মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে চলমান যুদ্ধের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে টেকনাফ সাগর উপকূল থেকে এ পর্যন্ত শিশুসহ ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে অন্তত ২২ জন।
৬ আগস্ট (মঙ্গলবার) দুপরের দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাবিরছড়া ও রাজারছড়া পয়েন্ট এলাকার সাগরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মৃতদের মধ্যে ৩ জন শিশু, ৫ নারী ও ২ জন পুরুষ রয়েছে। তবে দুইজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার রশিদ মিয়া বলেন, মিয়ানমার থেকে প্রাণে বাঁচতে পালিয়ে আসার সময় টেকনাফে সাগরে নৌকা ডুবির ঘটনায় ১০ জন রোহিঙ্গা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রশাসনের নির্দেশনা অনুসারে ক্যাম্পে থাকা স্বজনদের কাছে নিহতদের মরদেহগুলো হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে। ডুবে যাওয়া নৌকায় ৩১ জন রোহিঙ্গা ছিল বলে জানা গেছে।
এদিকে গত ২ দিনে টেকনাফ দমদমিয়া, জাদিমুড়া, নয়াপাড়া, নোয়াখালীপাড়ার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অনন্ত কয়েক হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। তাদের মধ্যে অনেকেই গুলিবিদ্ধ ছিল বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, গত দুই দিনে নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগর পয়েন্ট হয়ে নৌকাযোগে দালালদের সহযোগিতায় বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশ করা রোহিঙ্গা অনেকেই কৌশলে ক্যাম্পে প্রবেশ করলেও বিজিবি সদস্যরা কিছু সংখ্যক আটক করেছে। তাদের বিজিবির হেফাজতে রাখা হয়েছে একটি সূত্রে জানা গেছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরী জানান, রোহিঙ্গাবোঝাই নৌকাডুবির ঘটনায় ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আরও কিছু রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। যারা বিজিবি হেফাজতে রয়েছে বলে জানা গেছে।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, দেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে আমাদের সব কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। এই মুহূর্তে আমাদের মাঠে গিয়ে কাজ করা সম্ভব নয়। তাই বিষয়টি সম্পর্কে কিছু বলতে পারছি না। তবে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছ থেকে লাশের বিষয়ে জেনেছি। স্থানীয়রা যেহেতু লাশগুলো উদ্ধার করেছে তারা সেগুলো ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠাবেন।
ঠিকানা/এএস