যুক্তরাষ্ট্রে আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে এবার সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৩ আগস্ট) নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর পাশাপাশি বিরোধী দল রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি সমর্থনও জানিয়েছেন কেনেডি। শনিবার (২৪ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এদিকে শুক্রবার ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন ঘোষণা করার কয়েক ঘণ্টা পরই অ্যারিজোনায় ট্রাম্পের একটি নির্বাচনী প্রচারাভিযানে যোগ দেন কেনেডি। এ সময় কেনেডি সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, তার প্রার্থিতা লাখ লাখ আমেরিকানকে অনুপ্রাণিত করেছে। তিনি সমালোচনামূলক সমস্যাগুলো উত্থাপন করেছেন, যা এ দেশে দীর্ঘকাল ধরে উপেক্ষা করা হয়েছে।’
এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে কেনেডি জানিয়েছিলেন, তিনি ট্রাম্প এবং তার সহযোগীদের সঙ্গে বেশ কয়েকবার দেখা করেছেন। তারা সীমান্ত সুরক্ষা, বাকস্বাধীনতা এবং যুদ্ধ শেষ করার মতো বিষয়ে একমত হয়েছেন।
তবে কেনেডি জুনিয়রকে স্বাগত জানানোর আগে ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, নির্বাচিত হলে ১৯৬৩ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট কেনেডি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পর্কিত সব নথি প্রকাশ করবেন।
এদিকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো এবং ট্রাম্পকে সমর্থন জানানোয় ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন কেনেডি জুনিয়রের বোন কেরি কেনেডি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে লিখেছেন, ‘ট্রাম্পের প্রতি তার (কেনেডি জুনিয়র) সমর্থন আমাদের বাবা ও পরিবারের আদর্শের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা। এটি একটি দুঃখজনক গল্পের একটি দুঃখজনক সমাপ্তি।’
তবে স্বামীর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন কেনেডি জুনিয়রের স্ত্রী এইচবিওর সাবেক তারকা চেরিল হাইন্স। তবে ট্রাম্পকে সমর্থনের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।
৭০ বছর বয়সী রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়রের রাজনৈতিক জীবনের বেশির ভাগ সময়ই কেটেছে ডেমোক্রেটিক পার্টিতে। যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী কেনেডি পরিবারের সদস্য তিনি। তার বাবা ছিলেন মার্কিন সিনেটর রবার্ট এফ কেনেডি এবং চাচা ছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি।
ঠিকানা/এনআই