পাবনায় জামায়াতের এক নেতার বাড়িতে ডেপুটি স্পিকার, সংরক্ষিত নারী আসনের ১১ এমপিসহ ১৩ জন এমপি দুপুরের খাবার খেয়েছেন ও বিশ্রাম নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
২৬ জুলাই বুধবার দুপুরে তারা ঈশ্বরদী পৌর জামায়াতের আমির গোলাম আজমের পৌর এলাকার বাসায় দুপুরের খাবার খান। এ ঘটনায় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সহকারী পরিচালক মো. শোয়াইবের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শনে বুধবার সকালে ঈশ্বরদী যান ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর নেতৃত্বে সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান বিশ্বাস, শাহিন আক্তার, খালেদা খানম, শিরিন আহমেদ, জিন্নাতুল বাকিয়া, বাসন্তী চাকমা, শামসুন্নাহার, নার্গিস রহমান, মনিরা সুলতানা, নাদিরা ইয়াসমিন জলি, রত্না আহমেদ, সেলিনা ইসলাম, সালমা চৌধুরী ও মোছা. ডরথী রহমান।
জানা যায়, রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের বিস্তারিত অবহিত হয়ে তারা পৌর জামায়াতের আমির গোলাম আজমের শিল্পপ্রতিষ্ঠান আরআরপি ফিড মিলের আঙিনায় একটি গাছের চারাও রোপণ করেন। পরে তারা পাবনা সার্কিট হাউসে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সমাবেশে যোগ দিতে ঈশ্বরদী ত্যাগ করেন।
ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ মিন্টু বলেন, আরআরপি গ্রুপের মালিক গোলাম আজম, মনসুর আলম, মনিরুল আলম, আজমত আলম। তারা চার ভাই। গোলাম আজম পৌর জামায়াতের আমির বলেই জানি। সেখানে সংসদ সদস্যরা আমন্ত্রিত ছিলেন জেনে আমিও গিয়েছিলাম।
তবে এটি রাজনৈতিক কোনো অনুষ্ঠান নয় দাবি করে বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করা তার জন্য বিব্রতকর বলে জানান আবুল কালাম।
পাবনা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ইকবাল হোসাইন গোলাম আজমের রাজনৈতিক পরিচয় নিশ্চিত করেন। তবে তিনি বলেন, আমরা সামাজিক অনুষ্ঠানগুলিতে অংশগ্রহণ করি। সেখানে রাষ্ট্রের এমপি-মন্ত্রী পর্যায়ের লোকজন আসতেই পারেন।
এদিকে একসঙ্গে ১৩ এমপির জামায়াত নেতার বাড়ির দাওয়াত গ্রহণ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে।
এ বিষয়ে পৌর যুবলীগের সভাপতি আলাউদ্দিন বিপ্লব বলেন, এত জায়গা রেখে সরকারদলীয় এমপিদের খাওয়ার আর জায়গা ছিল না! জামায়াত নেতার বাড়িতে খেতে হবে? বিষয়টি লজ্জাজনক।
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বলেন, এমপিদের আগমনে স্থানীয় সংসদ সদস্যের ব্যবস্থাপনায় খাবারের আয়োজন ছিল। এ বিষয়ে তিনিই ভালো জানেন।
পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনের সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, সংসদ সদস্যদের সফর ও খাবারের বিষয়টি জাতীয় সংসদের ব্যবস্থাপনায় হয়েছে। তাদের আমন্ত্রণেই আমি রূপপুর প্রকল্প পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। আরআরপি গ্রুপের নিমন্ত্রণ পেলেও আমি সেখানে না গিয়ে জরুরি কাজে ঢাকায় চলে এসেছি।
ঠিকানা/এনআই