নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আন্দোলনকারীদের চারজন। রোববার (৪ আগস্ট) দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মাধবদী থানার ওসি কামরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন চরদিগলদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন (৪০), নরসিংদী সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের ছোট ভাই যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন (৩৮), জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য শ্রমিক লীগ নেতা মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া ওরফে নাতি মনির (৪২), শ্রমিক লীগ নেতা আনিছুর রহমান সোহেল (৪০), মাধবদী পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার নওশের (৪০) ও অজ্ঞাত (৩৮)।
জানা গেছে, আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে বের হলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের প্রতিহত করার জন্য মিছিলে এলোপাতাড়ি গুলি চালালে কমপক্ষে ছয়জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। আহতদের মধ্যে সুমন মিয়া (৩৫), সোহেব (৪১), আল আমিন (২৫) নরসিংদী সদর হাসপাতালে এবং মীর জাহাঙ্গীরকে (৩০) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপতালে পাঠানো হয়।
এ সময় উত্তেজিত আন্দোলনকারী চার-পাঁচ হাজার লোক আওয়ামী সমর্থকদের গুলি উপেক্ষা করে তাদের ওপর চড়াও হলে আওয়ামী সমর্থকেরা দৌড়ে পালাতে থাকেন। এ সময় আওয়ামী লীগের ছয় নেতা-কর্মী দৌড়ে মাধবদী বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিম দিকের বড় মসজিদে আশ্রয় নেন।
আন্দোলনকারীরা মসজিদ থেকে ধরে এনে মসজিদের সামনেই এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ঘটনাস্থলেই ছয়জনের মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যায়।
এ ছাড়া নরসিংদী শহরের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের জেলখানা মোড় চত্বরে সকাল থেকে ছাত্র-জনতা জমায়েত হতে শুরু করে। বেলা ১টার দিকে তারা জেলখানা মোড় থেকে নরসিংদী স্টেডিয়াম পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করে।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) এ কে এম শহিদুল ইসলাম সোহাগ বলেন, ‘হামলায় আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মীসহ ছয়জন নিহতের খবর পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। পরে বিস্তারিত বলা যাবে।’
ঠিকানা/এনআই