিত থেকে যায়, সেগুলো পরে আবার গরম করে বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ ব্যাপারে তাহমিনা বেগম নিউইয়র্ক সিটির কনজ্যুমার অ্যাফেয়ার্স বিভাগে অভিযোগ করেছেন বলে জানান।
এদিকে এক-দুইদিন নয়, বাংলাদেশি মালিকানাধীন একটি রেস্টুরেন্টের খাবার নিয়ে অভিযোগ করেছেন একজন বাংলাদেশি। তিনি জানান, ওই রেস্টুরেন্টে চাইনিজ খাবার রান্না হয় প্রতি সপ্তাহে একবার। এরপর তা ড্রিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করা হয়। ক্রেতা অর্ডার করলে ফ্রিজ থেকে বের করে গরম করে পরিবেশন করা হয়, যা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। মালিকানা পরিবর্তনের আগে যে বাবুর্চি ছিল তিনিই এখন বাবুর্চির দায়িত্বে। জানা গেছে, আগের মালিকের সময় রেস্টুরেন্টটি অপরিচ্ছন্নতার অভিযোগে সিটির স্যানিটেশন বিভাগ থেকে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি রেস্টুরেন্টের মালিক বলেন, দুই-চার জনের জন্য রেস্টুরেন্ট ব্যবসার বদনাম হচ্ছে। সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করতে হয়। কিন্তু দুই একজন মালিক আছেন, যাদের বাসি খাবার ফেলে দিতে বুক ফেটে যায়। তাদের কর্মকাণ্ড দেখলে মনে হয় তারা অধিক মুনাফার জন্যই ব্যবসা খুলে বসেছেন। এটা মোটেই কাম্য নয়।