বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এই চুক্তিতে সই করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম সাহাবউদ্দিন এবং ইউএসএআইডির পক্ষ থেকে সই করেন রিড জে অ্যাসচলিম্যান। ইউএসএআইডির এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের উন্নয়ন, তারুণ্যের ক্ষমতায়ন, গণতন্ত্র ও সুশাসন জোরদার, স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন এবং সারা দেশের মানুষকে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সুবিধা দিতে এই অর্থ ব্যবহার করা হবে। জনগণকে জন্য আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, সুষম ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে নতুন এই তহবিল সহায়তা করবে।
চুক্তি স্বাক্ষরের পর অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, মার্কিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। মূলত রাজস্ব ও আর্থিক খাত নিয়ে কথা হয়েছে। আর্থিক খাতের সংস্কার ও সহযোগিতা নিয়ে কথা হয়েছে। বাণিজ্য নিয়েও কথা হয়েছে; রপ্তানি বহুমুখীকরণসহ অন্যান্য কারিগরি সহায়তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাজার অনুসন্ধানও আলোচনায় এসেছে। বাংলাদেশ সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রণয়ন করলে তারা সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।
২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত এক চুক্তির আলোকে এই সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। দ্য ডেভেলপমেন্ট অবজেকটিভ গ্র্যান্ট অ্যাগ্রিমেন্ট (ডিওএজি) বা উন্নয়নের লক্ষ্যে অনুদান চুক্তির ষষ্ঠ সংশোধনী হিসেবে আজ এই চুক্তি সই হয়েছে। এই চুক্তির মেয়াদ ২০২৬ সাল পর্যন্ত।

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে চুক্তিতে সই করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম সাহাবউদ্দিন এবং ইউএসএআইডির পক্ষ থেকে সই করেন রিড জে অ্যাসচলিম্যান। ছবি: ইউএসএআইডি
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে চুক্তিতে সই করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম সাহাবউদ্দিন এবং ইউএসএআইডির পক্ষ থেকে সই করেন রিড জে অ্যাসচলিম্যান। ছবি: ইউএসএআইডি
সেই চুক্তির আলোকে বাংলাদেশকে মোট ৯৫ কোটি ৪০ লাখ ডলার সহায়তা দেওয়ার কথা। এ পর্যন্ত মোট পাঁচ বারে ৪২৫ মিলিয়ন বা ৪২ কোটি ৫০ লাখ ডলার দেওয়া হয়েছে। এবার ২০ কোটি ২২ লাখ ডলার সহায়তা দিচ্ছে।
মূলত ইউএসএআইডি ও ইউএসডিএর মাধ্যমে উন্নয়ন সহযোগিতা দিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৭৪ সালে স্বাক্ষরিত অর্থনৈতিক প্রযুক্তিগত ও সম্পর্কিত সহায়তা শীর্ষক চুক্তির অধীনে বিভিন্ন খাতে ৮ বিলিয়ন বা ৮০০ কোটি ডলারের বেশি সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ঠিকানা/এএস