Thikana News
২২ নভেম্বর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

নরসিংদীতে আরএফএল কারখানায় আগুন, নিহত ১

নরসিংদীতে আরএফএল কারখানায় আগুন, নিহত ১ ছবি সংগৃহীত
নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের একটি প্লাস্টিক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে আজহারুল ইসলাম নামের এক মেশিন অপারেটর অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট ও কোম্পানির নিজস্ব দমকল বাহিনী প্রায় তিন ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

শুক্রবার (৩০ আগস্ট) বিকেল চারটার দিকে উপজেলার ডাঙ্গায় কারখানাটির ওয়ান টাইম প্লেট এবং অন্যান্য প্লাস্টিক সামগ্রী তৈরির ইউনিটে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন পলাশ ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার সাদেকুল বারি।

নিহত আজহারুল ইসলাম সিলেটের সুনামগঞ্জের আনোয়ার আলীর ছেলে।

পলাশ থানার ফায়ার সার্ভিস জানায়, পলাশ ফায়ার স্টেশনের দুটি, মাধবদী ফায়ার স্টেশনের দুটি ও নরসিংদী স্টেশনের তিনটিসহ মোট সাতটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় কোম্পানির নিজস্ব দমকল বাহিনীও কাজ করে। প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় সন্ধ্যা সাতটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

পলাশ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা সাদেকুল বারি ও নরসিংদী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা রায়হান মিয়া জানান, আগুনে প্লাস্টিক পণ্যসহ কারখানার যন্ত্রপাতি, আসবাবপত্র ও অন্যান্য মালামাল পুড়ে গেছে। কারখানাটির যে অংশে আগুন লেগেছে, সেখানে প্লাস্টিকের ওয়ান টাইম প্লেট, গ্লাস এবং অন্যান্য প্লাস্টিক পণ্য তৈরি করা হতো। এ ঘটনায় আজহারুল ইসলাম নামের একজন মেশিন অপারেটর অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি।

এর আগে শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় প্রাণ-আরএফএল কোম্পানির একটি ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, দুপুরের পরপরই আচমকা দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে প্রাণ কোম্পানির ডিপোতে। এ সময় প্রাথমিকভাবে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে স্থানীয়রা। পরে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ডিপোর ইনচার্জ মোহাম্মদ ফোরকান বলেন, সবাই কাজ করছিলেন। দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে বিকট শব্দ হয়। এরপর আগুন ধরে যায়। কোথা থেকে আগুন লাগে, তা আমরা নিশ্চিত নই। এরপর কর্মচারীরা মিলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। তাতে কাজ না হলে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিই। প্রথমে তাদের একটা ইউনিট কাজ শুরু করে। এরপর আরও তিন ইউনিট যোগ দেয়।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কুমিল্লা স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার বজলুর রশিদ বলেন, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছেন। কীভাবে আগুনের সূত্রপাত, তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। এখনো ধোঁয়া বের হচ্ছে।

ঠিকানা/এনআই

কমেন্ট বক্স