নন্দিনী মুস্তাফী
তোমাকে খুঁজি সকালের সরোদের সুরে, ধোঁয়া-ওড়া চায়ের কাপের নির্যাসে;
এলোমেলো চুলের ক্লান্ত সেই চোখের অপ্রতুল মুখটি আমার প্রিয়তম!
অভাবী মনের ব্যাকুলতা আমার!
তুমিই তো পড়তে কেবল দিনমান
তোমার মনের স্বচ্ছ আয়নায়।
ভিজে যাওয়া ক্লান্ত চোখের কোণে লেপ্টে যাওয়া কাজল আমার,
বিষণ্ন চোখের পাতার ভাঁজে
কী খুঁজে যেতে অহর্নিশ!
দু’হাত দিয়ে নুয়ে পড়া আহত কুন্তলের বিনম্র রাশির অন্ধকার সরিয়ে
অপলক দৃষ্টিতে পেয়ে যেতে
নুয়ে পড়া আহত ব্রীড়ার ভাঙন
ঝপ করে নেমে গেছে বিমর্ষ গ্রীবায়।
নোনাজলের সিন্দুক ভেঙে
এলোমেলো ভাবনার আড়াল টেনে
আমি তোমার হাত দুটো জড়িয়ে
পরম মমতায় সুদীর্ঘ শ্বাস টেনে নিতাম
বুকের অলিন্দের ভেতরে স্বপ্নগুলো বাঁচিয়ে রাখার অভিপ্রায়ে।
এবং;
হয়তো এভাবেই বেঁচে থাকতে হয়
শত শত বছর, অজস্র বছর ধরে,
সে কথা তো তুমিই বলেছিলে
আমায় অজস্রবার পইপই করে!
সে থেকে আজও নিষ্পাপ সকালে হৃদয় থেকে নিংড়ে পড়া সরোদের মূর্ছনায়;
এক চুমুক ধোঁয়া-ওড়া চায়ের নেশায়
অঘ্রানাতা প্রভাতের মৃদু সমীরণে
শরতের শিউলির আদুরী ছোঁয়ায়,
তোমাকে না পেয়ে প্রবাদপ্রতিম;
ভালোবাসার সবটুকু রং উড়ে যায় কেবলই নিষ্ঠুতার নাটাই ছিঁড়ে ॥