Thikana News
২১ নভেম্বর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান নোবেলজয়ী বুদ্ধিজীবী ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগদানের উদ্দেশে একটি ক্ষুদ্র দল নিয়ে নিউইয়র্কে আগমন করবেন

জাতিসংঘ অধিবেশন এবং বাংলাদেশের অবস্থান

জাতিসংঘ অধিবেশন এবং বাংলাদেশের অবস্থান
জাতিসংঘ বিশ্বের সর্বরাষ্ট্র ও সর্বজাতির কল্যাণমূলক একটি সর্ববৃহৎ সংগঠন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৫ সালে পৃথিবীর উল্লেখযোগ্য ৫১টি রাষ্ট্রের সমন্বয়ে মৌলিক সনদ স্বাক্ষর করার মাধ্যমে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই সঙ্গে পূর্বে প্রতিষ্ঠিত ‘লিগ অব নেশন্স’ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। তার পর থেকে জাতিসংঘের কার্যক্রমের পরিবৃদ্ধি ঘটে। বর্তমানে জাতিসংঘের সদস্যসংখ্যা ১৯৩।
প্রতিষ্ঠার সময় জাতিসংঘের প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কী হবে, তা নির্ধারিত হয়। সেই লক্ষ্যসমূহের মধ্যে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আইন, বিভিন্ন রাষ্ট্রপুঞ্জের স্বাধীনতা, নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সামাজিক অগ্রগতি এবং বৈষম্যহীন মানবাধিকার বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি করা। এ ছাড়া কোনো রাষ্ট্রপুঞ্জের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের হুমকি কিংবা এক দেশ অন্য দেশের আগ্রাসন ও মানববিধ্বংসী কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন রকম অরাজকতা নিরসনের জন্য নানাবিধ সমস্যা সমাধানের কাজেও সহায়তা করার অঙ্গীকার রয়েছে।
মোটকথা, জাতিসংঘের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে পৃথিবীর রাষ্ট্রপুঞ্জের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দেশের জনগণের মধ্যে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সামাজিক সংস্কার, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করা। সকল রাষ্ট্র ও জাতির মধ্যে বৈষম্যহীন সমতা প্রতিষ্ঠা, স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণের সুপারিশ ও চাপ সৃষ্টি করা। আর্তমানবতার কল্যাণে নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ানো। এ ছাড়া পৃথিবীর রাষ্ট্রপুঞ্জের ইন্ধনে অথবা সরাসরি কোনো দেশ যদি আক্রান্ত হয় এবং অন্য কোনো স্বাধীন রাষ্ট্র ও ভূখণ্ডে আগ্রাসন চালায়। এক দেশ আরেক দেশের সঙ্গে অন্যায়ভাবে যুদ্ধ করলে, সে রকম আগ্রাসী রাষ্ট্রের ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ এবং যুদ্ধ বন্ধের জন্য চাপ প্রয়োগ করার ক্ষেত্রেও জাতিসংঘের বিশেষ নীতিমালা রয়েছে। এ ছাড়া জাতিসংঘের নীতিমালা-বহির্ভূত কোনো রাষ্ট্র কর্তৃক পারমাণবিক মারণাস্ত্র তৈরি ও সেসব মারণাস্ত্রের অপপ্রয়োগ করার ক্ষেত্রেও রয়েছে কঠোর বিধিনিষেধ। যদিও দুর্ভাগ্যজনকভাবে পৃথিবীর কোনো কোনো শক্তিধর রাষ্ট্র এবং অনেক স্বৈরতান্ত্রিক রাষ্ট্রপুঞ্জের অবৈধ মারণাস্ত্রের ব্যবহার অবলীলায় চলতে থাকে।
প্রতিবছর সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘের বার্ষিক সাধারণ পরিষদের সভা হয়ে থাকে। সদস্যভুক্ত রাষ্ট্রসমূহ তাতে অংশগ্রহণ করে। প্রতিটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানগণ পর্বে পর্বে সেসব অধিবেশনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজস্ব মতামত, দাবিদাওয়া ও প্রস্তাবনা পেশ করে থাকেন। অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের মতো বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধানও জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে যোগদান করেন। অন্যান্য বছরের মতো এবারও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান নোবেলজয়ী বুদ্ধিজীবী ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগদানের উদ্দেশে একটি ক্ষুদ্র দল নিয়ে নিউইয়র্কে আগমন করবেন।
তবে অন্যান্য বছরের চেয়ে জাতিসংঘে বাংলাদেশের এবারকার যোগদানটি ব্যতিক্রম। সম্ভবত এবারই জাতিসংঘে বাংলাদেশের যোগদান হবে আড়ম্বরহীন কমসংখ্যক প্রতিনিধির সমন্বয়ে এবং সাদামাটা গোছের। পৃথিবীর অন্য রাষ্ট্রসমূহ নিজ নিজ দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যাপারে কূটনৈতিক তৎপরতার অংশ হিসেবে জাতিসংঘভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার জন্য বিরামহীন কাজ করে থাকে। এ ক্ষেত্রে বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের অবস্থান নিয়ে পক্ষ-বিপক্ষের মতবিরোধ ও বিভিন্ন রকম কথা রয়েছে। আগেকার বছরসমূহে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে বিশাল বহরের আগমন ঘটত। মনে হতো, যেন কোনো প্রমোদভ্রমণ। অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সেটি হাস্যকর ও লজ্জাজনক। বিগত দিনে শেখ হাসিনার নিউইয়র্ক সফরসঙ্গীর উচ্চাভিলাষী ভ্রমণ সরকারের তরফ থেকে অর্থের বিরাট অপচয় ছাড়া আর কিছু ছিল না।
জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগদানের বিষয়ে পৃথিবীর আর কোনো রাষ্ট্রের এমন জৌলুশপূর্ণ ও চাকচিক্যময়তা নেই। সবাই আসেন নিজ নিজ রাষ্ট্রের স্বার্থসাধন ও কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের জন্য।
প্রকাশ থাকে যে, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভের আবেদন করলেও কয়েকটি দেশের ভেটো প্রদানের ফলে বাংলাদেশের সদস্যপদ পেতে তিন বছর লেগে যায়। যেসব রাষ্ট্র ভেটো প্রদান করে, তাদের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ব্রিটেন ছিল অন্যতম। কিন্তু সবকিছুকে উতরে ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে। সদস্যপদ লাভের আট দিনের মাথায় তৎকালীন রাষ্ট্রপ্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিউইয়র্ক আগমন করেন। তিনি জাতিসংঘে যোগদান করেন এবং ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে একটি দিকনির্দেশনামূলক ভাষণ দিয়েছিলেন। বাংলা ভাষায় প্রদত্ত তার ভাষণটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ ও বিশ্লেষণধর্মী। বাংলাদেশসহ বিশ্বের অধিকারবঞ্চিত, নির্যাতিত, নিষ্পেষিত মানুষের ন্যায়সংগত অধিকার প্রতিষ্ঠা, বিশ্বশান্তি নিশ্চিতকরণে ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠার বলিষ্ঠ উচ্চারণ ও সাহসী পদক্ষেপ ছিল ভাষণে। সে সময় বঙ্গবন্ধু সরকারের সফরসঙ্গী হিসেবে বেশি লোক আসেননি। পররাষ্ট্রবিষয়ক এবং সরকারের কতিপয় নীতিনির্ধারক ছাড়া বেশি লোকের দরকারও ছিল না।
প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সময়েও জাতিসংঘ অধিবেশনে অংশগ্রহণকালে সফরসঙ্গী বেশি থাকত না। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সময় জাতিসংঘে বাংলাদেশের অবস্থান দৃঢ় হয়। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের শ্রমিক নিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশিদের বিদেশ যাওয়ার পথ সুগম হয়।
জেনারেল এরশাদের শাসনামলে জাতিসংঘে যোগদান উপলক্ষে রাষ্ট্রপ্রধানের সফরসঙ্গী ক্রমাগত বাড়তে থাকে। এরশাদের শাসনামলে জাতিসংঘ অধিবেশনসূত্রে নিউইয়র্কে অনেকেই এসে আর দেশে ফিরে যাননি। প্রতিবছরই চলতে থাকে বিরাট বহরের কায়-কারবার! নানান কৌশলে পরবর্তী সময়ে অনেকেই যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। তারপর বেগম খালেদা জিয়ার সরকারের সময়ও সফরসঙ্গীর সংখ্যা বাড়তে থাকে।
শেখ হাসিনার আধিপত্যবাদী সরকারের সময় সেই সংখ্যা অভাবনীয়ভাবে বেড়ে গিয়েছিল। শেখ হাসিনার সফরসঙ্গীদের অনেকেই জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগদান না করে আত্মীয়স্বজন কিংবা বন্ধুদের বিনোদনসঙ্গী হয়ে থাকতেন বলে অভিযোগ আছে। অনুষ্ঠানসূচিতে রাষ্ট্রের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ের ওপর অভিবাসীদের প্রতিনিধির সমন্বয়ে যেসব সভা-সেমিনার ও প্যানেল ডিসকাশন হয়, সেখানেও প্রতিনিধিদের অনেককেই ছিলেন অনুপস্থিত। শুধু তা-ই নয়, শেখ হাসিনার আগমনকে কেন্দ্র করে সরকারের বিরাট বাজেট থাকত। তাকে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারের ব্যয়বহুল ম্যারিয়ট হোটেলে বিশাল আয়োজন করা হতো। দলীয় নেতাকর্মীদের সর্বত্র সাজ সাজ রব তথা হুলুস্থুল কাণ্ড হতো। সরকারের অর্থ অপচয়ের বিষয়ে অনেক লেখালেখি হয়েছে কিন্তু খুব একটা কাজে আসেনি।
তবে আশা করি, ড. মুহাম্মদ ইউনুসের বেলায় সেটি ঘটবে না। তিনি শক্ত হাতে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথটি সৃষ্টি করবেন বলে সবার প্রত্যাশা। না হলে তাকেও জবাবদিহির মধ্যে পড়তে হবে।
স্বাধীনতা অর্জনের পর বহুমাত্রিক রাজনৈতিক দর্শনের ভিত্তিতে সুশীল আত্মনির্ভরশীল সমাজ গঠন করে, প্রজাতন্ত্রের সকল জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকারে এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রসনদ নিয়েই বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল। দেশ ও জনগণের স্বার্থের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেই রাজনীতি ও মানবাধিকার, অর্থনীতি ও রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম হওয়ার কথা। কিন্তু বিগত সরকারসমূহের শাসনামলে সেটি রক্ষা করা হয়নি, বরং অনেকাংশে লঙ্ঘিত হয়েছে। রাজনীতিতে গণতান্ত্রিক চর্চা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।
আশা করি, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে এবং সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে সক্ষম হবে।
বিগত বছরগুলোতে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের ভয়ংকর পরিস্থিতিতে পৃথিবীর বহু মানুষের প্রাণহানির জের কাটতে না কাটতেই ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন এবং সেই যুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশসহ পৃথিবীর সুপিরিয়র রাষ্ট্রসমূহে তার তিক্ত প্রভাব বিশ্ব অর্থনীতির ওপর পড়েছে। একইভাবে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসন ও মানববিধ্বংসী যুদ্ধে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। কয়েক মাস ধরে ইসরায়েলি আগ্রাসন ও মানববিধ্বংসী বোমা হামলা চালিয়ে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার হাজার হাজার ঘরবাড়ি ও আবাসস্থল সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিনিয়ত ইসরায়েলি বোমা হামলায় নারী-শিশুসহ লাখ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে খোলা আকাশের নিচে। হাসপাতাল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ-গির্জা সবকিছু ইসরায়েলি বোমা হামলায় মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। প্রতিদিন শত অসহায় নারী-শিশুসহ সর্বস্তরের মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে! গোটা ফিলিস্তিনে আজ মানবতার হাহাকার। জাতিসংঘ ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরোধিতা করে এলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আসলে ইসরায়েল কারও কথা শুনছে না। পৃথিবীব্যাপী ইসরায়েলি মানববিধ্বংসী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় বইছে। শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আনুকূল্য নিয়ে ইসরায়েল ফিলিস্তিনে আগ্রাসন ও মানবতাহীন বর্বরতা অব্যাহত রেখে চলছে। যতই দিন গড়াচ্ছে, ইসরায়েলি বর্বরতা সীমা লঙ্ঘন করেই চলেছে। সীমাহীন দুর্ভোগ এবং মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে ফিলিস্তিনে আর্তমানবতার হাহাকার!
আমাদের প্রত্যাশা, জাতিসংঘের এবারকার অধিবেশনে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের কার্যকর পথ তৈরি হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আরববিশ্বে ইসরায়েলি যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে। অতএব, জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রকে মিলে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে হবে।
অর্থনৈতিক মন্দাভাব এবং অর্থনৈতিক সংকটে বিশ্ব কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন, তার পরিমাণ নিরূপণ করা অসম্ভব। এ অবস্থায় জাতিসংঘে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সম্মিলিত যোগদান এবং অধিবেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একইভাবে বিপ্লবোত্তর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা চরম পর্যায়ে। পূর্বেকার লুটেরা সরকার রাষ্ট্রীয় কোষাগার শূন্য করে দিয়ে গেছে। বেক্সিমকো, এস আলম গ্রুপসহ দেশের বড় ব্যবসায়ীদের অনেক কোম্পানি এবং আওয়ামী লীগের লোকেরা দেশের বাইরে সব টাকা পাচার করে দেয়। এতে চরম মুদ্রাস্ফীতিতে দেশে ডলার সংকট দেখা দিয়েছে। ব্যাংকগুলো দেউলিয়া হওয়ার উপক্রম।
এ জন্য জাতিসংঘে এবারকার বাংলাদেশের যোগদান গুরুত্ব বহন করে। বরাবরের মতো এবারও বাংলাদেশ একগুচ্ছ প্রস্তাবনা নিয়ে হাজির হবে। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধনের জন্য আন্তর্জাতিক ক্ষেত্র ও বিশ্বব্যাংক থেকে কী কী সুযোগ-সুবিধা আদায় করা যায়, সেসব বিষয় নিয়েই সর্বাধিক গুরুত্ব থাকবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতার পর ১৯৪৫ সালে পৃথিবীর সকল রাষ্ট্রের মাঝে শান্তি ও স্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। জাতিসংঘের বয়স যখন পঁচিশের উপান্তে, তখন বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলছিল এবং পরে দেশ স্বাধীন হয়। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আক্রমণে ঢাকাসহ অন্যান্য জেলাশহরে বিভীষিকাময় ধ্বংসযজ্ঞ ও বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটে। এ অবস্থায় স্বাধীনতাসংগ্রামের চূড়ান্ত পর্যায়ে বাংলাদেশের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। পাকিস্তানের তৎকালীন ইয়াহিয়া সরকারের লেলিয়ে দেওয়া বাহিনী দ্বারা বাংলাদেশে গণহত্যা চালানো হয় এবং বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠে। অথচ সে সময় বিশ্বের অন্যতম গণতান্ত্রিক দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের স্বাধীনতার সমর্থন না দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে এবং পাকিস্তানের পক্ষে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। শুধু তা-ই নয়, জাতিসংঘে বাংলাদেশের পক্ষে ভোট দিতে অস্বীকৃতি জানায়। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার বাংলাদেশের স্বাধীনতার সমর্থন দিতে অনেক গড়িমসি করেন এবং মিত্রদেশগুলোকে সমর্থন দিতে বারণ করেন। বর্তমানে সেটি নেই। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ পৃথিবীর সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলছে। তবু স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত বহু চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে বর্তমান বাংলাদেশ অনেক ধাপ এগিয়েছে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নধারায় চলছে।
ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, ওয়াটার কেলেঙ্কারির ঘটনাসহ বহুবিধ কারণে নিক্সন ইমপিচম্যানের ধকলে পড়ে যান এবং একপর্যায়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। কিন্তু আমেরিকান জনগণ ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন কঠিন সময়ে বাংলাদেশের যুদ্ধপীড়িত আর্তমানবতার সাহায্যার্থে ফান্ড রেইজিংয়ের জন্য বিশ্ববিখ্যাত সংগীতশিল্পী আমেরিকান নাগরিক জর্জ হ্যারিসনের উদ্যোগে বব ডিলান ও তাদের পুরো দল নিয়ে নিউইয়র্কে বিরাট কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়। উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠতম সেতারবাদক রবিশংকর, আলী আকবর খান ও বিশ্ববিখ্যাত সুর-সংগীত সাধক আল্লারাখাসহ মিউজিশিয়ানের অংশগ্রহণে নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে স্মরণকালের দর্শক সমাবেশ ঘটেছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রাণের ভয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের এক কোটি মানুষের সাহায্যের ক্ষেত্রে ব্যাপক সাড়া জুগিয়েছিল এবং ওই ফান্ড রেইজিং অনুষ্ঠান শতভাগ সফল হয়েছিল। বলা বাহুল্য, সেদিনের (১৯৭১) উপচে পড়া লাখো দর্শকের অনুরোধে জর্জ হ্যারিসন, বব ডিলান এবং তাদের পুরো টিমকে দুটি কনসার্ট করতে হয়েছিল। সেই ফান্ড রেইজিংয়ের নেতৃত্বে ছিলেন বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু ও হিতাকাক্সক্ষী জর্জ হ্যারিসন।
যদিও সব সরকারই উন্নয়ন ও জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার কথা বলে। উন্নয়নের জোয়ারের কথা বলে। কিন্তু সেটিই যে রাষ্ট্রতন্ত্রের মূল ভিত্তি, সে কথা তারা ভুলে গিয়ে শুধু নিজেরা কী কী ভালো করছেন, তার ওপরই ফোকাস করেন।
কিন্তু বর্তমানে রাজনীতির অবস্থা কী? সাম্প্রতিক কালের ছাত্র-জনতার বিপ্লবে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারব্যবস্থা চলছে। এর আগে শিক্ষিত বিচক্ষণ দেশপ্রেমিক দূরদর্শী সুশীল সমাজ রাজনীতিবিমুখ হয়ে পড়েছিলেন। দীর্ঘদিন স্বৈরতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার পর বর্তমানে রাজনৈতিক দলগুলোর তাদের কর্মসূচিতে দেশ ও জনকল্যাণে ভূমিকা রাখার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ভোগস্পৃহার পাশাপাশি ব্যাপক দুর্নীতি রাষ্ট্রপুঞ্জ ও প্রজাতন্ত্রের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। দেশের আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটেছে। পরিস্থিতি এখনো অস্থির।
তবে সুখের বিষয় হলো, বর্তমান বাংলাদেশ বিশ্বের একটি সর্বালোচিত উন্নয়নমুখী রাষ্ট্র। অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও বাংলাদেশের উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনার দেউলিয়াত্বে মুদ্রাস্ফীতির হ্রাস এবং অর্থনীতি কোন দিকে যাচ্ছে, সে ব্যাপারে রাষ্ট্রপুঞ্জের আরও গতিশীল কার্যক্রম থাকা দরকার। উদাহরণ অনেক আছে। ব্যাংকগুলো থেকে হাজার হাজার কোটি টাকার ঋণ গ্রহণ করে সংঘবদ্ধ কুচক্রী দল সেসব টাকা পরিশোধ না করার হাজার হাজার উদাহরণ আছে। যে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ৮০ কোটি ডলার হ্যাক হয়ে যায়, কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর এবং সংশ্লিষ্টদের বিচার ও জবাবদিহির আওতায় আনা হয়নি। এখনকার দাবি, অবিলম্বে তাদের বিচারের আওতায় আনা হোক।
প্রবাসে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের রেমিট্যান্সের ওপর দেশের অর্থনীতির চাকা ঘোরে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন বৃদ্ধি পায়। প্রবাসী বাংলাদেশিরা মাতৃভূমিকে হৃদয়ে ধারণ করেই নিজেদের পারিবারিক, সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধায় উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, বাংলাদেশে প্রবাসীরাই বেশি হয়রানি ও নানা সমস্যার সম্মুখীন হন। দুষ্টচক্রের পাল্লায় তাদের অর্থসম্পদ ও সর্বস্ব হারান। কোনো কোনো এলাকায় প্রবাসীদের কষ্টার্জিত সম্পদের ওপর স্থানীয় মোড়লদের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে যায়। মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত প্রবাসীদের দুর্ভোগ শুরু হয় ঢাকা বিমানবন্দর থেকেই। কাস্টমস কর্মকর্তাদের অবহেলায় (কঠোর পরিশ্রমী) প্রবাসীরা বিমানবন্দরে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হন। দেশে ফিরে আসার পর স্থানীয় মাস্তান-মোড়ল এবং সন্ত্রাসীদের কবলে অনেকের জীবনও বিপন্ন হওয়ার নজির আছে।
নিজের মাতৃভূমি থেকে সম্পদ বিক্রির মাধ্যমে বিদেশে চাকরি নিয়ে যাওয়ার পরও দেশের সম্মানিত শ্রমিকবৃন্দ প্রতারণার শিকার হন অথবা চাকরি ও সর্বস্ব হারিয়ে দেশে ফেরত আসতে বাধ্য হন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ দিকে মন্ত্রী ও তিন এমপি মিলে মালয়েশিয়ার শ্রমিক পাঠানোর নামে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। এ অবস্থায় বিদেশ গমনেচ্ছুরা সীমাহীন সমস্যা ও সংকটে নিপতিত হন। বাংলাদেশের ওপর বিরাট ঋণের বোঝা রেখে হাসিনা সরকারের পলায়ন ঘটে।
বর্তমান সরকার সেসব সমস্যার সমাধানকল্পে কার্যকর ব্যবস্থা নেবেন বলে সবার প্রত্যাশা। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার চাইলে সেসব নাগরিককে সুদমুক্ত ঋণ দিয়ে অথবা স্বল্প সুদের বিনিময়ে দীর্ঘমেয়াদি কাঠামোয় ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করে তাদেরকে সাহায্য করতে পারে। সংশ্লিষ্ট পরিবারের সন্তানদের শিক্ষার ক্ষেত্রে এবং মেধাবী ছাত্রদের উচ্চশিক্ষার্থে বহির্বিশ্বে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে পারে। আইটি সেক্টরকে সমৃদ্ধ করে উপযুক্ত লাখ লাখ শিক্ষিত যুবককে ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে বেকারত্ব দূরীকরণ ও বিদেশে প্রেরণের ব্যবস্থা করতে পারে।
কয়েক বছর ধরে ঢাকা-নিউইয়র্ক রুটে বিমান নেই। বিমান কর্মকর্তাদের একচেটিয়া দুর্নীতি ও চুরির ফলে বছরের পর বছর উপর্যুপরি লোকসানের ফলে তৎকালীন সরকার নিউইয়র্কের বিমান চলাচল বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়। অথচ আমেরিকায় অবস্থানরত বৃহৎ সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি প্রতিনিয়ত অন্যান্য এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে ঢাকায় যাতায়াত করেন এবং সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সসমূহ বিপুল পরিমাণ লাভ করে। বিমান সংস্থা তথা সরকার প্রবাসীদের থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থলাভ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দুঃখজনক হলেও সত্যি, পৃথিবীর সব এয়ারলাইন্স লাভবান হলেও দুর্নীতি ও অর্থলোপাটের কারণেই মূলত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কখনো লাভের মুখ দেখেনি! সরকার বিমানের সে সময়কার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের চুরির বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত করে বিচারের মুখোমুখি করতে পারে এবং অপরাধীদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা জরুরি।
বাংলাদেশের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে ছাত্র-জনতার সাম্প্রতিক বিপ্লবের পূর্বে বিগত সরকারের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে ছাত্র-জনতা, কুলি-মজুর, নারী-শিশুসহ সর্বস্তরের অসংখ্য মানুষের প্রাণহানি ঘটে। অগণিত মানুষ মারাত্মক আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দেশের অর্থনীতির অবস্থা ভঙ্গুর। একটি চরম দেউলিয়াত্বের ফলে অর্থনৈতিক কঠিন পরিস্থিতিতে সরকারকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। দেশের কলকারখানা ও শিল্পসংস্থার অরাজকতায় অর্থনীতির চাকা বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম। প্রশাসনিক স্তরসমূহের স্থবিরতা বিপজ্জনক। এ ছাড়া বিগত সরকারের শাসনামলে চোর-বাটপার, ব্যাংক লোপাটকারী দুর্নীতিবাজদের কবলে পুরো দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আছে। সে সময় হাজার হাজার কোটি টাকা অবলীলায় বিদেশে পাচার হয়ে গেছে!
আমাদের প্রত্যাশা, অন্তর্বর্তী সরকার সেই সব চোরাকারবারি, অর্থপাচারকারীদের বিচার ও কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করবে এবং পাচারকৃত অর্থ বাংলাদেশে ফেরত আনার ব্যবস্থা করবে।
বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ অনেক সমস্যা রয়েছে। বিশেষ করে, বিগত সরকারের আমলে প্রশাসনিক ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোগুলো ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ফলে গোটা দেশ চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। সর্বস্তরে দুর্নীতি গোটা রাষ্ট্রপুঞ্জ গ্রাস করে ফেলেছিল। দেশের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে অবশ্যই দেশের শান্তি ফিরিয়ে আনতে হবে।
জাতিসংঘের অধিবেশনে ভারত-বাংলাদেশের সমস্যা নিয়ে কোনো প্রস্তাবনা আছে কি না, আমরা জানি না। সেটি পরিষ্কারভাবে তুলে ধরার দায়িত্ব সরকারের। ভারত-বাংলাদেশের অমীমাংসিত ইস্যুতে ভারতের আন্তনদী প্রকল্পের বিষয়ে বাংলাদেশের পানির ন্যায্য হিস্যা এবং অন্য সব অধিকারবিষয়ক দাবিগুলোর একটা সুরহা সবার কাম্য। এ ছাড়া বাংলাদেশে দশ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ফেরত নেওয়ার বিষয়ে জাতিসংঘে প্রস্তাবনা তুলে ধরা প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক নীতিমালা অনুযায়ী রোহিঙ্গা সমস্যার সন্তোষজনক সমাধান সবার কাম্য। এরই মধ্যে বার্মিজ স্বৈরশাসকের নিপীড়নে আরও রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকতে শুরু করেছে। সেটি বন্ধ করতে হবে। এ ব্যাপারে মিয়ানমারের স্বৈরতন্ত্রী পৈশাচিক সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করা প্রয়োজন। মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার এবং জাতিসংঘ কর্তৃক কঠোর ব্যবস্থা করা উচিত। এ ব্যাপারে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক বিশ্বের সকল দেশের জোরালো সমর্থন আদায়ের ব্যবস্থা এবং জাতিসংঘের নিকট সহযোগিতার প্রস্তাবনা তুলে ধরা প্রয়োজন।
আমরা চাই, উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকুক। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি মজবুত ও সুদৃঢ় হয়ে উঠুক। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে বলে আমাদের প্রত্যাশা। নিউইয়র্কে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার আগমন সার্থক ও সফল হোক। তা-ই আজকের কাম্য।
লেখক : কবি ও কলামিস্ট

কমেন্ট বক্স