রতের সংঘাতপূর্ণ কাশ্মীরের বিশেষ আধা-স্বায়ত্বশাসনের মর্যাদা বাতিলের পর চলতে থাকা উত্তেজনার মধ্যেই ১৮ সেপ্টেম্বর (বুধবার) রাজ্যটিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রথম স্থানীয় নির্বাচন। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসংখ্যা অধ্যুষিত ভূখণ্ডটির ৮৭ লাখ নিবন্ধিত ভোটার আজ এই নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। ভূ-স্বর্গ হিসেবে পরিচিত হিমালয়ের কোল ঘেঁষে থাকা এই ভূখণ্ডের বেশ কিছু অংশ নিজেদের বলে দাবি করে আসছে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান। খবর এএফপির।
২০১৯ সালে কাশ্মীরকে দিল্লির নিয়ন্ত্রণে আনতে এক বিশেষ নির্দেশে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী সরকার সেখানকার বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে দেয়। এরপর কেন্দ্র থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত একজন গভর্নরের অধীনে চলতে থাকে কাশ্মীরের প্রশাসন। আর আজকের এই স্থানীয় বিধানসভা নির্বাচনটি তাই জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
তিন ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচনে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আসছেন ভোট দিতে। ভৌগলিক কারণে এবং পাহাড়ি এলাকায় লজিস্টিক সামগ্রী পৌঁছাতে অসুবিধার কারণে সময় নিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এখানকার নির্বাচন।
শ্রীনগরের পুলওয়ামা এলাকায় আজ বুধবার ভোরে পাহাড়ি ঠান্ডা বাতাসে ভোট দিতে এসে ৩১ বছর বয়সী নাভিদ পারা বলেন, ‘১০ বছর পর আমাদের কথা শোনার অনুমতি দেওয়া হলো।’ তিনি বলেন, ‘আমি চাই আমার কণ্ঠস্বর প্রতিনিধিত্ব করুক।’
গত ৩৫ বছরের জরুরি অবস্থা চলাকালে সংঘাতে ১০ হাজারেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক, সৈন্য ও বিদ্রোহী নিহত হয়েছে রাজ্যটিতে। তাই নির্বাচনকে ঘিরে প্রায় পাঁচ লাখ সৈন্য মোতায়েন রয়েছে কাশ্মীরে।
এদিকে এক বার্তায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জনগণকে গণতন্ত্রের এই উৎসবে ব্যাপক হারে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এর আগে কাশ্মীরের স্বাধীনতা অথবা পাকিস্তানের সঙ্গে একীভূত হওয়ার দাবিতে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আন্দোলনের মুখে নির্বাচনগুলোতে ভোটার উপস্থিতি কম হলেও আজকের এই নির্বাচনে অনেক ভোটার ভোটকেন্দ্রে আসবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ঠিকানা/এএস