ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৬ সেপ্টেম্বর (সোমবার) সকালে পাঁচজন নারী ও চারজন শিশু নিহত হয়েছেন। গাজার উদ্ধারকর্মী ও চিকিৎসকরা এসব তথ্য জানিয়েছেন। খবর আরব নিউজের। ১
৫ সেপ্টেম্বর (রবিবার) রাতে গাজার বিভিন্ন অঞ্চলে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। এদের মধ্যে একটি ইসরায়েলি হামলায় একটি বাড়িতে ১০ জন নিহত হয়েছে।
আল-আওদা হাসপাতালের একজন চিকিৎসক জানান, নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরের আল-কাসাস পরিবারের বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলা হলে ১০ জন নিহত এবং আরও ১৫ জন আহত হয়েছে। গাজার নাগরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা মৃত্যুর সংখ্যাটি নিশ্চিত করেছে।
সংস্থাটির মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেছেন, সোমবার সকালে এই হামলা হয়। একই ধরনের এক বিমান হামলায় রাতে গাজা সিটির জেইতুন এলাকায় বাসাল পরিবারের একটি বাড়িতে ছয়জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
একই দিন রাতে রাফার আবু শার পরিবারের একটি বাড়িতে আরেকটি বিমান হামলায় আরও দুজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এসব হামলায় আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে চিকিৎসক ও উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন।
গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যা ছাড়াও প্রায় ২৫০ জন ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে বন্দী করে গাজায় নিয়ে আসে হামাস। একই দিন থেকে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলা করে আসছে ইসরায়েল। এরই মধ্যে তাদের হামলায় ৪১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।
গত নভেম্বরে কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সাতদিনের একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছিল। চুক্তির আওতায় হামাস শতাধিক ইসরায়েলি বন্দীকে মুক্তিও দেয়। তবে এখনো তাদের হাতে শতাধিক ইসরায়েলি বন্দী রয়েছে।