জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে ছেড়ে নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত ও বহির্বিশ্বে সর্বাধিক জনপ্রিয় সংবাদপত্র ‘ঠিকানা’য় যোগ দিয়েছেন খ্যাতিমান সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীন। ঠিকানায় যোগ দেওয়ার পর সারা বিশ্বের কোটি প্রবাসী অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছেন তিনি নতুন টকশো নিয়ে হাজির হবেন। সেই অপেক্ষার পালা শেষ হচ্ছে ৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার।
এদিন নিউইয়র্ক সময় বেলা ১২টায় এবং বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় ‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’ শিরোনামে লাইভ টকশো নিয়ে হাজির হচ্ছেন তিনি। সারা বিশ্বের প্রবাসীদের কাছ থেকে ইতিমধ্যে নানা প্রশ্ন ও পরামর্শ নিচ্ছেন খালেদ মুহিউদ্দীন।
প্রথম লাইভ টকশোতে খালেদ মুহিউদ্দীনের প্রশ্নের মুখোমুখি হবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ. মনসুর এবং এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এ কে আজাদ। এই টকশোতে দর্শকরা সরাসরি প্রশ্ন করার সুযোগ পাবেন।
ঠিকানা নিউজের ফেসবুক পেজ, ‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’ ইউটিউব চ্যানেল এবং অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হবে টকশোটি।
সৎ ও নির্ভিক সাংবাদিক হিসাবে সারা বিশ্বে বাংলা ভাষাভাষিদের কাছে তুমুল জনপ্রিয় খালেদ মুহিউদ্দীন ঠিকানার ডিজিটাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ঠিকানা টিভি’তে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও এডিটর ইন চিফ হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
জার্মান গণমাধ্যম ‘ডয়চে ভেলে’র বাংলা বিভাগের প্রধান ছিলেন খালেদ মুহিউদ্দীন। তার সঞ্চালনায় প্রায় চার বছর ধরে চলা টকশো ‘খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ বিপুল জনপ্রিয়তা পায়। এমনকী জনপ্রিয়তার বিচারে বিবিসি ও ভয়েস অব আমেরিকাকে পেছনে ফেলে দেয় অনুষ্ঠানটি।
নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত এবং বহির্বিশ্বে সর্বাধিক প্রচারিত বাংলা সংবাদপত্র ঠিকানা দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে সুনামের সঙ্গে বাংলাদেশি কমিউনিটি বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বর্তমানে ঠিকানার অনলাইন ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম চালু হয়েছে। ঠিকানার জিজিটাল প্ল্যাটফর্মকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঠিকানা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য এম এম শাহীন।
দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে খালেদ মুহিউদ্দীন গণমাধ্যমের সঙ্গে জড়িত। সাংবাদিকতা ছাড়াও তিনি একজন লেখক, ঔপন্যাসিক, উপস্থাপক এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্ব। নিরপেক্ষ ও নির্ভীক হিসাবে পরিচিত সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীন বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে প্রবাসেও দৃঢ়তার সঙ্গে সাংবাদিকতা করছেন।